- এই মুহূর্তে দে । শ
- জুন ১০, ২০২৩
ডোমকলে কোমরে পিস্তল নিয়ে মনোনয়ন জমা, পুলিশের হাতে পাকড়াও তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি বাসির মোল্লা

মুর্শিদাবাদের ডোমকলের সারাংপুরে কোমরে পিস্তল সহ পুলিশের হাতে ধৃত তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বাসির মোল্লা। শনিবার তৃণমূলের সারাংপুর অঞ্চল সভাপতি বাসির মোল্লা কোমরে বন্দুক নিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে আসেন। এই সময় পুলিশ তাঁকে ধরে ফেলে। তাঁর কেমর থেকে পিস্তলটি নিয়ে তার থেকে গুলি বের করে ফেলে পুলিশ। কি করে কোমরে পিস্তল গুজে মনোনয়ন জমা দিতে বিডিও অফিসে এলেন এই তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি বাসির মোল্লা? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, শনিবার সকাল থেকেই ডোমকলে বিডিও অফিস ঘিরে রাখে তৃণমূলের সশস্ত্র বাহিনী। বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দিতে সকাল থেকেই বাঁধা দিতে থাকে শাসকদলের কর্মীরা। এরই মধ্যে বাসির মোল্লা কোমরে পিস্তল গুজে বিডিও অফিসে মনেনয়ন জমা দিতে এসে ধরা পড়ে যান। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, পুলিশের হাতে ধরা পড়ে বাসির মোল্লা পুলিশকে বলে ছেড়ে দিতে। পুলিশ তখন বলে তোমার সঙ্গে যখন পিস্তল আছে তখন আগে পালিয়ে যাওনি কেন? তাহলে কি ধরা পড়ে পুলিশের সঙ্গে মিটমাট করে নিতে চেষ্টা করেছিল বাসির মোল্লা? তৃণমূল হলেই কি সঙ্গে পিস্তল রাখা যায়? এই প্রশ্ন উঠেছে। শেষ পর্যন্ত পুলিশ বাসির মোল্লাকে থানায় নিয়ে যায়। তবে তাঁকে গ্রেফতার করা হল কি না সেই খবর পুলিশ সূত্রে জানা যায়নি।
এদিকে ডোমকলে সকাল থেকেই কংগ্রেস ও সিপিএমকে মনোনয়ন জমা দিতে বাঁধা দেয় তৃণমূল। পুরো বিডিও অফিস ঘিরে রাখে।
এই প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদের কংগ্রেস মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, “সবে মনোনয়ন জমা শুরু এখনই এই পরিস্থিতি। কুণাল ঘোষরা বলেন বিরোধীরা মমেনয়ন দিতে যেতে না পারলে আমরা নিয়ে যেতে পারি আমরাতো আর প্রার্থী জোগার করে দিতে পারি না। আমার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে প্রশ্ন, মনোনয়ন পত্র জমা দিতেই যদি কোমরে পিস্তল নিয়ে আসে তাহলে ভোটের দিন কি অবস্থা হবে? রাজ্যে গণতন্ত্র বলে কি কিছু আছে? ধরা পড়ে বাসির মোল্লা বলছেন আমি তৃণমূল করি। তার মানে কি তৃণমূল করলেই কোমরে পিস্তল নিয়ে ঘোরা যায়?”
এদিকে এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ” আমাদের দল দৃঢ়তার সঙ্গে ঘোষণা করেছে, বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দিতে আমরা সাহায্য করব। নির্বাচন শান্তিতে হবে। তাছাড়া সারাংপুরে যে ধরা পড়েছে, সে যদি দলের সঙ্গে সম্পর্কিত থাকে তা হলে দল তাঁকে ছেড়ে দেবে না।পুলিশ তাঁকে ধরেছে।”
এই প্রসঙ্গে বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, “এটা রাজ্যে গণতন্ত্রকে হত্যা করার ছবি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রাজ্য সফরে বার হন তখনই তিনি জেলা জেলায় দুস্কৃতীদের অশান্তি করার ইন্ধন দিয়ে দেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গরিবের রক্ত চুষে বিদেশি ব্যাঙ্কে টাকা রাখেন। তিনি একা খাবেন বলে যে কোনও ভাবে পঞ্চায়েত দখল করতেই ঝাঁপিয়ে পড়েছেন।”
এদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনার পর জেলার সমস্ত ব্লকের কর্মীদের অশান্তি, মারামারি থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
❤ Support Us