- এই মুহূর্তে দে । শ
- জুন ১৩, ২০২৩
কোনো সংঘর্ষ ছাড়াই নন্দীগ্রামে ১১৬ বিজেপি প্রার্থীর মনোনয়ন জমা

নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর ক্ষমতা কি অপ্রতিরোধ্য, একচ্ছত্র? সেটাই কিন্তু মঙ্গলবার নন্দীগ্রামে প্রমাণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ? মঙ্গলবার নন্দীগ্রামে ১১৬ জন দলীয় প্রার্থীকে নিয়ে মিছিল করে এসে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে সেটাই কি প্রমাণ করলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী? মঙ্গলবার শুভেন্দু অধিকারী দলীয় প্রার্থী, কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মিছিল করে নন্দীগ্রাম দু’নম্বর ব্লকে ১১৬ জন বিজেপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা দেন। কোন বাধা, প্রতিরোধ ছাড়াই শুভেন্দু অধিকারী তাঁর প্রার্থীদের নিয়ে বিডি অফিসে হাজির হন এবং মনোনয়ন জমা দিয়ে বেরিয়ে যান।
মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়ার সময় শুভেন্দু অধিকারী সাংবাদিকদের বলেন “নো ভোট টু মমতা, এই স্লোগান দিয়েই আমরা ভোটে লড়ছি। রক্ত দেবো তবুও জায়গা ছাড়ব না। গ্রাম থেকে চোরদের তাড়াব। লড়াই হবে, চোরকে গ্রাম থেকে সাফ করবে গ্রামের লোক। তৃণমূল মানেই চোর।”
তবে ভাঙড়ে যখন আর এক বিরোধী নেতা ও আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি তাঁর দলের প্রার্থীদের নিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে এসে শাসকদলের রোষের মুখে পড়েন, গুলিবিদ্ধ হন আইএসএফ-এর এক প্রার্থী। আইএসএফকে রুখতে ভাঙড়ে যখন প্রায় ৭০টি বোমা পড়ে, ৭রাউন্ড গুলি চলে তখন নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারী ১১৬ জন বিজেপি প্রার্থীর মনোনয়ন করিয়ে গেলেন। এই ঘটনা দুটো প্রশ্ন তুলে দেয়,প্রথমত শুভেন্দু অধিকারীকে কী নন্দীগ্রামের তৃণমূল ভয় পায়? দ্বিতীয়ত না কি তৃণমূল শুভেন্দু অধিকারীকে চটাতে চাইছেন না। না হলে একই মনেনয়ন জমা দিতে এসে যেখানে ভাঙড়ে আইএসএফ আক্রান্ত হয়, সব প্রার্থী মনোনয়ন দিতে পারে না, আইএসএফ প্রার্থীরা আশঙ্কা করছেন, তাঁরা বাড়ি ফিরলে খুন হয়ে যেতে পারেন, তখন নন্দীগ্রামে কী ভাবে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে তৃণমূল টু-শব্দটি করল না? তাহলে কি নন্দীগ্রামে মনোনয়নে তৃণমূল গণতন্ত্রের পরিবেশ বজায় রাখাতে চাইছে? না কি শুভেন্দু অধিকারীকে ভয় পাচ্ছে নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতারা? তবে নন্দীগ্রামে যখন গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মেনে স্বাভাবিক ও যেটা অবশ্যই কাম্য সে ভাবে শুভেন্দু অধিকারী তাঁর দলকে নিয়ে এসে মনোনয়ন জমা দিয়ে তৃণমূলকে রাজনৈতিক হুঁশিয়ারি দিয়ে বেরিয়ে গেলেন উল্টোদিকে মনোনয়নকে ঘিরে ভাঙড়ে গণতন্ত্র ভূলুন্ঠিন হল।
❤ Support Us