জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে অস্থায়ী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত পাকিস্তান

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে অস্থায়ী সদস্য হিসেবে জায়গা পেল পাকিস্তান। আগামী ২ বছরের জন্য অস্থায়ী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে মেয়াদ শুরু হবে। পাকিস্তান ছাড়াও ডেনমার্ক, গ্রিস, পানামা এবং সোমালিয়া অস্থায়ী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। এই দেশগুলি ইকুয়েডর, জাপান, মাল্টা, মোজাম্বিক এবং সুইজারল্যান্ডের স্থলাভিষিক্ত হল। এই দেশগুলির মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হবে।

জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্যের সাধারণ পরিষদে গোপন ব্যালটের ভোটে উপস্থিত সদস্য রাষ্ট্রগুলির প্রয়োজনীয় দুই–তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে এই দেশগুলি নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। এই নতুন সদস্যরা বর্তমান অস্থায়ী সদস্য আলজেরিয়া, গায়ানা, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, সিয়েরা লিওন এবং স্লোভেনিয়ার সঙ্গে যোগদান করবে। এই দেশগুলির মেয়াদ ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো ক্ষমতার অধিকারী পাঁচ স্থায়ী সদস্য হল চিন, ফ্রান্স, রাশিয়া, ব্রিটেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

নিরাপত্তা পরিষদের ১০টি অস্থায়ী আসন চারটি আঞ্চলিক গ্রুপ অনুসারে বন্টন করা হয়। এই চারটি আঞ্চলিক গ্রুপ হল আফ্রিকা এবং এশিয়া, পূর্ব ইউরোপ, ল্যাটিন আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান, পশ্চিম ইউরোপীয় এবং অন্যান্য রাষ্ট্র গ্রুপ। এই বছর দেশগুলি তিনটি আঞ্চলিক গ্রুপের অধীনে পাঁচটি আসনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে, দুটি আফ্রিকান এবং এশিয়া–প্যাসিফিকের জন্য (একটি করে), একটি ল্যাটিন আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ানের জন্য এবং দুটি পশ্চিম ইউরোপ ও অন্যান্য রাষ্ট্রের জন্য।

নবনির্বাচিত সদস্যদেশকে তাদের নিজ নিজ আঞ্চলিক গোষ্ঠী সমর্থন করেছিল। সামগ্রিকভাবে ১৯০টি সদস্য রাষ্ট্র নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল। আফ্রিকা ও এশিয়া–প্যাসিফিক গ্রুপে পাকিস্তান ১৮২ ভোট পেয়েছে এবং সোমালিয়া ১৭৯ ভোট পেয়েছে। পাঁচটি দেশ ভোটদানে বিরত ছিল। লাতিন আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান গ্রুপে পানামা ১৮৩ ভোট এবং আর্জেন্টিনা ১টি ভোট পেয়েছে। ৬ টি দেশ বিরত ছিল। পশ্চিম ইউরোপীয় এবং অন্যান্য রাষ্ট্রের গ্রুপে ডেনমার্ক ১৮৪ভোট, গ্রিস ১৮২ভোট এবং ইতালি ও নরওয়ে ১টি করে ভোট পেয়েছে। ২টি দেশ ভোটদানে বিরত ছিল। জাতিসংঘের সনদের অধীনে ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদ আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য প্রাথমিক দায়িত্ব পালন করে এবং সমস্ত সদস্য রাষ্ট্র তার সিদ্ধান্তগুলি মেনে চলতে বাধ্য।