Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • মে ১৫, ২০২৪

মোদি কণ্ঠে ভিন্ন সুর। সন্তানবৃদ্ধি নিয়ে গরিবদের কথাই বলেছি। হিন্দু -মুসলমানকে আলাদা চোখে দেখলে আমি জনভিত্তি হারাবো।

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
মোদি কণ্ঠে ভিন্ন সুর। সন্তানবৃদ্ধি নিয়ে গরিবদের কথাই বলেছি। হিন্দু -মুসলমানকে আলাদা চোখে দেখলে আমি জনভিত্তি হারাবো।

বিরোধীদের তরফে তাঁর দলের বিরুদ্ধে যতই সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করার অভিযোগ উঠুক, তিনি যে সবসময়ই ডিফেন্সে ব্যাট করতে ভালবাসেন তা আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদি।  সাফ জানালেন, যেদিন তিনি  সাম্প্রদায়িকতার ‘আমরা-ওরা’-র রাজনীতি করবেন, সেদিন থেকে আর প্রকাশ্যে আসবেননা ।
আজ একটি  সর্বভারতীয় ইংরেজি সংবাদমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারের ভিডিওর একটি অংশ নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করে তাঁর সেই মনোভাবের কথা তুলে ধরলেন মোদি। এই বছর বারাণসী থেকে লোকসভা নির্বাচনে তৃতীয় বারের জন্য মনোনয়ন পেশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। গতকাল কেটেছে তাঁর পূজার্চনা, আরতি, নির্বাচনী প্রচারে। বারাণসী শহরের সাথে তাঁর আত্মিক যোগের কথা ব্যক্ত করেছিলেন তিনি। ওই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন,’আমার বিশ্বাস দেশের মানুষ আমাকে আবার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন।’

সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি নিয়ে তাঁর দলীয় এবং সর্বভারতীয় অবস্থানের কথা উঠলে তিয়াত্তর বছরের ‘তরুণ’ বলেন, ‘ যেদিন থেকে  আমি ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতি শুরু করবো,সেদিন থেকে আমার জনভিত্তি হারাতে শুরু করবো। তাই আমার নীতি থেকে আমি কখনই সরব না ।’
‘অনুপ্রবেশকারী’ এবং ‘সাম্প্রদায়গত পরিকল্পনাহীন পরিবার পরিকল্পনা’ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি কোনো নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের জন্য কথা বলছিনা। বলছি দেশের দরিদ্র জনগণের জন্য।’  এই প্রসঙ্গে পাল্টা সংবাদমাধ্যমের প্রতি সামান্য উষ্মা প্রদর্শন করে তিনি বলেন,’এটা খুবই হতাশাজনক ব্যাপার যে  একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের কথাই বারবার গণমাধ্যমে উঠে আসে। কিন্তু ভালো করে পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, পরিবার পরিকল্পনার ক্ষেত্রে অসচেতনতা সেসব পরিবারের মধ্যেই আছে যারা খুবই দরিদ্র।  সেক্ষেত্রে ততগুলি সন্তানেরই জন্ম দেওয়া উচিত যতগুলির  দায়িত্ব আপনি নিজেই বহন করতে পারবেন। সরকারকে তাদের দায় নিতে হবেনা।’

প্রসঙ্গত, এর আগে নরেন্দ্র মোদিরই একটি ভাষণকে কেন্দ্র করে বিতর্ক শুরু হয়। গত ২১ এপ্রিল তিনি নির্বাচনী প্রচারে যান রাজস্থানের বাঁশওয়ারা তে।  সেখানে তিনি কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বলেন,’ যতদিন ওনাদের সরকার ছিল ওনারা বলতেন দেশের সম্পত্তিতে একটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার সবার আগে আছে। তার মানে দেশের সম্পত্তির ভাগীদার হবে তারাই, যাদের অধিক সন্তানসন্ততি আছে ।’ বলা বাহুল্য এই নিয়ে রাজনৈতিক জলঘোলা শুরু হয়েছিল।  হাত শিবির এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করলে, কমিশন থেকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাকে এই বিষয়ে সাবধান করা হয়।
কিন্তু মোদি যতই বাউন্সার  সামলে খেলুন, তাঁর দলের আরেক সেনানী অমিত শাহ’র কণ্ঠে পাল্টা উল্টো বয়ান শোনা গেল । গতকাল মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগণার বনগাঁয় একটি সভাতে তিনি তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরাসরি তোপ দেগে বলেন,উনি এই রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছিলেন ‘মা মাটি মানুষ’ এই শ্লোগানে ভর করে। আজ তিনি তাঁর সমস্ত উন্নয়নমূলক কার্যকলাপ বরাদ্দ করছেন একটি বিশেষ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় মৌলবাদকে প্রশ্রয় দিতে। গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসেছিলেন পদ্ম প্রার্থী মতুয়া সম্প্রদায়ের শান্তনু ঠাকুরের হয়ে নির্বাচনী প্রচারে।  সেখানে তিনি তৃণমূলের উদ্দেশ্যে সরাসরি  কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন। তাঁর বক্তব্যে এদিন উঠে আসে কাট মানি , চাকরি দুর্নীতি প্রসঙ্গও।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!