Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • জুন ২২, ২০২৪

বন্ধুত্বের অঙ্গীকার, নীল অর্থনীতির পথে সহযাত্রী দুই রাষ্ট্র

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
বন্ধুত্বের অঙ্গীকার, নীল অর্থনীতির পথে সহযাত্রী দুই রাষ্ট্র

দিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক হয়। আলোচনা শেষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, ‘ভারত আমাদের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী ও বিশ্বস্ত বন্ধু।’ দু’দেশের রাষ্ট্রনেতা ও প্রতিনিধিদের  বৈঠকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ চুক্তির রূপরেখা চূড়ান্ত হল । তার মধ্যে অন্যতম, ইন্দো-প্যাসিফিক সমুদ্রাঞ্চলে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা চুক্তি। ওই  প্রসঙ্গ উল্লেখ করে হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মোদি।তিনি  জানিয়েছেন, ‘এই চুক্তির ফলে নীল অর্থনীতির পথে দুই দেশ এক সঙ্গে চলবে ।’

দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠকে আলোচিত বিষয় নিয়ে পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ভারতের বিদেশ সচিব বিনয় কুয়াত্রা জানিয়েছেন,’বাংলাদেশ ভারতের সাগর ডক্ট্রিন এবং ইন্দো-প্যাসিফিক ভিশনের একটি মূল অংশ।


সামুদ্রিক সহযোগিতা ও নীল অর্থনীতিতে যে মৌ স্বাক্ষরিত হয়েছিল তার পুনর্নবীকরণ হল আজ। এই সামুদ্রিক মৌ-চুক্তিটি সংশ্লিষ্ট এলাকায় গবেষণার ফ্রেমওয়ার্ক স্থাপন করবে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় মৌ পুনর্নবীকরণের ফলে এই সমগ্র অঞ্চলের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।আমরা দুর্যোগগত ঝুঁকি হ্রাস করার পাশাপাশি সেই সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনার ওপরে কাজ করব। ইন্দো- প্যাসিফিক সামুদ্রিক উদ্যোগে এটি অন্যতম স্তম্ভ রূপে স্বীকৃত। ‘ পাশাপাশি এদেশে চিকিৎসার জন্য আসা বাংলাদেশের নাগরিকদের ইভিসা প্রদানের প্রক্রিয়া দ্রুত করার বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে ওই বৈঠকে । ঢাকার পাশাপাশি রংপুরে ভারতীয় দূতাবাসের আরো একটি দফতর খোলা হবে ।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দু দিনের সফরে ভারতে এসেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার বিকেলে নয়াদিল্লি পৌঁছেছেন তিনি। সন্ধ্যায় তাঁর সঙ্গে হোটেলে গিয়ে দেখা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এ সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর সমাজমাধ্যমে লেখেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে অত্যন্ত আনন্দিত বোধ করছি। তাঁর এ সফর আমাদের দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ ও নিবিড় সম্পর্ককে প্রতিষ্ঠা করেছে। আমাদের সহযোগিতার পথ যেন আরও বিস্তৃত হয় সে বিষয়ে তাঁর ভূমিকা একান্ত কাম্য।’ বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর এ সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে।


শনিবার সকালে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীকে দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে আনুষ্ঠানিক সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। তারপর তিনি দিল্লির রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধির সমাধিতে পুষ্প স্তবক অর্পণ করেন।।লোকসভা ভোটের শেষে দেশে নতুন মন্ত্রীসভা গঠনের পর এই প্রথম কোনও বিদেশি রাষ্ট্রনায়ক এদেশের মাটিতে পা রাখলেন।
এই মুহূর্তে দক্ষিন এশিয়ার বাংলাদেশ ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য- সঙ্গী । দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা, রেলপথ প্রকল্প,শক্তিক্ষেত্রে সহযোগিতা, নদীর জলের বণ্টন প্রভৃতি বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্ক বর্তমান রয়েছে।


হাসিনার সফরসঙ্গী হিসাবে দিল্লিতে এসেছেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, ‘অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ’ মহম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সলমন ফজলুর রহমান, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনেইদ আহমেদ, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম, মুখ্য সচিব মহম্মদ তোফাজ্জল হোসেন মিঞা, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার, সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামিম-সহ বহু উচ্চপদস্থ আধিকারিক।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!