শিবভোলার দেশ শিবখোলা
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
সমলিঙ্গ বিবাহে কেন্দ্রের আপত্তি, দাম্পত্য সম্পর্কে কি গৈরিকীকরণের ইঙ্গিত?
সমলিঙ্গ বিবাহের স্বীকৃতির আবেদন সংক্রান্ত মামলা আরো পিছিয়ে গেল। সোমবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এ ধরনের গুরুতর ব্যাপারে গৃহীত কোনো সিদ্ধান্ত সামাজিক সম্পর্কের ওপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে তাই পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে মামলার আবেদন পাঠানো হল। আগামী ১৮ এপ্রিল মামলার শুনানি হবে।
কেন্দ্রীয় সরকার অবশ্য ইতিমধ্যেই আদালতকে জমা দেওয়া তাঁদের হলফনামায় নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে। তাঁদের মতে, সমলিঙ্গ বিবাহ ভারতীয় পরিবার ব্যবস্থার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। ভারতীয় পরিবার জৈবিক ভাবে একজন পুরুষ, জৈবিক ভাবে একজন নারী ও তাঁদের সন্তানকে নিয়ে মূলত গঠিত হয়। এ ধরণের বিয়ে সেই মূল পারিবারিক কাঠামোকে ধ্বংস করে দেবে। সামাজিক মুল্যবোধে ব্যাপক আঘাত আসবে। বিচারবিভাগের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের মন্তব্য। ভারতীয় ধর্ম ও সমাজ নিজস্ব অনুশাসনে চলে। বিচারবভাগীয় পদক্ষেপের মাধ্যমে পরিবর্তন কাঙ্খিত নয়,মামলার আবেদনকারীদের উদ্দেশে বলা হয়েছে সম লিঙ্গ সম্পর্ক চালু থাকলেই বিয়ে আইন অনুযায়ী করা যায় না কারণ তা হিন্দু বিবাহ আইন ও ব্যক্তিগত আইনের সঙ্গে সংঘাতপূর্ণ।
কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরণ রিজিজু হলফনামার বক্তব্যের সঙ্গে সম্পূর্ণ সহমত হতে পারেননি। তাঁর কথায়, ব্যক্তির ব্যক্তিগত পরিসরে কোনো সরকারের নাক গলানো কাম্য নয়। সরকার মানুষের ব্যক্তিগত পছন্দ -অপছন্দের পক্ষে । কিন্তু প্রশ্ন যহন বিবাহ প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে, তখন তা নিয়ে সবার সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেই পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।
সমলিঙ্গের সম্পর্কের স্বীকৃতির জন্য সারা বিশ্ব লড়াই হয়েছে। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর পশ্চিমের বহু দেশে মিলেছে সম প্রেম ও বিবাহের স্বীকৃতি। ভারতেও ২০১৩ সালে আইপিসি ৩৭৭ ধারা অনুযায়ী সমলিঙ্গে প্রণয়ঘটিত সম্পর্ককে অপরাধের তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। শীর্ষ আদালতের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছিল সমকামিদের তীব্র প্রতিবাদ। ২০১৮ সালে সমকামীদের প্রেমঘটিত সম্পর্ককে স্বীকৃতি দেওয়া হলেও বিবাহকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। যদিও ভারতে সমকামী দম্পতি বিরল নয়, বছর কয়েক আগেই এমন ঘটনার নজির সামনে এসেছিল। শান্তিতেই আছেন সেই সমকামি যুগল।
এখন কেন্দ্রের আপত্তির কারণ ভারতীয় পরিবার কাঠামো সম্পর্কে তাঁদের নিছক উদ্বেগ নাকি এর পিছনে রয়েছে দেশের গেরুয়াকরণের চিরাচরিত পরিকল্পনা? কারণ বিজেপি হোক কিংবা সংঘ পরিবার — হিন্দুত্ববাদী সংগঠন গুলোর কাছে সমকামিতা ভারতীয় ঐতিহ্যের পরিপন্থী । সমকামী সম্পর্কের জন্য গেরুয়া শিবিরের হাতে হেনস্থার শিকার হয়েছেন এমন উদাহরণ ভারতে কম নয়। ২০১৪ সালে বিজেপি সরকার গঠনের পর এ প্রবণতা আরো বেড়েছে। তাই সমকামের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকারের অবস্থান স্বাভাবিক। কিন্তু সমকাম নিয়ে সংঘ পরিবারের বক্তব্য হিন্দু পুরাণ সমর্থিত নয়। শিবের অর্ধনারীশ্বরের ধারণা,বিষ্ণুর মোহিনী রূপ,কাশী রাজকন্যা অম্বার দ্রুপদ কন্যা শিখণ্ডীতে রূপান্তর, ইলার রাজা শ্যুদ্যোমে পরিণত হওয়া এসবই সমকামিতার প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত। কিন্তু বৈচিত্র্যধর্মী হিন্দু ধর্মকে একটি সংগঠিত রূপ দিতে গেলে এসব আখ্যান অপ্রয়োজনীয়, পরিহার যোগ্য। তাই আরএসএস আর তার রাজনৈতিক শাখা বিজেপির কাছে ধর্ম আজ ব্যক্তি মানুষের ব্যক্তি স্বাধীনতা হরণের মাধ্যম ব্যতীত আর কিছু নয়।
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
সৌরেনির উঁচু শিখর থেকে এক দিকে কার্শিয়াং আর উত্তরবঙ্গের সমতল দেখা যায়। অন্য প্রান্তে মাথা তুলে থাকে নেপালের শৈলমালা, বিশেষ করে অন্তুদারার পরিচিত চূড়া দেখা যায়।
মিরিক নামটি এসেছে লেপচা ভাষার “মির-ইওক” শব্দ থেকে, যার অর্থ আগুনে পুড়ে যাওয়া জায়গা।
15:34