- দে । শ
- নভেম্বর ২৮, ২০২৪
নাম বাদ আবাসে, ভাঙা বাড়ির ছবি নিয়ে দরবার বিডিও অফিসে

কারও বাড়ি খণ্ডহর। কারও বাড়ির মাথায় ছাউনি বলতে রংচটা, শতচ্ছিন্ন ত্রিপল। কারও বাড়ির দেওয়াল বলতে পাটকাঠি বা দড়মা। বৃষ্টি হলে কারও বাড়ির টালির চালের ফাটাফুটো দিয়ে জল পড়ে মেঝে ভেসে যায়। কালনা ১নং ব্লকের নান্দাই পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামের এমন কয়েকজন বাসিন্দা আবাস যোজনার তালিকায় নাম তুলতে বিডিও অফিসে হাজির। নিজেদের হাড়-পাঁজরা বের হওয়া বাড়ির ছবি নিয়ে বিডিওর কাছে দরবার করতে আসা নতুনগ্রামের বাসিন্দা আনহারা বিবি, ঘুঘুডাঙার মকবুল শেখদের ক্ষোভ, ‘২০২২ সালে সরকারি আবাস প্রকল্পের তালিকায় আমাদের নাম ছিল। কিন্তু এখন যে তালিকা ধরে সমীক্ষা হচ্ছে, তাতে আমাদের নাম নেই।’ জানা গেল, সবমিলিয়ে আবাস যোজনার ঘর পাওয়ার ‘উপযুক্ত’ অন্তত ৩০ জনের নাম নেই। এরা খেতমজুর, তাঁতের কাজ, বিড়ি বাঁধা প্রভৃতি শ্রমসাধ্য কাজ করে কোনওরকমে সংসার চালান। সেরিনা বিবি, রাবেলা বিবিরা বলছিলেন, ‘আমাদের ঘরের অবস্থা খুবই সঙ্গীন। আমাদের প্রাপ্য ঘর যাতে পাই সেজন্য বিডিওর দ্বারস্থ হয়েছি।’ কালনা ১নং ব্লকের বিডিও সুপ্রতীক সাহা জানান, ‘নিয়ম অনুযায়ী আবাস তালিকায় যাদের নাম নেই, তারা যদি নিজেদের যোগ্য মনে করেন, তাদের সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে জানাতে হবে। পরবর্তী নির্দেশ আসলে তার ভিত্তিতে তদন্ত হবে। যাদের নাম বাদ গিয়েছে, কী কারণে বাদ গেল, খোঁজ নেওয়া হবে।’
এদিকে গোটা পূর্ব বর্ধমান জেলাজুড়ে আবাস যোজনার তালিকায় থাকা ১৬০০ পরিবারের খোঁজ মিলছে না। সমীক্ষার কাজে নিযুক্ত সরকারি প্রতিনিধিরা উধাও হওয়া ব্যক্তিদের খোঁজ পাননি। এমনকী গ্রামের সংশ্লিষ্ট বাসিন্দারাও ওইসব পরিবারগুলির হদিশ দিতে পারেননি। সমীক্ষকদের ধারণা, ওই পরিবারগুলি কর্মসূত্রে ভিনরাজ্যে চলে গিয়েছেন। এই অবস্থায় না পাওয়া নামগুলির তালিকা তৈরি করে প্রশাসনের তরফে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। গোটা জেলায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার পরিবারের নাম তালিকাভুক্ত হয়েছিল। প্রাথমিক তদন্তের পর ৩৫ হাজার পরিবারের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পর ডিসেম্বর মাসেই উপভোক্তাদের প্রথম কিস্তির টাকা মিটিয়ে দেবে রাজ্য সরকার।
❤ Support Us