- এই মুহূর্তে দে । শ
- মে ২৫, ২০২৪
প্রধানমন্ত্রীর সফরে হোটেলে বকেয়া ৮০ লাখ, আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি কর্তৃপক্ষের

গত এপ্রিলে কর্ণাটক সফরে যে বিলাসবহুল হোটেলে রাত্রিবাস করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সেখানেই বকেয়া বিল ৮০ লক্ষ টাকা, যা নিয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের হুঁশিয়ারি দিল হোটেল কর্তৃপক্ষ। এই বিল মেটানোর দায় কর্ণাটকের রাজ্য বন দফতরের।
একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি সংবাদপত্রের মতে, গত বছর এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী মাইসোর সফরে এসে ওঠেন ‘হোটেল র্যাডিশন ব্লু’-এ। ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথরিটি (এনটিসিএ) এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন (এমওইএফ) মন্ত্রক আয়োজিত একটি প্রকল্প টাইগার ইভেন্টের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তিনি শহরে এসেছিলেন। রিপোর্ট অনুসারে, রাজ্য বন বিভাগকে ৯ থেকে ১১এপ্রিল পর্যন্ত অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। অনুষ্ঠানের জন্য প্রাথমিকভাবে ৩ কোটি টাকা বাজেট নির্ধারণ করা হয়েছিল ।
কিন্তু খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণে , খরচ আরও বৃদ্ধি পায়। কেন্দ্র ৩ কোটি টাকা সহায়তা দিলেও ,বকেয়া রয়ে গিয়েছে ৩.৩ কোটি টাকা। জলবায়ু মন্ত্রককে একাধিকবার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।
রিপোর্ট অনুযায়ী, অনুষ্ঠানের আনুমানিক খরচ ছিল ৩ কোটি টাকা। এনটিসিএ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রোগ্রামের জন্য অতিরিক্ত খরচ অন্তর্ভুক্ত করা হয়। গত বছরের অক্টোবরে, কর্ণাটকের এনটিসিএ-এর ডেপুটি ইন্সপেক্টর-জেনারেলকে বকেয়া পাওনার কথা মনে করিয়ে দিয়ে চিঠি লেখা হয়। এনটিসিএ জানায়, মাইসুরুর রেডিসন ব্লু প্লাজায় প্রধানমন্ত্রীর সফর থাকার সময় যে খরচ হয়েছে তা পরিশোধের দায় রাজ্য সরকারের।
২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী রূপে শপথ নেওয়ার পর নরেন্দ্র মোদির ঘন ঘন বিদেশ যাত্রা নিয়ে একাধিকবার বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর বিদেশ সফর ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচের বহরে স্বাভাবিকভাবেই কোষাগার প্রভাবিত হবে। অতিমারি পরবর্তী অর্থনৈতিক ধাক্কা এখনও পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেনি ভারত। কিন্তু বিদেশ সফরের খরচে তার কোনও প্রভাব পড়েনি। এর আগে তাঁর প্রথম মন্ত্রীসভার কয়েকজন সাংসদের খরচ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিজেপি।পরবর্তী সময়ে সাংসদদের কাছে ব্যয় সঙ্কোচনের আবেদন করতেও দেখা গেছে প্রধানমন্ত্রীকে । কিন্তু এবার তার বিরুদ্ধেই উঠল প্রশ্ন।
❤ Support Us