Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • জুন ২০, ২০২৩

“প্রয়োজনে রোজ আদালতে যাব”, পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিয়ে শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পর শুভেন্দুর প্রতিক্রিয়া

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
“প্রয়োজনে রোজ আদালতে যাব”, পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিয়ে শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পর শুভেন্দুর প্রতিক্রিয়া

কখনও শাসক দল খুশি , কখনও আবার বিরোধী দল খুশি, রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসক-বিরোধী আদালতযাত্রার ফলাফল নিয়ে এই ছবিটাই এখন পঞ্চায়েত নির্বাচনে “সুপার হিট”। এই আদালতের ভালোমন্দে মঙ্গলবার শুভেন্দু অধিকারী যারপরনাই খুশি। তাঁর খুশির কারণ, শীর্ষ আদালত রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন করার ক্লিক্সটস হাইকোর্টের রায়কে বহাল রেখেছেন। আর এই মামলায় রাজ্যের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে আদালতে মামলা করেছিলেন শিবেন্দু স্বয়ং।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের বিরোধিতা করে রাজ্যের আবেদন খারিজ করে সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার বিজেপির হাওড়া গ্রামীণ সাংগঠনিক জেলার দফতরে বসে সাংবাদিকদের তিনি জানান, আদালতের নির্দেশে একদিকে যেমন কেন্দ্রীয় বাহিনীর দায়িত্ব বেড়ে গেল তেমন প্রশ্ন উঠে গেল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে।

মঙ্গলবার শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঠিকভাবে ব্যবহারের ব্যবস্থা করতে হবে। আর যেহেতু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামছে তাই বাহিনীর কম্যান্ডান্টদের ওপরেও নজর রাখতে হবে যাতে রাজ্য সরকার তাদের বসিয়ে রাখতে না পারে। এটা কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকারের সুপারিশে হচ্ছে না,হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে হচ্ছে। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেল। আমরা সেটা করাব। কারণ ভারতবর্ষের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নামটা হচ্ছে অমিত সাহ।”

শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, “আইনজীবী মারফৎ আমি যা খবর পেয়েছি তাতে মঙ্গলবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। রাজ্য সরকারের কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আপত্তি থাকতে পারে কিন্তু রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরোধিতার কারণ কী? তারা তো যত বেশি বাহিনী পাবে তত নির্বিঘ্নে নির্বাচন করাতে পারবে। রাজ্য সরকার কোথা থেকে বাহিনী এনে দিল তা দেখা তো কমিশনের কাজ নয়। আমরা কেন্দ্রীয় বাহিনী ও নির্বাচন কমিশনের কাজকর্মে নজর রাখব। দরকারে প্রতিদিন আদালতে লড়াই হবে।”

শুভেন্দু এদিন রাজীব সিনহাকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ করার রাজ্যপালের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “রাজ্যপাল নিজে গোলমাল পাকিয়ে এখন সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছেন। নির্বাচন কমিশনার হিসাবে যে ৩ জনের নাম জমা পড়েছিল তা নিয়ে রাজ্যপাল সমস্ত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলতে পারতেন। তা না করে তিনি নিজে থেকে রাজীব সিনহাকে নিয়োগ করেছেন। যার ফলে এতগুলো মানুষের প্রাণ গেল।” তাহলে কী পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত যত জন মারা গেছেন তার দায় শুভেন্দু রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের উপর চাপাচ্ছেন? এই প্রশ্নও উঠছে।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!