- এই মুহূর্তে দে । শ
- অক্টোবর ৩, ২০২৩
বিহারের জাতিগত জনগণনা নিয়ে বিরোধীদের নিশানা মোদির, “দেশ ভাগের চেষ্টা চলছে”

নাম না করে জাতিগত জনগণনা প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরোধীদের নিশানা। প্রধানমন্ত্রী বললেন, জাতপাতকে ব্যবহার করে দেশের মানুষের সঙ্গে পাপ করছে বিরোধী দলগুলো। শুধুমাত্র জাতিগত পরিচয়ের ভিত্তিতে দেশের মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে বিরোধীরা। প্রধানমন্ত্রী এভাবেই নাম না করে বিহারের জাতিগত জনগণনার ফলাফলকে সমালোচনা করলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৬০ বছর ধরে এইভাবেই মানুষের মধ্যে বিভাজন তৈরি করা হয়েছে। মধ্যপ্রদেশের একটি জনসভা থেকে এই মন্তব্য করেন নরেন্দ্র মোদি। কংগ্রেস তথা বিরোধীদের “উন্নয়নের শত্রু” বলে বিঁধলেন নরেন্দ্র মোদি।
মধ্যপ্রদেশের একটি জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় মোদি বলেন, “গত ৬০ বছর ধরে “উন্নয়নের শত্রুরা” কোনও ভালো কাজ করেনি। কিন্তু গত ৯ বছরে বিজেপি এসে প্রচুর উন্নয়ন করেছে। গোটা বিশ্ব আজ ভারতের প্রশংসা করছে। কিন্তু সেই ভালো কাজগুলোই এতদিন হয়নি কেন? আসলে তারা গরিব মানুষের আবেগ নিয়ে খেলেছে। জাতি পরিচয়ের ভিত্তিতে বিভাজন ঘটানোর চেষ্টা করা চলছে সমাজে। বিরোধীরা দেশকে ভাগ করতে চাইছে জাতের ভিত্তিতে। সেই পাপ কাজ এখনও চালিয়ে যাচ্ছে তারা।” নাম না করে কংগ্রেস-সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলোকে তোপ দাগেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, সোমবারই প্রকাশিত হয়েছে বিহারের জাতিগত জনগণনার ফলাফল। রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, বিহারের জনসংখ্যার ৬৩ শতাংশ অনগ্রসর শ্রেণি সম্প্রদায়ের। তার মধ্যে ৩৬ শতাংশই অত্যধিক অনগ্রসর শ্রেণিভুক্ত। জেনারেল কাস্টের অন্তর্গত রয়েছেন ১৫ শতাংশ জনতা। এছাড়াও তফসিলি জাতির অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন ১৯ শতাংশ। জাতিগত জনগণনার ফলাফলকে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ বলে অভিহিত করেছেন আরজেডি প্রেসিডেন্ট লালু প্রসাদ যাদব।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আসন্ন জনগণনায় তফসিলি জাতি ও উপজাতি ছাড়া আর কোনও জাতপাতের উল্লেখ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। কেন্দ্রের আপত্তি উড়িয়ে লোকসভা নির্বাচনের আগেই শুরু হয়েছিল বিহারে জাতিগত জনগণনা। কংগ্রেসও জানিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনে জিতলে গোটা দেশেই জাতিগত জনগণনা তারা করবেই। সেই সিদ্ধান্তকে বিভেদ বাড়ানোর চেষ্টা বলে তোপ দাগলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
❤ Support Us