- এই মুহূর্তে দে । শ
- জুন ১৭, ২০২৩
পঞ্চায়েত কমিটির বৈঠক শেষে কল্যাণ-কুণাল : জোট বেঁধেছে চার ইয়ার, দলে ফিরুন দলত্যাগীরা

তৃণমূলের পঞ্চায়েত নির্বাচন কমিটির বৈঠক কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাস ভবনে হয়। এই বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলন করেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও কুণাল ঘোষ স্বল্প কথায় এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে যা বলেন তার মূল কথা, প্রথমত দলের বিক্ষুব্ধ, যাঁরা দল ছেড়ে, নির্দল হয়ে দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের প্রতি হাতজোড় করে মনোনয়ন প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানান হয়। দ্বিতীয়ত আইএসএফ-বিজেপি অশুভ আঁতাঁত হয়েছে বলে উল্লেখ করে বলেন, তৃণমূলকে ভোট না দিলে রাজ্যের কি ক্ষতি হতে পারে।
সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমে বলেন, “তৃণমূলের দলীয় নির্দেশ না মেনে যাঁরা নির্দল হয়ে দাঁড়িয়েছেন তাঁরা প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করুণ। এই লড়াই বড় লড়াই, কংগ্রেস,সিপিএম,বিজেপি এক হয়েছে। দলের এই কঠিন লড়াইয়ের সময় যাঁরা নির্দল হিসাবে দাঁড়িয়েছেন তাঁদের হাতজোড় করে বলছি, মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিন। না হলে আগামী দিনে আপনাদের জন্য দলের দরজা,জানলা সব বন্ধ।”
তৃণমূলের পঞ্চায়েত কমিটির বৈঠকের পর দলের তরফে বিনীতভাবে এই আবেদন বিক্ষুব্ধ ও দলছাড়া তৃণমূল কর্মী সমর্থক,নেতাদের প্রতি জানালেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
এর পর কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে পরে বৃহত্তর আন্দোলন হবে বলে মব জোয়ারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন।” এর পর কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,
“সেন্ট্রাল ফোর্স এলো না গেলো তাতে তৃণমূলের কিছু এসে যায় না। ২০১৩ সালে মীরা পাণ্ডে সেন্ট্রাল ফোর্স এনেছিল, ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে সেন্ট্রাল ফোর্স এসেছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পার্টির তাতে কিছু এসে যায়নি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যের মানুষের কাছে জানাতে চায়, ২০২৩ এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে একটি ভোটও বিজেপি বা অন্য কাউকে দেবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যের মানুষের কাছে কথা দিচ্ছে, ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে কেন্দ্র থেকে সরাবে।”
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যের পর কুণাল ঘোষ বলেন, “২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের সময় পুলিশ অফিসারদের বদলির জন্য নওশাদ সিদ্দিকী কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও নিত্যানন্দ রাইয়ের সঙ্গে হেয়াটসঅ্যাপে চ্যাট করেন। কাজেই বোঝা যাচ্ছে বিজেপির দোসর কারা? এদিন আবাস সিদ্দিকীর একটি ৬ সেকেন্ডের পুরনো ভিডিও প্রকাশ করে কুণাল ঘোষ বলেন, বিজেপি-আইএসএফ অশুভ আঁতাঁত হয়েছে।”
শেষে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আবারও বলেন, “কংগ্রেস-সিপিএম-বিজেপি-আইএসএফ অশুভ আঁতাঁত হয়েছে। তাই তৃণমূলকে ভোট না দিলে বিজেপির হাত শক্ত হবে। এই কঠিন লড়াইয়ের সময় এটা করবেন না।”
❤ Support Us