Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • মে ১৩, ২০২৪

ভোট প্রচারে পাচক মোদি, পাটনা সাহিবে করলেন খাওয়ার পরিবেশন

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
ভোট প্রচারে পাচক মোদি, পাটনা সাহিবে করলেন খাওয়ার পরিবেশন

মাথায় তাঁর গেরুয়া রঙের পাগড়ি, হাতে বালতিতে লঙ্গরের খাবার, পরিবেশন করছেন গুরুদুয়ারায়। পাটনা সাহিবে পঙক্তিভোজনে এমন রূপেই দেখা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে।

দেশ জুড়ে চলছে সাত দফার লোকসভা নির্বাচন। আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী গিয়েছিলেন বিহারের রাজধানী পাটনায় এনডিএ প্রার্থীর হয়ে ভোটের প্রচারে। এছাড়াও হাজিপুর, মুজাফফরপুর এবং সারানে  নির্বাচনী সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। সেখানে ভোটের প্রচারে গিয়ে শিখ সম্প্রদায়ের এই অন্যতম উল্লেখযোগ্য তীর্থে গিয়ে খাবার রান্না করে, পরিবেশন করলেন নরেন্দ্র মোদি।

‘পাটনা সাহিব’ তথা’ তখত হরিমন্দিরজি পাটনা সাহিব’  শিখসম্প্রদায়ের দশম গুরু গোবিন্দ সিংহের জন্মস্থান বলে পরিচিত। শিখদের পবিত্র পাঁচটি তখতের একটি হল এই পাটনা সাহিব। ১৬৬৬ সালে জন্ম  গ্রহণ করেন  খালসা প্রথার জনক । আনন্দপুর সাহিবে গমনের পূর্বে জীবনের প্রথম দিকটা তাঁর কেটেছে এখানেই।অষ্টাদশ শতকে  ধর্মস্থানটি নির্মাণ করেন মহারাজা রঞ্জিত সিং। এমন একটি ঐতিহাসিক স্থানে এসে আপ্লুত নরেন্দ্র মোদি তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও পোস্টসহ  লেখেন,’পটনা আমাদের সবসময়ই সমর্থন করে এসেছে। এই ট্রেন্ড আগামী দিনেও থাকবে। ‘

নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে ধর্মস্থানে সফর করা রাজনৈতিক দলগুলির ক্ষেত্রে নতুন কিছু নয়, তবে সেখানে রান্না করা বা প্রসাদ বিতরণ, এমন ভূমিকায় কোনো প্রধানমন্ত্রীকে দেখেনি দেশ।কৈশোরে চা বিক্রি করেছেন, তাই চাওয়ালা দেশের প্রধানমন্ত্রী, এহেন বিরোধী কটাক্ষকে দূরে সরিয়ে নিজের ভিন্ন ইমেজ আগেই তৈরি করেছিলেন মোদি।প্রশাসনিক সফরে কিংবা দলীয় প্রচার সভায় যাওয়ার পথে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে পাচকের ভূমিকায় দেখা গেছে, সফরের সময় দোকানে ঢুকে কখনো মোমো, চা, চপ ভেজেছেন তিনি।দার্জিলিং, জলপাই গুড়ি, দীঘায়, বেলপাহাড়িতে মমতার এই রূপ নিয়ে শিরোনাম হয়েছে সংবাদমাধ্যমে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি, আম আদমি পার্টির অরবিন্দ কেজরিওয়াল সহ অন্যান্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তাঁদের সফরে প্রান্তিক মানুষের অতিথি হয়ে নেমতন্নে গেলেও, রাঁধতে দেখা যায়নি ।

মোদির নতুন এই রূপ নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষ এটাও প্রচারমুখী প্রধানমন্ত্রীর চমক মাত্র। কেউ কেউ বলছেন, সন্দেশখালিতে কর্তব্যরত শিখ ধর্মাবলম্বী পুলিশ আধিকারিক যশপ্রীতি সিং কে খালিস্তানি বলে মন্তব্য করায় বিপাকে পড়েছিল তাঁর দল।দেশজুড়ে উঠেছিল সমালোচনার ঢেউ।তারপর সন্দেশখালি নিয়ে প্রকাশিত একাধিক ভিডিয়ো নিয়ে বঙ্গে বেকায়দায় তার দল। নারী নির্যাতন নিয়ে মিথ্যা প্রচার করতে গিয়ে নারী অবমাননার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। এবার সেই ক্ষতেই প্রলেপ লাগাতেই কী নয়া অবতারে এলেন প্রধানমন্ত্রী।

 


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!