Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • জুন ২২, ২০২৩

পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে আবেদন করতে পারে রাজ্য । তার আগেই সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল শুভেন্দুর

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা নিয়ে  হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে আবেদন করতে পারে রাজ্য । তার আগেই সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল শুভেন্দুর

পঞ্চায়েত নির্বাচনে কলকাতা হাই কোর্টের কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশের বিরুদ্ধে রাজ্যের আবেদনের আগেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করলেন।

গতকাল বুধবারই হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে পঞ্চায়েত ভোটের জন্য ন্যূনতম ২০১৩ সালের চাইতে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করে নির্বাচন করার নির্দেশ দিয়েছিল।

শুভেন্দু অধিকারী বুধবারই জানান তিনি সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট করবেন। বিজেপি নেতৃত্ব মনে করছেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করতে পারে রাজ্য এবং রাজ্যের নির্বাচন কমিশন। সে ক্ষেত্রে দেশের শীর্ষ আদালত যাতে একপাক্ষিক ভাবে রাজ্য বা কমিশনের বক্তব্য শুনে কোনও নির্দেশ না দেয়, তার জন্যই ক্যাভিয়েট দাখিল করে রাখলেন শুভেন্দু।

এর ফলে রাজ্য ও কমিশন পঞ্চায়েত নির্বাচনে হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করলে সুপ্রিম কোর্টকে এই মামলায় বিরোধী দলনেতার বক্তব্যও শুনতে হবে।

বুধবার পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা নিয়ে বিরোধীদের মামলার শুনানি হয় হাই কোর্টে। পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা নিয়ে হাই কোর্টের নির্দেশ পালন করা হয়নি এই অভিযোগে কমিশনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেছিলেন বিরোধীরা। বিজেপির তরফে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং কংগ্রেস নেতা আবু হাসেম খান চৌধুরী এই মামলা করেন। এই মামলা শুনানির জন্য ওঠে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে।

কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি এই মামলার শুনানির শুরুতেই কমিশনকে বলেন, ‘‘বলতে বাধ্য হচ্ছি, এত কিছুর পরে কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ থাকছে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে, কমিশনারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করতে হচ্ছে। আপনারা দয়া করে হাই কোর্টের নির্দেশ পালন করুন। চাপ সামলাতে না পারলে রাজ্যপালের কাছে গিয়ে বলুন, আর পদ ছেড়ে দিন। অন্য কাউকে তিনি ওই পদে বসাবেন। ওই পদের অনেক অনেক গুরুত্ব আছে।’’

বুধবার কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বিজেপি জানিয়েছিল, ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে ৮২৫ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল রাজ্যে। প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম বলেন, “এ বারের পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তার জন্যও অন্তত ওই সংখ্যক বা তার বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে।’’

প্রসঙ্গত, গত ১৫ জুন কলকাতা হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, গোটা রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতেই পঞ্চায়েত ভোট করাতে হবে। শুধু তা-ই নয়, ওই নির্দেশের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রের কাছে বাহিনী চাইতেও হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, হাই কোর্টের ওই নির্দেশ সত্ত্বেও বাহিনী চেয়ে কেন্দ্রের কাছে রিকুইজিশন দেয়নি কমিশন। পরে অবশ্য মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন জানায়, গোটা রাজ্যের ২২টি জেলায় ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য কেন্দ্রকে অনুরোধ করেছে তারা। কমিশনের সেই বক্তব্য ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। কারণ গোটা রাজ্যে ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর অর্থ মেরেকেটে ২০০০ জওয়ানের উপস্থিতি। বিরোধীদের কথায়, যা থাকা আর না-থাকায় কোনও তফাত নেই। কেন্দ্রীয় বাহিনী সংক্রান্ত হাই কোর্টের নির্দেশ মঙ্গলবার বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্টও। এর পর বুধবার হাই কোর্ট রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কমিশনকে তিরস্কার করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যের সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন করার নির্দেশ দেয়।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!