- এই মুহূর্তে দে । শ
- জানুয়ারি ১২, ২০২৪
রামমন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠার পবিত্র দায়িত্ব পালনের আগে ১১ দিনের “কঠোর সংযম” শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী
১১ দিন “কঠোর সংযম” পালন করে ২২ জানুয়ারি রামমন্দিরের প্রাণপ্তিষ্ঠা করার কথা ভিডিও বার্তায় ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। অন্তরাত্মাকে জাগ্রত করে রামমন্দিরে রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠার পবিত্র দায়িত্ব সম্পন্ন করার জন্যই প্রধানমন্ত্রীর এই প্রয়াস।
হাতে গোনা আর ১১ দিন বাকি অযোধ্যায় রামমন্দিরের প্রাণপ্রতিষ্ঠার। এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা রামমন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠার “পবিত্র দায়িত্বভার” পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাই শুক্রবার, ১২ জানুয়ারি থেকেই “কঠোর সংযম” শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী ১১ দিন তিনি নানাবিধি শাস্ত্রীয় বিধিনিষেধ মেনে এবং ব্রত পালন করে “অন্তরের পবিত্র আত্মাকে জাগ্রত” করতেই প্রধানমন্ত্রীর এই প্রয়াস।
प्राण-प्रतिष्ठा से पूर्व 11 दिवसीय व्रत अनुष्ठान का पालन मेरा सौभाग्य है। मैं देश-विदेश से मिल रहे आशीर्वाद से अभिभूत हूं। https://t.co/JGk7CYAOxe pic.twitter.com/BGv4hmcvY1
— Narendra Modi (@narendramodi) January 12, 2024
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুক্রবার এক ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি ভাগ্যবান যে এই পবিত্র মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে পারছি। যে স্বপ্নটাকে অনেক যুগ ধরে, অনেক বছর ধরে আমার হৃদয়ে লালনপালন করে আসছি, সেই স্বপ্নপূরণের সাক্ষী হতে পারছি। মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠার জন্য কিছু নিজেদের মধ্যেও ঈশ্বর চেতনা জাগানোর প্রয়োজন। ঈশ্বরের যজ্ঞের জন্য, আরাধনার জন্য নিজেদের মধ্যেও দৈব চেতনা জাগ্রত করতে হয়। তাই আজ থেকে ১১ দিন আমি কঠোর ব্রতপালন করব।”
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২২ জানুয়ারি রামলালার পুজো করে দুপুরের দিকে রামমন্দিরে প্রতিষ্ঠিত হবেন রামলালা। তার আগে টানা সাতদিন ধরে শাস্ত্রীয়বিধি অনুযায়ী চলবে রামলালা প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি এবং পূজার্চনা। ১৬ জানুয়ারি থেকে আরম্ভ করে ২২ জানুয়ারি, টানা সাতদিন ধরে চলবে নানা অনুষ্ঠান। ১৬ জানুয়ারি দশবিধ স্নান দিয়ে শুরু হবে সাতদিনব্যাপী উৎসবের সূচনা। অযোধ্যায় আগত ভক্তরা সরযূ নদীতে স্নান করবেন। এছাড়াও বিষ্ণুর আরাধনা এবং গোদান হবে ওই দিন।
১৭ জানুয়ারি রামলালার বিগ্রহ নিয়ে শোভযাত্রা হওয়ার কথা ছিল কিন্তু নিরাপত্তার কারণে সেই অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। ওইদিন মঙ্গল কলসে করে সরযূ নদীর জল নিয়ে যাবেন ভক্তরা। পরের দিন গণেশ-অম্বিকা পুজো, বরুণ পুজো, মাতৃকা পুজো, ব্রাহ্মণ বরণ, বাস্তুপুজো হবে। ১৯ জানুয়ারি যজ্ঞের পাশাপাশি অগ্নি ও নবগ্রহ স্থাপন হবে রামমন্দিরে। পরের দিন সরযূ নদীর জলে ধৌত করা হবে রামমন্দিরের গর্ভগৃহ। এছাড়াও অধিবাস, বাস্তু শান্তি করা হবে ওইদিনই। মন্দির উদ্বোধনের আগের দিনই ১২৫টি কলসের জল দিয়ে স্নান করানো হবে রামলালা বিগ্রহকে। এই মহাযজ্ঞ শুরুর আগেই নিজের অন্তরের পবিত্র অন্তর্জামীকে জাগ্রত করার জন্য নরেন্দ্র মোদি শুরু করলেন একাদশ সংযমপর্ব।
❤ Support Us