- এই মুহূর্তে দে । শ
- মে ২৯, ২০২৩
বড়ঞায় গোষ্ঠী সংঘর্ষের বলি আমির।শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বোমা মেরেছে দুষ্কৃতীরা, শাসকদলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ নিহতের আত্মীয়ের
নিহতের আত্মীয়ের অভিযোগ, মারা যাওয়ার পরেও তাঁর ভাইয়ের ওপর দুষ্কৃতীরা বোমা মেরেছে । খুনের ঘটনায় তৃণমূলের স্থানীয় কর্মীরাই যুক্ত বলে অভিযোগ তাঁর

পঞ্চায়েত নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে রাজ্যে শাসক দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল আরও বাড়ছে। আর এই ঘটনার জেরেই মুর্শিদাবাদের বড়ঞায় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের আত্মীয় খুনের ঘটনা ঘটল রবিবার সন্ধ্যায়। নিহতের আত্মীয়ের অভিযোগ, মারা যাওয়ার পরেও তাঁর ভাইয়ের ওপর দুষ্কৃতীরা বোমা মেরেছে। এই অভিযোগে এলাকায় প্রশাসনের ও পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। এই খুনের ঘটনায় তৃণমূলের স্থানীয় কর্মীরাই যুক্ত বলে অভিযোগ তাঁর। এই খুনের ঘটনায় তৃণমূলেরই দুই কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত দু’জনের নামই এফআইআর-এ ছিল । তবে এফআইআর-এ নাম থাকা বাকিদের খোঁজেও পুলিশি অভিযান চলছে। পুলিশের অনুমান, মুর্শিদাবাদের সংলগ্ন বীরভূম জেলায় দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যেতে পারে। আশেপাশের সব থানাকে তাই বড়ঞা থানা থেকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। সোমবার সকালেও ঘটনাস্থলে বোমা ছড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। ২০টি তাজা বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ। তদন্তে নেমে সফিরুল ও বীরজ আলম নামের দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নামে এফআইআর করা হয়েছিল। এই ঘটনায় জাতির সন্দেহে আরও ৫ জনকে পুলিশ আটক করেছে।
এই ঘটনায় স্থানীয় কংগ্রেস সংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, “যে খানে খুন হয়েছে ওই এলাকাটা আমার লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ছে। আসলে তৃণমূলকে শেষ করবে তৃণমূলই। যত পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে আসছে ততই তৃণমূল পঞ্চায়েতের যখন হাতে রাখার জন্য নিজেদের মধ্যে খুনোখুনি করছে। রাজ্যে আইনের শাসন বলতে কিছুই আর নেই।”
এদিকে অধীররঞ্জন চৌধুরীর এই বক্তব্যের উত্তরে তৃণমূল সংসদ শান্তনু সেন বলেন, “একটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ যথা সময়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়েছে। রাজ্য প্রসাশন এই সব ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নিয়েই চলে।”
স্থানীয় সূত্রের দাবি করা হচ্ছে, এলাকা দখল ঘিরে তৃণমূলেরই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল। রবিবার সন্ধেয় সেই বিবাদ চরমে পৌঁছলো। রবিবার সন্ধ্যায় বড়ঞার পাঁপড়দহ গ্রামে মারামারি থেকে হঠাৎই বোমাবাজি শুরু করে তৃণমূলেরই বিবদমান দুই গোষ্ঠী। ওই বোমাবাজিতেই তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের আত্মীয় আমির শেখ নিহত হয়েছেন।
এই খুনের ঘটনার পর মৃতদেহ আটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে মৃতের পরিবারের লোকেরা। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছলে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, তৃণমূলের লোকজনই আমিরকে খুন করেছে। আমির নিজেও তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী বলেই এলাকায় পরিচিত। স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য কাজল শেখের অনুগামীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ।
নিহতের আত্মীয় মোমিলা বিবির অভিযোগ, ‘যতক্ষণ আমির শেখ না মারা গেছে ততক্ষণ তাঁর ওপর বোমা মেরেছে দুষ্কৃতীরা। অবশেষে ঘটনাস্থলেই ওর মৃত্যু হয়েছিল। আমির শেখ তৃণমূল করত। তৃণমূলের লোকেরাই আমিরকে মারল।’ এদিকে, রবিবার সন্ধেয় পাঁপড়দহ গ্রামে বোমাবাজির পর সোমবার এলাকার পরিস্থিতি থমথমে।
❤ Support Us