- ন | ন্দ | ন | চ | ত্ব | র
- নভেম্বর ১৪, ২০২৩
“কারার ওই লৌহকপাট” বিতর্কে ইতি টানতে চেয়ে ক্ষমা চাইল “টিম পিপ্পা”, সুর বদলের অনুমতি কি কবির পরিবার দিতে পারে? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে
“কারার ওই লৌহকপাট” গানের রিমেক নিয়ে নানান প্রতিক্রিয়ার মুখে পড়ে অবশেষে “টিম পিপ্পা ক্ষমা চাইল। এ আর রহমান সম্প্রতি “পিপ্পা” সিনেমায় বাংলার বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের দেশাত্মবোধক গান কারার ওই লৌহ কপাট-এর রিমেক ব্যবহার করেছেন। এই গানের সুর ও গানের বাণীর ছন্দ বিকৃত হয়েছে। এ আর রহমানের সুর করা কারার ওই লৌহকপাট গানটি প্রকাশের পর শুরু হয়ে যায় বিতর্কের। অবশেষে সোমবার, প্রোডাকশন হাউস রায় কাপুর ফিল্মস ইনস্টাগ্রামে নজরুল ইসলামের দেশাত্মবোধক গান এ আর রহমানের পরিবেশনের ফলে তৈরি হওয়া বিতর্কের জন্য ক্ষমা চেয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে। তবে গানটি সিনেমা থেকে বাদ দেওয়া হয়নি।
ওই বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, “এই গানকে কেন্দ্র করে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে প্রযোজক, পরিচালক এবং সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে আমরা নজরুল পরিবারের থেকে প্রয়োজনীয় স্বত্ব নেওয়ার পরেই শিল্পের খাতিরে গানটিকে তৈরি করেছি। নজরুল ইসলাম এবং তাঁর সৃষ্টির প্রতি আমাদের মনে গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে। নজরুলের পুত্রবধূ কল্যাণী কাজী এবং তাঁর পুত্র কাজী অনির্বাণ কাজীর থেকে যাবতীয় নিয়ম মেনেই এই গানের স্বত্ব নেওয়া হয়েছিল। গানটির ঐতিহাসিক তাৎপর্যকে শ্রদ্ধা জানানোই আমাদের উদ্দেশ্য ছিল। গানের কথা ব্যবহার এবং সুরের পরিবর্তন চুক্তি অনুযায়ী করা হয়েছে। আমরা মূল গানটিকে ঘিরে শ্রোতাদের আবেগকে সম্মান করি। শিল্প যে হেতু ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গির উপর নির্ভরশীল, সেখানে আমাদের পদক্ষেপ যদি কারও আবেগে আঘাত করে থাকে, তার জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।”
তবে এই গানটি প্রকাশ পেয়েছে এবং তা নিয়ে বিতর্ক তৈরী হয়েছে শুক্রবার। আর টিম “পিপ্পা” ক্ষমা চাইল সোমবার, ইনস্টাগ্রাম পোস্টে। এখনও এই বিষয়ে এ আর রহমান মুখ খোলেননি। তবে টিম “পিপ্পা” যা জানিয়েছে তাতে এটা স্পষ্ট যে কল্যাণী কাজী ও তাঁর পুত্র অনির্বাণ কাজীর অনুমতি সাপেক্ষে, চুক্তি করেই গানের কথা ব্যবহার ও সুরের পরিবর্তন করা হয়েছে। তাই এ ক্ষেত্রে যদি কাউকে দোষী করতে হয় তাঁরা হলেন কল্যাণী কাজী ও অনির্বাণ কাজী। তাঁরা হতে পারেন নজরুলের উত্তরাধিকারী, তাই বলে কি তাঁর সৃষ্টিকে অর্থের বিনিময়ে চুক্তি করে বিকৃত করার অধিকার তাঁদের হয়ে যায়? এই প্রশ্ন করছেন বাংলার শিল্পীরা । তিনি বলেছেন, “কাজী নজরুল ইসলাম যদি এখন জীবিত থাকতেন তাহলে তিনিই একমাত্র এই গানের সুর বদলের অনুমতি দিতে পারতেন। তাঁর পরিবারের করোও এই গানের সুর ও ছন্দ বদলের অনুমতি দেওয়ার অধিকার নেই।”
প্রসঙ্গত ক্ষমা চাইলেও টিম “পিপ্পা” কিন্তু গানটি সিনেমা থেকে বাদ দিয়ে দেয়নি।
❤ Support Us