Advertisement
  • দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
  • সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৩

পয়লা বৈশাখ “বাংলা দিবস”। বিধানসভায় ১৬৭/৬২ ভোটে প্রস্তাব পাশ

বোস অনুমোদন না দিলেও পয়লা বৈশাখই বাংলা দিবস, বিধানসভায় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
পয়লা বৈশাখ “বাংলা দিবস”। বিধানসভায় ১৬৭/৬২ ভোটে প্রস্তাব পাশ

“২০ জুন, ১৯৪৭ সালে পশ্চিমবঙ্গ প্রতিষ্ঠাই হয়নি। এতোদিন পয়লা বৈশাখ বাংলা দিবস পালনের দরকার হয়নি কারণ ২০ জুন কেউ পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করেনি। সবকিছু চাপিয়ে দিলে সহ্য করব না। এই নিয়ে যখন কেন্দ্রীয় সরকারের এক তরফা সিদ্ধান্তের কথা জানায় তখনই প্রতিবাদ জানাই। রাজ্যপাল যখন রাজভবনে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করেন তখনও প্রতিবাদ জানাই। আমরা ১ বৈশাখ, বাংলা দিবস হিসাবে পালন করব। রাজ্যপাল সই না করলেও পালন করবে রাজ্য সরকার, কে মানল কে মানল না তাতে কিছু এসে যায় না। দেখি কার কত জোর। রাজ্যপালের শক্তি বেশি না জনগণের শক্তি বেশি। পয়লা বৈশাখ বাংলা দিবস এবং বাংলার মাটি, বাংলার জল হল বাংলা সংগীত হিসাবে কার্যকর করতে চাই”, বৃহস্পতিবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পয়লা বৈশাখকে বাংলা দিবস ও ” বাংলার মাটি, বাংলার জল”, রবীন্দ্রসংগীতটিকে বাংলা সংগীত হিসাবে মান্যতা দেওয়ার প্রস্তাব দেন, বিধানসভায় এই প্রস্তাব পাশ হয়ে যায় ভোটাভুটির মাধ্যমে। প্রস্তাবের পক্ষে ১৬৭টি ভোট এবং বিপক্ষে ৬২টি ভোট পড়ে।

এদিন শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভায় বলেন, “সবাই জানে ১৯৪৭ সালের ২০ জুন, পশ্চিমবঙ্গ ভারতে থাকার সিদ্ধান্ত বেঙ্গল অ্যাসেম্বলিতে গ্রহণ করা হয়। এই তথ্য বিধানসভা থেকে পেয়েছি, বিজেপি অফিস থেকে নিয়ে আসিনি। রাজ্যপাল এই প্রস্তাব বিল হলে তাতে সই করবেন না। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রস্তাব বাতিলের দাবি জানিয়ে চিঠি দেব। মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রস্তাবের পরিণতি হবে পচিমবঙ্গের নাম বাংলা হওয়ার মতো, ইডি,সিবিআইর বিরুদ্ধে নেওয়া সিদ্ধান্তের  মতো, মুখ্যমন্ত্রীর আচার্য হওয়ার মতো।”

মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, “আমরা কেন্দ্রের এক তরফা সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করছি। যা বলবে তাই মেনে নেব? এটা হবে না।  যাদের সঙ্গে বাংলার কোনও যোগাযোগ নেই তাঁরা ঠিক করবে কবে পশ্চিমবঙ্গের জন্মদিন? ২০ জুন দিনটিকে মেনে নিলে মানুষের কাছে, পরবর্তী প্রজন্মের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছবে। এই নিয়ে সমাজের সব স্তরের মানুষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বেশিরভাগ মানুষ পয়লা বৈশাখ দিনটিকে বাংলা দিবস হিসাবে মেনে নিয়েছে বাংলা দিবস হিসাবে,কারণনওই দিনটি বাংলার একটা উৎসবের দিন। কেউ রাখি বন্ধনের দিনটিকে বাংলা দিবস হিসাবে পালন করতে চেয়েছেন। তবে পয়লা বৈশাখ দিনটিকে বাংলা দিবস করার পক্ষে বেশি মানুষের দাবি ছিল, তাই পয়লা বৈশাখ বাংলা দিবস করার প্রস্তাব রাখছি। কেউ বলছেন, ৮ হাজার স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে, এই নামকরণ দিয়ে কি দরকার? আমি বলছি, এসব ভুল তথ্য। স্বাধীনতা আন্দোলনে যাঁদের কোনও ভূমিকা ছিল না, তাঁরা আজ এসব বলছে? যাঁরা জাতির জনক গান্ধিজিকে হত্যা করেছে তাঁরা এসব বলছে? লজ্জাজনক।”


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!