- দে । শ মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- মে ১৭, ২০২৩
আইসিসি–র আয়ের ৩৮.৫ শতাংশ পাবে ভারত! তীব্র আপত্তি পাকিস্তানের

ক্রিকেট বিশ্বে ভারত বরাবরই ধনী দেশ। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশকে আর্থিকভাবে সাহায্য করে এসেছে। আইসিসিতেও ভারতের প্রভাব যথেষ্ট। অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতের ম্যাচ থেকেই আইসিসি–র বেশি আয় হয়। সুতরাং আইসিসি–তে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রাধান্য যে বেশি থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। আর্থিক দিক দিয়েও অন্যান্য ক্রিকেট বোর্ডের থেকে বেশি লভ্যাংশ পায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। আর সেই প্রাপ্তি অবিশ্বাস্য। যা নিয়ে আপত্তি তুলেছে পাকিস্তান।
আইসিসি ২০২৪ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত মোট মুনাফা করবে বছরে ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আইসিসি এই লভ্যাংশ বন্টনের জন্য যে মডেল প্রস্তাব করেছে, তাতে সবথেকে বেশি লভ্যাংশ পাবে ভারত। আইসিসি–র আয়ের ৩৮.৫% পাবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। অর্থাৎ ২৩১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তারপর ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড পাবে ৬.৮৯ শতাংশ, অর্থাৎ ৪১.৩৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এবং অস্ট্রেলিয়া পাবে ৬.২৫ শতাংশ, অর্থাৎ ৩৭.৫৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর পাকিস্তান পাবে ৫.৭৫ শতাংশ, অর্থাৎ ৩৪.৫১ মার্কিন ডলার।
এছাড়া আইসিসি–র বাকি পূর্ণ সদস্য দেশগুলি ৫ শতাংশেরও কম বার্ষিক মুনাফা পাবে এই প্রস্তাবিত মডেলে। এই লভ্যাংশ পাওয়ার মাপকাঠি হল সংশ্লিষ্ট সদস্য দেশ কতটা শক্তিশালী এবং বিশ্ব ক্রিকেটে তাদের প্রভাব কতটা তার ওপর ভিত্তি করে। এই দিক দিয়ে বিচার করে দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং বাংলাদেশ প্রত্যেকেই ৫ শতাংশের কম মুনাফা পাবে। নিউজিল্যান্ড ৪.৭৩ শতাংশ অর্থাৎ ২৮.৩৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাবে। দক্ষিণ আফ্রিকা পাবে ৪.৩৭ শতাংশ, অর্থাৎ ২৬.২৪ শতাংশ। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ পাবে ৪.৫৮ শতাংশ, অর্থাৎ ২৭.৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। অর্থাৎ মোট আয়ের ৮৮.৮১ শতাংশ, অর্থাৎ ৫৩২.৮৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাবে পূর্ণ সদস্য দেশ এবং অ্যাসোসিয়েট সদস্য দেশগুলি পাবে ১১.১৯ শতাংশ অর্থাৎ ৬৭.১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
আইসিসি–র এই লভ্যাংশ বন্টনের প্রস্তাবে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। বোর্ড সভাপতি তিনি পরিষ্কার জানিয়েছেন, আইসিসি–র আয়ের বেশিরভাগ অর্থ কেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে দেওয়া হবে। এই লভ্যাংশ বন্টনের পরিসংখ্যানের ব্যাপারে স্পষ্টতা থাকা দরকার। তিনি সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘আইসিসি–কে জানাতে হবে এই পরিসংখ্যানগুলি কীভাবে আসছে। যেভাবে লভ্যাংশ বন্টনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তাতে আমরা খুশি নই। জুনে আইসিসি–র বোর্ড মিটিংয়ে যখন এই প্রস্তাবিত মডেল অনুমোদনের জন্য আসবে, তখন নিশ্চয়ই আমাদের বিশদভাবে সবকিছু জানানো হবে। আমরা এই প্রস্তাব অনুমোদন করব না।’ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে লভ্যাংশ বন্টনের জন্য আইসিসি যে মডেল অনুসরণ করেছিল, তাতে সদস্য দেশগুলির পারফরমেন্স এবং অর্থনৈতিক অবদানের কথা মাথায় রেখেই করা হয়েছিল।
❤ Support Us