- এই মুহূর্তে দে । শ
- জুন ৮, ২০২৪
সেপ্টেম্বর থেকেই যাত্রী চলাচল শুরু ভারত ও বাংলাদেশ সংযুক্তকারী মৈত্রী সেতুতে

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় ভারত ও বাংলাদেশকে সংযুক্তকারী মৈত্রী সেতুতে যাত্রী চলাচল শুরু হবে। এমনই জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব কিরণ গিত্তে। শুক্রবার ত্রিপুরায় শিল্প সম্মেলনে সেতু খুলে দেওয়ার কথা বলেন তিনি।
২০২১ সালের ৯ মার্চ ভেরতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মৈত্রী সেতুর উদ্বোধন করেন। ফেনী নদীর ওপর সেতুটি নির্মিত হয়েছে। এই নদীটি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে বাংলাদেশের ভারতীয় সীমানার মধ্যে প্রবাহিত হয়েছে। ১.৯ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটি ভারতের সাব্রুমের সাথে বাংলাদেশের রামগড়কে সংযুক্ত করেছে।
বাণিজ্য বিভাগের সচিব কিরণ গিত্তে বলেন, ‘ইতিমধ্যেই মৈত্রী সেতু উদ্বোধন করা হয়েছে। স্থলবন্দর প্রায় তৈরি। সেপ্টেম্বর মাসে সেতু দিয়ে যাত্রীদের চলাচল শুরু হবে। যাত্রী চলাচল শুরু হওয়ার পর পণ্য চলাচল শুরু করতে আরও দুই বা তিন মাস সময় লাগবে।’ সেতুর মাধ্যমে পণ্য চলাচল শুধুমাত্র রাজ্যের জন্য নয়, সমগ্র উত্তর–পূর্ব ভারতের গুরুত্বপূর্ণ হবে। কারণ বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর ত্রিপুরার সাব্রুম থেকে মাত্র ৮০ কিলোমিটার দূরে।
কোভিড মহামারীর কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া ত্রিপুরার সিপাহিজলা জেলার কমলাসাগর সীমান্ত হাট খুব শীঘ্রই আবার চালু হবে বলে জানিয়েছেন কিরণ গিত্তে। বর্তমানে দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় অবস্থিত শ্রীনগর সীমান্ত হাট চালু রয়েছে। গত কয়েক বছরে জাতীয় সড়কের অনেক উন্নয়ন হয়েছে বলেও দাবি করেন বাণিজ্য সচিব কিরণ গিত্তে।
জাতীয় মহাসড়কের পাশে শিল্প এস্টেট স্থাপনের ওপর সরকার জোর দিচ্ছেও বলে জানান কিরণ গিত্তে। তিনি বলেন, ‘যদি ব্যবসা–বাণিজ্যে গতি না আসে, তাহলে জাতীয় মহাসড়কের রূপান্তরের উদ্দেশ্য বৃথা যাবে। তাই, আমরা বিদ্যমান শিল্প এস্টেটগুলিকে সহায়তা করার জন্য জাতীয় মহাসড়কের পাশে শিল্প এস্টেট স্থাপনের ওপর জোর দিচ্ছি। ৬ মার্চ দিল্লিতে অনুষ্ঠিত নর্থ–ইস্ট ইনভেস্টমেন্ট সামিটে রাজ্য ১৪টি মৌ স্বাক্ষর করেছে, যার পরিমাণ ১৮৬১.৫১ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৬ জন উদ্যোক্তা ইতিমধ্যেই শিল্প ইউনিট স্থাপনের জন্য ২৯.৮৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন।’
❤ Support Us