- এই মুহূর্তে দে । শ
- মে ৩০, ২০২৪
১৬ সেনা কর্মীর বিরুদ্ধে লাঞ্ছনার অভিযোগ, এফআইআর দায়ের জম্মু কাশ্মীর পুলিশের

১৬ জন সেনাকর্মীদের বিরুদ্ধে লাঞ্ছনার অভিযোগ আনল জম্মু কাশ্মীরের পুলিশ। এদের মধ্যে তিনজন সেনা আধিকারিকও আছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, কুপওয়ারা জেলায় একটি থানায় উপস্থিত পুলিশকর্মীদের তাঁরা মারধোর করেছেন। প্রহৃতদের মধ্যে পাঁচ পুলিশকর্মী ছাড়াও কর্তব্যরত আধিকারিক আছেন।
ঘটনা সংক্রান্ত একটি ভিডিও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
অভিযুক্ত সেনাকর্মীরা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁরা এই ঘটনাকে ‘ছোটখাটো মতবিরোধ’ বলেছেন।
প্রতিরক্ষা দফতরের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কর্মীদের মধ্যে ঝগড়া এবং মারধরের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভুল । একটি অপারেশনাল বিষয়ে পুলিশ কর্মীদের ও আঞ্চলিক সেনা ইউনিটের মধ্যে ছোটখাটো কিছু সমস্যা হয়েছিল। সেগুলি শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করা হয়েছে।’
এফআইআরে, লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদমর্যাদার তিনজন অফিসার সহ ১৬ জন সৈন্যের নাম উল্লেখ করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে থানায় অশান্তি লাগানোর প্রচেষ্টাসহ খুনের চেষ্টা এবং পুলিশ সদস্যদের অপহরণের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
রিপোর্ট অনুসারে ,মঙ্গলবার, পুলিশ একটি মামলার তদন্তের জন্য কুপওয়ারার বাটপোরা গ্রামে এক টেরিটোরিয়াল সৈন্যের বাড়িতে অভিযান চালায়।। পরে রাত ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে সেনাবাহিনীর সৈন্যরা থানায় এসে পুলিশ কর্মীদের ওপর হামলা চালায় বলে এফ আই আরে বলা হয়েছে।
তিন অফিসারের নেতৃত্বে ১৬০ জন টেরিটোরিয়াল আর্মির বিপুল সংখ্যক সশস্ত্র এবং ইউনিফর্মধারী কর্মী অনুমতির তোয়াক্কা না করে থানায় প্রবেশ করেন।এফআইআরে বলা হয়েছে, সৈন্যরা রাইফেলের বাট, লাঠি দিয়ে থানায় উপস্থিত স্টাফ এবং অফিসারদের উপর হামলা চালান।
নিমেষে খবর চলে যায় বরিষ্ঠ আধিকারিকের কাছে। তিনি থানায় আসেন এবং পুলিশকর্মীদের উদ্ধার করেন । তাঁদের আসতে দেখে, লেফটেন্যান্ট কর্নেল অঙ্কিত সুদ,লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাজু চৌহান এবং কর্নেল নিখিলের নেতৃত্বে ১৬০ টেরিটোরিয়াল আর্মির কর্মী ও অফিসাররা তাদের অস্ত্র ছুড়ে ফেলে দেয় এবং আহত কুপওয়াড়ার এসএইচও পিএস ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ ইসহাকের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় ।
হেড কনস্টেবলকে অপহরণ করার অভিযোগও রয়েছে সেনাদের বিরুদ্ধে। পালানোর সময়, তারা (সেনারা) এমএইচসি গোলাম রসুলকে অপহরণ করে বলে এফআইআরে উল্লেখ আছে ।
এসএইচওসহ আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁদের অবস্থা এখন স্থিতিশীল।
❤ Support Us