Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৫

আদালত চত্বরে বিচারকের দেহরক্ষীর রক্তাক্ত দেহ ঘিরে রহস্য। খুন না কি আত্মহত্যা? – তদন্দে লালবাজার

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
আদালত চত্বরে বিচারকের দেহরক্ষীর রক্তাক্ত দেহ ঘিরে রহস্য। খুন না কি আত্মহত্যা? – তদন্দে লালবাজার

বুধবার সকালে বিবাদীবাগ আদালত চত্বরে, দেহরক্ষীর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়েরা। তাঁর মাথায় গুলি লেগেছে। তমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খুন না কি আত্মহত্যা ? খবর পেয়ে হেয়ার স্ট্রিট থানার আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। লালবাজারের গোয়েন্দারাও তদন্তে নেমে পড়েন। আনা হয়েছে স্নিফার ডগ।

সাত সকালে আদালত চত্বরে রক্তারক্তি কাণ্ড। স্ট্র্যান্ড রোড লাগোয়া বিবাদীবাগ সিটি সিভিল কোর্টের গ্রাউন্ড ফ্লোর থেকে উদ্ধার হল এক পুলিশ কর্মীর গুলিবিদ্ধ দেহ। পুলিশ সূত্রে খবর, গোপাল নাথ নামের ওই পুলিশকর্মী সিটি সিভিল কোর্টের বিচারক চন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়ের দেহরক্ষী ছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, নিজের সার্ভিস গান থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন সকাল সাতটা নাগাদ তাঁদের কাছে খবর আসে, সিটি সিভিল কোর্টের গ্রাউন্ড ফ্লোরে সিঁড়ির পাশে একটা চেয়ারে বসে থাকা অবস্থায় রয়েছে এক পুলিশকর্মীর দেহ। তাঁর কপালে বুলেটের ক্ষত। পাশে পড়ে নাইন এম এম পিস্তল। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় হেয়ারস্ট্রিট থানার পুলিশ, গোয়েন্দা বিভাগ, সায়েন্টিফিক উইং এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞরা। ঘটনাস্থলে যান ডিসি সেন্ট্রাল। আত্মহত্যা নাকি খুন, সব সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখছে পুলিশ। গোয়েন্দাদের স্ক্যানারে সিসিটিভি ফুটেজ। কাজে লাগানো হচ্ছে ডগ স্কোয়াডকে।

জানা যাচ্ছে, গোপাল নাথ ছিলেন একজন অভিজ্ঞ পুলিশ কর্মী এবং তিনি নগর দায়রা আদালতের এক বিচারকের দেহরক্ষী হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। তবে, কী কারণে এমন চরম পদক্ষেপ নিলেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। তদন্তকারীরা এখন পর্যন্ত তার ব্যক্তিগত জীবন এবং পেশাগত সম্পর্ক নিয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধান শুরু করেছেন। পুলিশ কর্তৃপক্ষ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ময়নাতদন্তের পরই মৃতের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ স্পষ্ট হতে পারে। পুলিশ এছাড়া হত্যার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না এবং তা নিয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে। এছাড়াও তাঁর মানসিক অবস্থা সম্পর্কেও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। ওই দেহরক্ষীর সমাজমাধ্যমের পাতাও খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে বলে খবর। সম্প্রতি কোনও কিছু নিয়ে তিনি মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

এই রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় কলকাতা পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে এবং দেহের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসার পরই এর কারণ স্পষ্ট হবে। তবে, আত্মহত্যা বা খুন—যেকোনো সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং তদন্তের পরই সত্য প্রকাশ পাবে। অন্যদিকে এদিনই কলকাতা বিমানবন্দরের ইন্টারন্যাশনাল কার্গোতে সিআইএসএফ জওয়ানের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। বিমানবন্দর সূত্রে খবর, আজ সকালে কার্গো বিল্ডিংয়ের মধ্যে জওয়ানের ঝুলন্ত দেহ দেখেন সহকর্মীরা। ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠানো হয়েছে।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!