- দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- জুন ২৬, ২০২৩
৩৩৭ কোম্পানির হিসাব কোথায়? রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে ব্যাখ্যা তলব কেন্দ্রের। ক্ষুব্ধ নবান্ন

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে একটি চিঠি দিয়ে ৩৩৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে কমিশনের পরিকল্পনা স্পষ্ট করে জানতে চেয়েছে।
এদিকে শাসক দলের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এই কারণ জানতে চাওয়ার বিরোধীতা করা হয়েছে তীব্র ভাবে।
রবিবার সন্ধ্যায়, রাজ্য নির্বাচন কমিশন আরও ৪৮৫টি কোম্পানির কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে।
তবে সোমবারই, কমিশনের কাছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে চিঠি দিয়ে ৩৩৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী কোথায়, কি ভাবে মোতায়েন করা হচ্ছে তা বিশদে জানতে চাওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত রবিবার আরও ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়ার পরই কমিশনকে এই চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
এই চিঠিতে বিশদে জানতে চাওয়া হয়েছে, সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ), ইন্দো তিব্বত বর্ডার পুলিশ (আইটিবিপি), সেন্ট্রাল এর কর্মীদের মিশ্রণ রয়েছে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স (CISF),সশস্ত্র সীমা বল (SSB) এবং রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স (RPF) কেথায়, কি ভাবে মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত রবিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা রাজ্যপাল সিভির সঙ্গে বৈঠক করার পরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল। রবিবারের বৈঠকে আনন্দ বোস যেখানে কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন রাজীব সিনহার সঙ্গে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজ্যপালকে এই বিষয়ে আপডেট করে বলেন, কমিশন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে আরও ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে চিঠি পাঠানোর পরও রাজ্যে অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী আসেনি।
এদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এই ভাবে কমিশনের কাছে বাহিনী মোতায়েন নিয়ে চিঠি দেওয়ার অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এই প্রসঙ্গে বলোছেন, “পশ্চিমবঙ্গ কি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল? ভোটের কাজে বাহিনী মোতায়েন নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানতে চায় কি করে? বাংলায় একটা নির্বাচিত সরকার আছে। কোথায়, কি পরিস্থিতি হবে সেই অনুযায়ী বাহিনী মোতায়েন করবে কমিশন। এটা কি আগাম বকা যায়?”
প্রসঙ্গত রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা এখনও সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে স্পষ্ট করে বলতে পারছেন না কি ভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে বা হচ্ছে।
এদিকে এই প্রসঙ্গে বিরোধীরা বলছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ ছাড়া কমিচনার কিছু বলতে পারবেন না।”
❤ Support Us