- এই মুহূর্তে দে । শ
- জুন ১৭, ২০২৩
বিজেপিকে মোক্ষম জবাব। তৃণমূলের প্রার্থী বালুরঘাটের শিউলি মার্ডি !

বালুরঘাটের দণ্ডি কাটা আদিবাসী মহিলা তৃণমূলের পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রার্থী হয়েছেন। তৃণমূল ছেড়ে কয়েকজন আদিবাসী মহিলা বিজেপিতে গিয়ে আবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফেরার সময় তাদের প্রায়শ্চিত্ত হিসেবে স্থানীয় মহিলা তৃণমূল নেত্রী তিনজন আদিবাসী মহিলাকে রাস্তায় দণ্ডি কাটিয়ে তৃণমূলে ফেরত নিয়েছিলেন। বেশ কয়েক মাস আগের এই ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে নিন্দার ঝড় উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই তিন আদিবাসী মহিলার দণ্ডি কেটে তৃণমূলে ফেরার এই ভিডিও টুইট করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ঝড়ের বেগে ছড়িয়ে পরে এই ভিডিও । শোরগোল পরে যায় বালুরঘাটে। এবার এই দণ্ডি কাটা শিউলি মার্ডিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী করে পাল্টা চমক দিল তৃণমূল। তিনিই এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তপন পঞ্চায়েত সমিতির আসনে।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন গোফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের শিউলি মার্ডি, মার্টিনা কিস্কু–সহ কয়েকজন মহিলা। ঠিক তার পরেরদিন তাঁরা আবার তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসেন। তখন মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতির চাপে এই তিন মহিলাকে রাস্তায় প্রায় দেড় কিলো মিটার দণ্ডি কাটতে হয়। দলের তরফে বলা হয় প্রায়শ্চিত্ত হিসাবে তাদের দণ্ডি কাটানো হয়েছে। এই নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে সমালোচনার ঝড় উঠলে শেষ পর্যন্ত যিনি দণ্ডি কাটিয়েছিলেন, তাঁকে পুরসভার ভাইস চেয়ারপারসন পদ দলের সমস্ত পদ থেকে অপসারিত করে দেওয়া হয়। তারপর দেখা যায়, এই তিন আদিবাসী মহিলার সঙ্গে বালুরঘাটে নব জোয়ার যাত্রায় এসে সাক্ষাৎ করেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি তখন তাদের সঙ্গে এই খারাপ ব্যবহারের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। এবার মনোনয়ন পর্ব শেষ হতে দেখা গেল, তপন পঞ্চায়েত সমিতির আসনে এবার চণ্ডীপুর এলাকা থেকে প্রার্থী হয়েছেন শিউলি মার্ডি।
শিউলি মার্ডিকে প্রার্থী করে বিজেপির সমালোচনার মোক্ষম জবাব দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শিউলি মার্ডির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন বিজেপির সোনামণি মুর্মু। আর বামফ্রন্ট শরিক আরএসপি থেকে প্রার্থী করা হয়েছে সালনি হেমব্রমকে। তবে এথানে জয় নিয়ে একশো শতাংশ নিশ্চিত শিউলি মার্ডি। তিনি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, “দণ্ডি কাটার ঘটনা পুরনো। এখন সেসব ভুলে মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। গ্রামীণ এলাকায় আরও উন্নয়ন করাটাই আমার লক্ষ্য। ২০১৩ সালে আমার স্বামী এই ব্লকের গোফানগর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে নির্বাচিত হয়ে প্রধান হয়েছিলেন। অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছিলেন। তাঁর দেখানো পথেই আমি এগোতে চাই।”
❤ Support Us