- এই মুহূর্তে দে । শ
- জুন ২৩, ২০২৩
আদ্রায় তৃণমূল নেতা খুনে ধৃত কংগ্রেস প্রার্থী-সহ দুই, রাস্তা অবরোধ শাসক দলের

পুরুলিয়ার আদ্রায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটার কিছু পরে তৃণমূলের দলীয় পার্টি অফিসের সামনে আততায়ীর গুলিতে খুন হন টাউন তৃণমূলের সভাপতি ধনঞ্জয় চৌবে। অভিযোগ ধনঞ্জয় চৌবে যখন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আদ্রা বাজারে তৃণমূল পার্টি অফিসের বাইরে চেয়ারে বসে ছিলেন, তখন বাইকে করে মুখে মাস্ক পরে দুই দুস্কৃতী এসে তাঁকে পয়েন্টব্লাঙ্ক রেঞ্জ থেকে ৫টি গুলি করে, তাতেই তৃণমূল নেতার প্রাণ যায়। আহত হন তাঁর দেহরক্ষী শেখর দাস।
এই ঘটনায় গতকাল রাতেই পুরুলিয়ার কংগ্রেস নেতা নেপাল মাহাত দাবি করেন, “প্রকৃত দোষীকে পুলিশের ধরতে হবে। পুলিশকে নিরপেক্ষ তদন্ত করতে হবে।”
শুক্রবার তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুনের ঘটনায় ধৃত বেকো-র কংগ্রেস আরশাদ হোসেন সহ ২ জন। এই খুনের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে অনির্দিষ্ট কালের জন্য রাস্তা অবরোধের ডাক দিয়েছে তৃণমূল দল। শুক্রবার ভোর থেকেই আদ্রা রেল শহরের রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান শুরু করে তৃণমূল।
পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল শুক্রবার সকালে দাবি করে, আততায়ীরা গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত রাস্তা অবরোধ তারা চালিয়ে যাবে। বেলার বাড়তেই খুনের ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্ত ইতিমধ্যেই বেশ কিছুটা এগিয়েছে। বেশ কয়েক জন সন্দেহভাজনের তালিকা তৈরি করে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে এলাকা থেকে সংগৃহীত সিসিটিভি ফুটেজও। জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অভিযোগ দায়ের হওয়া দু’জনকে গ্রেফতার করেছে আদ্রা থানা। ধৃতদের নাম আরশাদ হোসেন এবং মহম্মদ জামাল।’’ পুলিশ সূত্রে খবর, আরশাদ বেকো গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেস প্রার্থী।
এদিকে এই খুনের ঘটনায় কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচি বলেন, “পুরুলিয়ায় তৃণমূলের থ্রেট হচ্ছে কংগ্রেস। তাই খুব স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূলের অভিযোগ কংগ্রেসের দিকেই থাকবে। এটা আসলে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের ফল। এখন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার যা অবস্থা তাতে তৃণমূলের সব নেতা-কর্মীদেরই নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা উচিত।”
আততায়ীদের গুলিতে জখম হওয়া মৃত ধনঞ্জয় চৌবের দেহরক্ষী রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল শেখর দাসের অবস্থা এখন স্থিতিশীল। তৃণমূল নেতা এবং তাঁর দেহরক্ষীকে আততায়ীরা গুলি করে পালানোর পর স্থানীয়েরাই দু’জনকে রঘুনাথপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই ধনঞ্জয়কে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে শেখর দাসকে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
আদ্রায় এই খুনের ঘটনার পর থেকেই এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে।বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এলাকা জুড়ে। পুলিশ সূ্ত্রে জানা গেছে, যে পার্টি অফিসের সামনে ধনঞ্জয় চৌবেকে খুন করা হয়েছে, তার পার্শ্ববর্তী এলাকার সিসি ক্যামেরা থেকে বেশ কিছু ফুটেজ ইতিমধ্যেই সংগ্রহ করা হয়েছে। এই ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পার্টি অফিসের ভিতরেও একটি সিসি ক্যামেরা থাকলেও সেটি বিকল।
খুনের ঘটনার পর রাতেই স্নিফার ডগ এনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলার পুলিশকর্তারা।
শুক্রবার সকালেও পার্টি অফিসের সামনের রাস্তায় রক্তের দাগ ছিল। আততায়ীরা যে মোটর বাইকে করে এসেছিল সেটা ফেলে পালিয়েছে। তবে ওই মোটর বাইকের নম্বর প্লেটটি জাল।
❤ Support Us