- এই মুহূর্তে দে । শ
- জুলাই ১, ২০২৩
ভোট জয়ের পর পরিষেবাই শেষ কথা, আলিপুরদুয়ার থেকে দলীয় কর্মীদের বার্তা অভিষেকের

শনিবার আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলের প্রার্থীদের বার্তা দিয়ে বললেন, “জিতে আসার পর পরিষেবা দিতে হবে। সবার কাজ রিভিউ হবে। যে ভালো কাজ করবে তাঁর দায়িত্ব বাড়বে। যে পরিষেবা দিতে ব্যর্থ, তাকে বহিষ্কার করা হবে।” পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিক্ষুব্ধদের সতর্ক করে বললেন, “কোনও নির্দলকে দলে ফেরানো হবে না।” এর পর বিরোধীদের নিশানা করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “১০০% মনোনয়ন হয়েছে। কথা দিয়েছিলাম কথা রেখেছি। সিপিএমের অপসংস্কৃতি বন্ধ করেছি। আসল আচ্ছে দিন হল, পদ্মের পাপড়ি ছেটে ফেলো। আসল গ্যারান্টার নাম হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, “আলিপুরদুয়ারে পিছিয়ে ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এখানে বিধানসভা ভোটে আসনে হেরে যায় তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও এখানের একটি বিধানসভায় লক্ষ্মীর ভান্ডার দিতে খরচ হয় মাসে আট কোটি টাকা। এই জেলায় ৪০ কোটি খরচ হয়। বছরে ৪৮০ কোটি টাকা খরচ হয়। এই সরকার ৯৬০ কোটি টাকা খরচ করেছে। যদিও এই জেলায় আমরা হেরেছি। মোদি বাংলায় হেরে, বাংলার টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। আর দিদি আলিপুরদুয়ার হেরে মানুষকে পরিষেবা দিচ্ছে। এই জেলায় ৬ লক্ষ মানুষের জীবিকা নির্ভর করে আছে একশো দিনের কাজের ওপরে। এই টাকা আপনার টাকা। তাই যদি বিজেপি জেতে আপনার টাকা বন্ধ হয়ে যাবে।”
অভিষেক এদিন স্থানীয় বিজেপি সাংসদকে নিশানা করে বলেন, “এখানের সাংসদ জন বার্লার কাজ হল, মানুষের টাকা বন্ধ করে দেওয়া। তবে বাংলার মানুষ ওদের কাছে মাথা নীচু করবে না।আমার নবজোয়ার যাত্রা নিয়ে বিরোধীরা ব্যঙ্গ করেছিল। আর আমরা মানুষের সার্টিফিকেট নিয়ে আপনাদের প্রার্থী করেছি। আচ্ছে দিন হল, ৭৫ টাকার সরষের তেল ২১৫ টাকার লিটার। কেরোসিন, গ্যাস, জীবনদায়ী ওষুধের দাম বেড়ে গিয়েছে। জুমলাবাজির সরকার আপনাদের ভোট দিয়ে আপনাদের বঞ্চনা করেছেন। একটা মাত্র চা বাগান বন্ধ এখানে। ৬৭ চা বাগান অপারেশনাল করা হয়েছে৷ চা শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানো হয়েছে। আর এই কাজ মমতা বন্দোপাধ্যায় করেছেন।”
তিনি আরও বলেন, “যদি চান আচ্ছে দিন, তাহলে পদ্মের পাপড়ি ছেঁটে দিন। গত দু’বছরে মুখ্যমন্ত্রী একাধিক বার চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে৷ আমাদের সাংসদরাও দেখা করতে গিয়েছিলেন। দফতরে থেকেও আমাদের সঙ্গে দেখা করেননি মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। প্রধানমন্ত্রী ভাবছে রিমোট কন্ট্রোলে চালাব। ওনার হাতে রিমোট কন্ট্রোলের বোতাম থাকলে, আপনাদের হাতে আছে ইভিএমের বোতাম। ২০১৯ সালে কেউ আপনারা নিজেদের অধিকার দেখে ভোট দেননি। সত্যি কথা শুনতে খারাপ লাগে। ৮ জুলাই ধর্ম বা রামমন্দির দেখে নয়, জল-রাস্তার জন্য ভোট দেবেন। বিজেপি জিতলেই প্রথম কাজ হবে, টাকা বন্ধ করে দেওয়া। আমরা ১২ বছরে মানুষের ওপর একটা আর্থিক বোঝা চাপাইনি।”
অভিষেক আরও বলেন, “বিজেপি বলছে, মোদিজি নাকি ১০০ দিনের টাকা পাঠিয়ে দিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস নিয়ে নিয়েছে। আমি বলছি ১০ পয়সাও দেয়নি। আমি মিথ্যা বললে মামলা করো। তোমাদের হাতে তো ইডি, সিবিআই আছে। প্রধানমন্ত্রী বলছে দুর্নীতি বন্ধের গ্যারান্টার। আর তাঁর প্রোডাক্ট হচ্ছে জন বারলা, অসমের মুখ্যমন্ত্রী। একটা নির্দলকেও দলে ঢুকতে দেওয়া হবে না। বলেছিলাম ১০০% মনোনয়ন হবে, করেছি। আগামী দিনে ৫-৬’টা কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। থাকতে দিন। ভোট কেন্দ্রীয় বাহিনী, ইডি, সিবি আই দেয় না। যে দিন ব্যালট বক্স খুলবে, পদ্ম ফুল চোখে সর্ষে ফুল দেখবে।”
❤ Support Us