Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • নভেম্বর ২০, ২০২৩

উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে ৯ দিন পরও আটকে ৪১ জন শ্রমিক, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে খোঁজ নিলেন প্রধানমন্ত্রী

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে ৯ দিন পরও আটকে ৪১ জন শ্রমিক, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে খোঁজ নিলেন প্রধানমন্ত্রী

৯দিন ধরে উত্তরকাশীর পাহাড়ি সুড়ঙ্গে আটকে রয়েছেন ৪১ জন শ্রমিক। আরও বড় বিপর্যয় যাতে না ঘটে তাই সতর্ক ভাবে উদ্ধার কাজ চালান হচ্ছে। নানা উন্নত প্রযুক্তিও ব্যবহার করা হচ্ছে উদ্ধার কাজে। এই পরিস্থিতিতে ৯ দিন পর উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং থামির সঙ্গে সোমবার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ৯দিন পর প্রধানমন্ত্রী উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীকে বললেন, “শ্রমিকদের মনোবল যাতে ভেঙে না যায়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে কেন্দ্র ও রাজ্য যৌথ ভাবে উদ্ধার কাজ করবে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ঘটনা সম্পর্কে সমস্ত খোঁজ প্রধানমন্ত্রী নিয়েছেন। বর্তমানে পাইপের মধ্যমে সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের জীবনদায়ী অক্সিজেন, খাবার হিসাবে পাঠান হচ্ছে রুটি,সবজি। প্রধানমন্ত্রী তিনবার উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীকে ফোনও করেছেন।

উত্তরকাশীর এই দুর্ঘটনায় এর আগে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় সড়ক যোগাযোগ মন্ত্রী নিতিন গড়করি। ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিতিন বলেছিলেন, ” আমরা সফল হবই।”
এবার প্রধানমন্ত্রী এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করলেন। রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় উদ্ধারকারী সংস্থা জরুরি ভিত্তিতে কাজ করছে। নেওয়া হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, সুড়ঙ্গে অক্সিজেন, খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে। লক্ষ্য হচ্ছে অক্ষত অবস্থায় সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের বাইরে বের করে আনা। উদ্ধারকারীদল এখনও পর্যন্ত ৪১ মিটার এগিয়েছে আটকে পড়া শ্রমিকদের দিকে। উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা আশাবাদী, তারা উদ্ধার কাজে সফল হবেই।

গত ১২ নভেম্বর ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ব্রহ্মখাল-যমুনোত্রী হাইওয়ের নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গটির একটি অংশ ধসে পড়ে। তার পর থেকেই সেই অভিশপ্ত সুড়ঙ্গে আটকে রয়েছে ৪১ জন শ্রমিক। তাদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ৩ জন শ্রমিক রয়েছেন। সুড়ঙ্গের ভেতর পাইপের সাহায্যে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিককে অক্সিজেন ও খাবার পাঠান হচ্ছে। তবে ৯ দিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে উদ্ধারকাজ সেই অর্থে এগোয়নি। শ্রমিকদের সুড়ঙ্গ থেকে বার করে আনতে যে চেষ্টা চাোান হয়েছে তা ইতিমধ্যেই দুবার থমকে গিয়েছে। ধসে পড়া পাথরের মধ্য দিয়ে ড্রিল করে পাইপ ঢুকিয়ে উদ্ধারকাজ করার সময় সুড়ঙ্গ সংলগ্ন এলাকায় ধসের আশঙ্কায় দুবার থমকে গেছে উদ্ধার কাজ। এই কাজ থমকে যায় শুরবার, রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধারকাজ নতুন করে শুরু হয়নি। আজ সোমবার ফের উদ্ধারের কাজ শুরু হওয়ার কথা।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!