- এই মুহূর্তে দে । শ
- মে ১৭, ২০২৪
সাংবাদিক সম্মেলন প্রসঙ্গে মোদির মন কি বাত।হাস্যকর অভিযোগ, কটাক্ষ বিরোধীদের
তাঁর দশ বছরের শাসনামলে এক বারের জন্যও তাঁকে সাংবাদিক সম্মেলন করতে দেখা যায়নি। এই নিয়ে বিরোধীদের তরফে কটাক্ষ উড়ে এলেও তাতে কর্ণপাত করেননি। তিনি , ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদি। ২০২৪ এর নির্বাচনী প্রচারের শুরু থেকেই একাধিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি । সাম্প্রতিকতম সাক্ষাৎকারেই জানালেন তাঁর ‘মন কি বাত’। বললেন, সংবাদমাধ্যম এখন আর আগের মতো নিরপেক্ষ নেই।তিনি শুধুমাত্র দায়বদ্ধ সংসদের কাছে। যেখানে দায়বদ্ধতা নেই, সেখানে কোনো জবাবদিহি করতেও তিনি বাধ্য নন।
কেন কোনো সাংবাদিক সম্মেলন করেন না সেই প্রশ্নের উত্তরে বলেন, আজকালকার সংবাদমাধ্যম কোনো আলাদা সত্বা নয়। পক্ষপাতদুষ্ট। সাংবাদিকেরা প্রত্যেকেই নিজস্ব মতামতের মধ্যে আবদ্ধ। নিরপেক্ষতা বলে যা কিছু ছিল তা ছিল পক্ষপাতহীনতা। আজ তা নেই। ‘
তিনি বলেন, আগে মিডিয়া ছিল মুখহীন। কে লিখছেন, কী লিখছেন, তাঁর মতাদর্শ কী—এসব নিয়ে কেউ ভাবনাচিন্তা করত না। কিন্তু কে কোন মতাদর্শের আজ তা স্পষ্ট বোঝা যায়।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এখন মিডিয়া যেন কিছুটা রাজনৈতিক কণ্ঠস্বরের মতো আচরণ করে। রাজনৈতিক দলগুলি তাদের সবার অ্যাজেন্ডা প্রকাশ করার জন্য মিডিয়াকে ব্যবহার করে। তারাই সেই রাজনৈতিক দলটির পরিকল্পনা সারা দেশে প্রচার করে দেয়। মোদি দাবি করেন, তিনি একটি ভিন্ন সংস্কৃতি আমদানি করেছেন। তাঁর মতে,’খাটতে হবে। পরিশ্রম করতে হবে। গরিবদের ঘরে ঘরে যেতে হবে। আমিও তো বিজ্ঞান ভবনে (দিল্লির প্রধান সম্মেলনকক্ষ) অনুষ্ঠানের ফিতে কেটে ছবি তুলে তা মিডিয়া মারফত প্রচার করতে পারতাম। কিন্তু তা না করে আমি ঝাড়খন্ডের কোনো এক ছোট জেলায় গিয়ে ছোট কোনো প্রকল্পের জন্য কাজ করেছি। এটাই নতুন সংস্কৃতি। এই সংস্কৃতি মিডিয়ার পছন্দ হলে তারা তা প্রচার করবে। পছন্দ না হলে প্রচার করবে না।’
অতীতের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মোদি জানালেন , সে সময় জনসভায় গিয়ে জনতাকে জিজ্ঞেস করতাম,কেউ কালো পতাকা দেখাচ্ছে না কেন? দু–চারটি কালো পতাকা সাথে মজুত রাখা উচিত ছিল, যা দেখে খবরের কাগজ লিখবে, মোদি এসেছিলেন। দশজন তাঁকে কালো পতাকা দেখিয়েছে। না হলে জনতা বুঝবে কী করে যে মোদি এসেছিলেন? কালো পতাকা ছাড়া আমার সভাকে কে গুরুত্ব দেবে? ‘ মজাচ্ছলে মোদি জানালেন, তাঁর দশ বছরের মুখ্যমন্ত্রীত্বে এটা ছিল তাঁর রোজকার রুটিন।
সংবাদমাধ্যমের পক্ষপাত নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ঘিরে স্বভাবতই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন । এসেছে বিরোধীদের তির্যক মন্তব্যও। গত দশ বছরে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে একটা নতুন শব্দবন্ধের ব্যবহার শুরু হয়েছে, গোদি মিডিয়া । বিরোধীদের অভিযোগ, গণতন্ত্রের কন্ঠ রোধ করে একপেশে খবর প্রচার করাকেই বিজেপি নিয়ম বানিয়ে ফেলেছে। দেশে ক্ষমতাসীন দল ঘনিষ্ঠ কয়েকটি সংস্থার হাতেই দেশের বেশীরভাগ সংবাদমাধ্যমের নিয়ন্ত্রিণের রাশ । বিরোধী কন্ঠ সোচ্চার হলেই তাকে নানা অছিলায় কারাগারে রুদ্ধ করছে মোদি সরকার । সেখানে সংবাদ মাধ্যমের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্ৰশ্ন তুলছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী, মন্তব্য হাস্যকর, বক্তব্য বিরোধীদের ।
❤ Support Us