Advertisement
  • বি। দে । শ
  • মে ৩, ২০২৪

এক কেজি আটার দাম ৮০০ টাকা ! দুর্বিষহ পাকিস্তানের জন জীবন।বকেয়া ঋণ এখন মৃত্যু ফাঁদ, বললেন শরিফ

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
এক কেজি আটার দাম ৮০০ টাকা ! দুর্বিষহ পাকিস্তানের জন জীবন।বকেয়া ঋণ এখন মৃত্যু ফাঁদ, বললেন শরিফ

নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পরও পরিস্থিতি বদলায়নি। অর্থনৈতিক সংকট এমন জায়গায় পৌঁছেছে, সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। গত ৫০ বছরে পাকিস্তানে এত ভয়াবহ অর্থ সংকট দেখা যায়নি। একদিকে যেমন কর্মসংস্থানের অভাব, তেমনই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি। দ্রব্যমূল্য এমন জায়গায় পৌঁছেছে, সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। এর মধ্যেই দেশে শুরু হয়েছে কৃষক বিদ্রোহ। দেশের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ কৃষকদের সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আসলে ঋণের ফাঁদ পাকিস্তানের কাছে মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে।

বিগত এক বছরে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। সবথেকে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে খাদ্যদ্রব্যের। গত একবছরে খাদ্যদ্রব্যের মূল্য দ্বিগুনেরও বেশি হয়েছে। কোনও কোনও খাবারের দাম আবার ২০০ থেকে ২৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যেমন করাচিতে ১ কেজি আটার দাম পাকিস্তানি ৮০০ টাকা। পরিসংখ্যান ঘাঁটলে দেখা যাচ্ছে এক বছরে আটার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ২৮০ শতাংশ। করাচিতে ১টা রুটির দাম ২৫ টাকা। আটা, চিনি থেকে গৃহস্থলীর অন্যান্য দ্রব্যাদি সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে।

সাম্প্রতিক মাসগুলিতে পাকিস্তানের মুদ্রাস্ফীতি ৩৮ শতাংশের মতো বৃদ্ধি পেয়েছে, যা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ। পাকিস্তান বর্তমানে প্রায় পঞ্চাশ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতির সম্মুখীন হয়েছে। খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৪৮ শতাংশে পৌঁছেছে। পাকিস্তানের এই দুর্দশা দেখে ভারতের প্রধামমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পর্যন্ত কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেছেন, পাকিস্তান ভিক্ষার বাটি নিয়ে সারা বিশ্বে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কথাটা ভুল বলেননি ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ঋণভারে জর্জরিত পাকিস্তান।

পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ স্বীকার করে নিয়েছেন যে, দেশের ঋণ  উদ্বেগ হয়ে উঠেছে, যাকে তিনি ‘‌মৃত্যুর ফাঁদ’‌ বলে অভিহিত করেছেন। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে শেহবাজ শরিফ বলেন, ‘‌‌ ঋণের ফাঁদ পাকিস্তানের জন্য মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে। আমাদের এর থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। বিদেশি আর্থিক সহায়তার ওপর নির্ভরতা হ্রাস করতে হবে।’‌ অর্থনীতিবিদরা জানিয়েছেন, পাকিস্তানের অর্থনীতির গভীর সংস্কার প্রয়োজন।
আসলে নগদ সংকটের কারণেই পাকিস্তানের এই হাল। দেশের অর্থনীতির হাল ফেরাতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডারের দ্বারস্থ হয়েছিল। আইএমএফ পাকিস্তানকে ১.‌১ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিতে রাজি হয়েছে। কিন্তু এই ঋণ পেলেই কি পাকিস্তানের সমস্যার সমাধান হবে?‌ আদপেই নয়। এই মাসে বর্তমান ৩ বিলিয়ন ডলার স্ট্যান্ডবাই ব্যবস্থার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে ইসলামাবাদ তহবিলের সাথে একটি নতুন, বৃহত্তর দীর্ঘমেয়াদী বর্ধিত তহবিল চুক্তি চাইছে আইএমএফের সঙ্গে। নতুন প্যাকেজ নিয়ে আলোচনার মধ্যে আইএমএফ পাকিস্তানের জন্য ১.‌১ বিলিয়ন ডলার তহবিল অনুমোদন করেছে।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!