Advertisement
  • দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
  • আগস্ট ৩০, ২০২৩

নতুন চিনা মানচিত্র ঘিরে প্রতিক্রিয়া রাহুলের, সীমানা লঙ্ঘন নিয়ে মোদির বিবৃতি দাবি

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
নতুন চিনা মানচিত্র ঘিরে প্রতিক্রিয়া রাহুলের, সীমানা লঙ্ঘন নিয়ে মোদির বিবৃতি দাবি

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে একটি বিবৃতি দাবি করেছেন চিনের একটি মানচিত্র প্রকাশের প্রতিক্রিয়ায়, চিনের প্রকাশিত ওই মানচিত্রে দেখা যাচ্ছে, আকসাই চিন এবং অরুণাচল প্রদেশের মালিকানা দাবি করেছে চিন, অথচ ভারত চিনের এই দাবি স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।

সোমবার, চিন একটি নতুন “স্ট্যান্ডার্ড” মানচিত্র প্রকাশ করেছে , যেখানে তারা দেখিয়েছে যে আকসাই চিন এবং অরুণাচলপ্রদেশকে চীন নিজেদের দেশের অংশ হিসেবে দাবি করেছে। মানচিত্রটির পূর্ববর্তী সংস্করণগুলির  মতো সমগ্র দক্ষিণ চিন সাগরকে চিনের অংশ হিসাবেও দেখানো হয়েছে।

কর্ণাটকে যাওয়ার সময় রাহুল গান্ধি বলেছেন, “আমি বছরের পর বছর ধরে বলে আসছি যে প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন, লাদাখে এক ইঞ্চি জমিও হারিয়ে যায়নি, তা মিথ্যা। পুরো লাদাখ জানে যে চিন ভারতের সীমানা লঙ্ঘন করেছে। এই মানচিত্র সমস্যাটি খুবই গুরুতর ভাবে তুলে ধরেছে। দেখা যাচ্ছে যে চিন ভারতের জমি কেড়ে নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এ বিষয়ে কিছু বলা উচিত।”

এই প্রসঙ্গে বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, “এই মানচিত্রের কোনও অর্থ নেই। চিনের এই জাতীয় মানচিত্র প্রকাশ করার অভ্যাস রয়েছে।”
এস জয়শঙ্কর আরও বলেছেন, “চিন তাদের ভূখণ্ডের সাথে যে সব জায়গা যুক্ত করে মানচিত্র তৈরি করেছে সেই জায়গাগুলি তাদের নয়। এই ধরণের মানচিত্র প্রকাশ করা চীনের একটি পুরানো অভ্যাস। শুধু ভারতের অংশগুলির সাথে মানচিত্র তৈরি করে, মানচিত্রে কিছু পরিবর্তন হয় না। আমাদের সরকার এই বিষয় সম্পর্কে খুব স্পষ্ট করে বলতে চায় এগুলো আমাদের এলাকা। অযৌক্তিক দাবি করে অন্যের অঞ্চলকে নিজের বলে দাবি করলেই সেটা তার হয়ে যায় না।”

এই বিষয়ে ভারত কূটনৈতিক প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে চিনের “স্ট্যান্ডার্ড” মানচিত্র নিয়ে প্রতিবাদ ইতিমধ্যেই শুরু করেছে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি এক বিবৃতিতে এই কথা উল্লেখ করে বলেছেন, “আমরা চীনের দাবিগুলি প্রত্যাখ্যান করি কারণ তাদের এই দাবির কোনও ভিত্তি নেই৷ চীনের এই ধরনের পদক্ষেপগুলি কেবল সীমানা প্রশ্নের সমাধানকে আরও জটিল করে তোলে।”

চিন এই “স্ট্যান্ডার্ড” মানচিত্রটা এমন সময় প্রকাশ করেছে, যখন ভারত আগামী ৯ ও ১০  সেপ্টেম্বর নয়া দিল্লিতে নির্ধারিত জি-২০  শীর্ষ সম্মেলনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। সেই দিক থেকে চীনের এই মানচিত্রটি প্রকাশ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং এই মাসেই  দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে তাদের বৈঠকের সময় সমগ্র প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর দ্রুত উত্তেজনাকর সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করতে সম্মত হয়েছেন। তার পরেও চীনের এই “স্ট্যান্ডার্ড” মানচিত্র প্রকাশ তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা।

চীন এপ্রিলের শুরুতে অরুণাচল প্রদেশের ১১টি স্থানের জন্য নতুন চীনা নাম ঘোষণা করেছে। ভারত এই নামকরণ প্রত্যাখ্যান করে তখনই জোর দিয়ে বলেছে যে অরুণাচল প্রদেশ ভারতের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, “উদ্ভাবিত” নামকরণ বাস্তবতাকে পরিবর্তন করে না, আসলে উত্তর-পূর্ব রাজ্যটি ভারতীয় প্রশাসনের অধীনে রয়েছে।

চিন এর আগে ২০১৭ সালে ছয়টি স্থানের প্রথম ব্যাচ এবং ২০২১ সালে প্রকাশিত ১৫টি স্থানের দ্বিতীয় ব্যাচের সাথে চিনের অসামরিক বিষয়ক মন্ত্রকের এটি তৃতীয় সংযোজন।

২০২০ সালের মে মাসে শুরু হওয়া পূর্ব লাদাখ সীমান্ত অচলাবস্থার কারণে ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্ক মারাত্মকভাবে উত্তপ্ত হয়েছিল যার পরে উভয় দেশের সৈন্যরা ডি-এস্কেলেশনের বেশ কয়েকটি আলোচনার মধ্যে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে সংঘর্ষে ছেদ টেনে আছে।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!