Advertisement
  • দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
  • মে ৩, ২০২৪

দুর্নীতি নিয়ে ইন্ডি জোটকে আক্রমণ। মোদি কন্ঠের আশ্বাস, চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকদের আইনি সাহায্য করবে রাজ্য বিজেপি । আয়নায় নিজের মুখ দেখুন, চাকরি খেয়েছেন আপনারাই, মোদিকে কটাক্ষ মমতার

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
দুর্নীতি নিয়ে ইন্ডি জোটকে আক্রমণ। মোদি কন্ঠের আশ্বাস, চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকদের আইনি সাহায্য করবে রাজ্য বিজেপি । আয়নায় নিজের মুখ দেখুন, চাকরি খেয়েছেন আপনারাই, মোদিকে কটাক্ষ মমতার

যোগ্য চাকরিহারাদের আইনি সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । বর্ধমানের প্রচার সভা থেকে তিনি বলেন, কোর্টের নির্দেশে যে ২৬ হাজার স্কুল শিক্ষকদের চাকরি বাতিল হয়েছে, তাদের মধ্যে যারা যোগ্য, তাদের চাকরি ফিরে পাওয়ার আইনি লড়াইয়ে সহায়তা করবে রাজ্য বিজেপি। পূর্ব বর্ধমানের রায়না জনসভা থেকে পাল্টা আক্রমণ করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এখন ভোট পাওয়ার লক্ষ্যেই, কোর্টের রায় ঘোষণার আট দিনের মাথায় যোগ্য চাকরিহারাদের নিয়ে সাওয়াল করছেন প্রধানমন্ত্রী। একজন দেশের নেতার মুখে একথা শোভা পায় না।

 

রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট ২০১৬ সালের পুরো নিয়োগ প্যানেলকেই বাতিল করেছে । ফলে চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক । এতিমধ্যেই হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে রাজ্য স্কুল শিক্ষক নিয়োগ কমিশন । মামলার প্ৰথম দিনের শুনানিতেই নিয়োগের জালিয়াতি নিয়ে রাজ্যকে ভৎর্সনা করেছেন দেশের প্রধান বিচারপতি । রাজ্যের তরফে করা আপিলে আপতত রাজ্য মন্ত্রীসভায় পাশ হওয়া অতিরিক্ত পদ নিয়ে সিবিআই তদন্ত স্থগিত রেখেছে পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত । কীভাবে যোগ্য এবং অযোগ্য প্রার্থী আলাদা করা হবে সে প্রসঙ্গেও প্ৰশ্ন তুলেছে শীর্ষ আদালত । মামলার পরবর্তী শুনানি ৬ মে । অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে চাকরি যাওয়া শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীরা উদ্বিগ্ন । ইতিমধ্যেই যোগ্যতার ভিত্তিতে যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন তারা আন্দোলন শুরু করেছেন । সেই মুহূর্তে বর্ধমানের ভোট প্রচারে এসে মোদি কন্ঠে নিয়োগ দুর্নীতিতে যোগ্য চাকরিহারাদের আইনি আশ্বাস বঙ্গ রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করল । ইতি মধ্যেই রাজ্যের শাসকদল চাকরিহারাদের পক্ষে প্ৰশ্ন তুলেছে, বিজেপি রাজনৈতিক স্বার্থেপূরণে বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করছে, চাকরি খাচ্ছে শিক্ষকদের । এমনিতেই ১০ বছরের মোদি জামানায় ২ কোটি নতুন চাকরির প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করেছে বিরোধীরা । সেখানে নতুন করে, এরাজ্যে প্রায় ২৬ হাজার চাকরিহারদের অনিশ্চিত ভবিষ্যত নিয়ে খানিকটা ব্যাকফুটে মোদি সরকার ।

শুক্রবার বর্ধমানের প্রচার মঞ্চ থেকে, নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে বিষদগার করে মোদি বলেন, ‘তৃণমূলের নেতাদের বাড়ি থেকে এত টাকা পাওয়া যাচ্ছে, যা গুণতে গুণতে মেশিন ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছে ‘। নাম না করেই কটাক্ষ করেন নিয়োগ দুর্নীতিতে আটক রাজ্যের মন্ত্রী ও শিক্ষাকর্মীদের নিয়ে । এজন্য রাজ্য বিজেপির তরফে একটি লিগ্যাল সেল এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম বানানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের তূণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের ভাইরাল হওয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে মোদি বলেছেন, বাংলায় হিন্দুদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক করে রেখেছে রাজ্যের ক্ষমতাসীন সরকার । জয় শ্রী রাম স্লোগান বিরোধিতা নিয়েও কটাক্ষ করেন তিনি । রাজ্যের শাসক দলের প্রতি ক্ষোভ উগরে তিনি বলেন, বাংলায় অনেক লোক আছে যাঁরা জয় শ্রীরাম স্লোগানে বিরক্ত হন, ওদের স্বর চলে আসে । রাম মন্দির নির্মান এবং রামনবমীর মিছিল নিয়েও বাংলায় আপত্তি তোলা হয় । পাশাপাশি সন্দেশখালি প্রসঙ্গ উত্থাপন করে তিনি মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকারের সমালোচনা করে বলেছেন, ওখানে মূল অভিযুক্তকে আড়াল করার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার, কারণ তূণমূল তোষণের রাজনীতি করে ।

এর প্রত্যুত্তরে পূর্ব বর্ধমানের রায়না থেকে মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, ‘আট দিন হওয়ার পর এখন উনি কথা বলতে এসেছেন। আমরা চাকরিহারা যোগ্য প্রার্থীদের জন্য আগেই আইনি লড়াই শুরু করেছি।রাজ্য ও রাজ্য শিক্ষা দফতর ওদের জন্য লড়ছে । আমরা কার চাকরি খেতে দেব না । জীবন দিয়েও লড়াই করব। প্রথম দিন থেকেই বলেছি।তখন কোথায় ছিলেন মোদি বাবু ? সিপিএম কে টাকা দিয়ে দাঁড় করিয়েছে আপনার দল। সিপিএম বা বিজেপি এক সাথে চাকরি খেয়েছে । আপনাদের লজ্জা হওয়া উচিত। আপনার কোন প্রয়োজন নেই যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের। বাম আমলে ত্রিপুরায় দশ হাজার শিক্ষকদের চাকরি খেয়েছিল আপনার দল। বলেছিলেন ক্ষমতায় এসে গেলে আবার চাকরি দেবেন যা এখনও পর্যন্ত দেননি। নির্বাচন এলে মনে পড়ে মানুষের দ্বগ্ধ জায়গায় ঘা দিতে। আয়নায় নিজের মুখ দেখুন ।আপনার দল চাকরি খেয়েছে।’ মমতা আরও বলেন, একজন দেশের নেতা কেমন হয় ? দেশকে যিনি ভালোবাসেন।কিন্তু উনি দেশকে, দেশের সংবিধানকে বিক্রি করে দিতে চাইছেন। এবার ওরা ভোটে জিতলে একমাত্র উনি থাকবেন। দেশও থাকবে না, মানুষও থাকবে না।

বৃহস্পতিবার, বীরভূমে অন্য একটি জনসভা থেকেও ইন্ডিয়া জোটকে আক্রমণ করে মোদি বলেন, ২০০৪ সালে ইন্ডি জোটকে আপনারা একটা সুযোগ দিয়েছিলেন, ওরা ক্ষমতায় এসে ২০১৪ সাল পর্যন্ত লক্ষ কোটি টাকার দুর্নীতি করেছে।টেলিকম, সাবমেরিন, হেলিকপ্টার, কমনওয়েলথ গেমস নিয়েও দুর্নীতি করেছে। এই রাজ্যেও শাসক দল দুর্নীতির রেকর্ড গড়ছে । এবার বিকশিত ভারতের লক্ষ্যেই আমাদের ভোট দিন

 


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!