Advertisement
  • দে । শ
  • সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩

পাকিস্তানের লাইভ টিভিতে বিশৃঙ্খলা, প্রথমে উত্তপ্ত বিতর্ক, শেষে মুষ্টিযুদ্ধ নেতাদের মধ্যে

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
পাকিস্তানের লাইভ টিভিতে বিশৃঙ্খলা, প্রথমে উত্তপ্ত বিতর্ক, শেষে  মুষ্টিযুদ্ধ নেতাদের মধ্যে

পাকিস্তানের সংবাদ চ্যানেলগুলির প্যানেলিস্ট এবং নিউজ অ্যাঙ্করদের একে অপরের বিরুদ্ধে মারমূখী হওয়ার জন্য বছরের পর বছর ধরে কুখ্যাতি অর্জন করেছে। স্টুডিও মারামারির রুটিন ভিডিও ক্লিপ, মৌখিক এবং শারীরিক উভয়ই ইন্টারনেটে ঘুরে বেড়ায়। এবারও সেই একই ধরনের ঘটনা ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে, পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ বা পিএমএল-এন -এর প্রতিনিধিত্বকারী সিনেটর আফনান উল্লাহ খান এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ বা পিটিআই- এর সাথে যুক্ত একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব শের আফজাল খান মারওয়াত টিভি শোতে েকে অপরকে মারছেন। এই ছবি দেখে সোশ্যাল মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে এরা নেতা? এদের সংযমের এতো অভাব?

টিভি চ্যানেলটিতে একটি রাজনৈতিক টক শো চলাকালীন এই দুই নেতার মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় শেষ পর্যন্ত অশ্লীলতা-সমৃদ্ধ বাক্য বিনিময় থেকে মুষ্টিযুদ্ধের আকার নেয়, অকস্মাৎ এই ঘটনা দেখে সম্প্রচারকারী এবং দর্শক সকলেই বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন।

জনপ্রিয় টিভি উপস্থাপক জাভেদ চৌধুরী কর্তৃক আয়োজিত “কাল তক” অনুষ্ঠান চলাকালীন, পিএমএল-এন সিনেটর পিটিআই প্রধান ইমরান খানকে অন্যায় কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার জন্য অভিযুক্ত করেন এবং সামরিক কর্তাদের সাথে পিছনের দরজা দিয়ে আলোচনার অভিযোগ তোলেন। মারওয়াত এই যুক্তিগুলো গ্রহণ তো করেনইনি, বরং এই অভিযোগ অসত্য বলে খারিজ করে পাল্টা জবাব দেওয়ার পরিবর্তে নিজের আসন থেকে উঠে খানের মাথায় আঘাত করেন।

অপ্রত্যাশিতভাবে আঘাত পাওয়ার পরও সিনেটর নিজেকে স্থির রেখে উঠে দাঁড়ান এবং তার পর ক্যামেরা থেকে দূরে থাকা মারওয়াতকে মাটিতে ফেলে দেন এবং সজোরে মারওয়াতকে কয়েকটি লাথি ও ঘুষি মারেন।

এই দুই নেতা যখন স্টুডিওতে মুষ্টিযুদ্ধে লিপ্ত তখন স্টুডিওর কর্মীরা এবং অনুষ্ঠানের হোস্ট তাঁদের আলাদা করার, মুষ্টিযুদ্ধে বিরত করার চেষ্টা করছিলেন কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। উভয় নেতার এই মুষ্টিযুদ্ধের পর তাঁরা পরস্পর আলাদা হয়ে গেলেও পরস্পরের বিরুদ্ধে অশ্রাব্য কটূক্তি করতে থাকেন।

লড়াইয়ের পর, সিনেটর আফনান এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “গতকাল টকশোতে মারওয়াত আমাকে আক্রমণ করেছিল, আমি অহিংসায় বিশ্বাসী কিন্তু আমি নওয়াজ শরিফের সৈনিক। তবে মারওয়াতের উপর যে কৌশলটি প্রয়োগ করা হয়েছে তা সমস্ত পিটিআই এবং বিশেষ করে ইমরান খানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পাঠ, তারা নিজেদের দেখতে পায় না, ওদের বড় কালো চশমা পরতে হবে।”

এদিকে, নেটিজেনরা তাদের টাইমলাইনে ভিডিওটি আসার পরে বলেছেন, এটা সত্যি একটা দেখার মতো টক শো , একেবারে মাঠের মজা। এটি সর্বদা দক্ষিণ এশিয়ার পছন্দের খারাপ ব্যবহার দিয়েই শেষ হয়। আর একজন মজা করে বলেছেন, এভাবেই বিতর্ক পরিচালনা করা উচিত, এতে সরাসরি ফলাফল জানা যায়।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!