Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • নভেম্বর ২৩, ২০২৩

ত্রাণসামগ্রী নিয়ে দোলুয়াখাঁকিতে প্রবেশে বাধা বাম কর্মীদের, আদালতে অনুমতি পত্র দেখিয়ে মিলল ছাড়।আজই জয়নগর যাচ্ছেন শুভেন্দু

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
ত্রাণসামগ্রী নিয়ে দোলুয়াখাঁকিতে প্রবেশে বাধা বাম কর্মীদের, আদালতে অনুমতি পত্র দেখিয়ে মিলল ছাড়।আজই জয়নগর যাচ্ছেন শুভেন্দু

জয়নগরের দোলুয়াখাঁকি গ্রামে আদালতের অনুমতি নিয়ে ঢুকতে গিয়ে প্রথমে বারুইপুরের এসডিপিও-র বাধার মুখে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী, শমীক লাহিড়ী, সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শেষে আদালতের নির্দেশ দেখিয়ে সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় সহ মোট পাঁচজন সিপিএম নেতা ত্রাণসামগ্রী নিয়ে দোলুয়াখাঁকি গ্রামে ঢুকলেন।

এদিকে এতদিন সিপিএম, কংগ্রেস প্রতিনিধিদের জয়নগরের দোলুয়াখাঁকি গ্রামে ঢুকতে না দিলেও বৃহস্পতিবার ওই গ্রামে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে জয়নগরের দোলুয়াখাঁকি গ্রামে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে জয়নগর থানা। সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার পুলিশের বাধা পেয়ে জানান, “আদালতের নির্দেশে আজ বৃহস্পতিবার আমাদের জয়নগরের দোলুয়াখাঁকি গ্রামে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে আসার কথা। আমায় গতকাল রাতে একটি ই-মেল করে জয়নগর থানা থেকে জানানো হয়, আজ শুভেন্দু অধিকারী জয়নগরের দোলুয়াখাঁকি গ্রামে আসবেন, তাই সিপিএমকে ঢুকতে দেওয়া হবে না।” এই বক্তব্যের সমর্থনে সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতের নির্দেশ ও জয়নগর থানার ই-মেল দেখিয়ে বলেন, “আদালতের অর্ডার রয়েছে আমাদের কাছে। তার পরেও পুলিশ কি ভাবে বাধা দেয়? পুলিশ কি সাংবিধানিক আদালতের উপরে?”

জয়নগরের দোলুয়াখাঁকি গ্রামে প্রায় ১৫/১৬টি বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়ার পর তাদের ঘরে চাল-ডাল নেই। সিপিএম নেতৃত্ব এই ঘরপোড়া মানুষদের জন্য ত্রিপল, ত্রিপল খাটানোর জন্য বাঁশ, চাল, খাতা, বই, পেন,পেন্সিল তুলে দেবেন।

সুজন চক্রবর্তী বলেন, “মানুষগুলোর বাড়িতে আগুন জ্বালানো হয়েছে। একজনকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। এদের খাবার তো দিতে হবে। এই বাধা দেওয়ার কিছু নেই। নবান্ন ও তৃণমূলের ছোটোখাটো নেতাদের নির্দেশে এসব হচ্ছে। আমরা কোনও বাধা মানব না। বিপন্ন মানুষদের পাশে আমরা দাঁড়াব, যাবো। এখানে কি ঋণমুল ও বিরোধীদের জন্য আলাদা নিয়ম? না হলে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা কি করে জয়নগরের দোলুয়াখাঁকি গ্রামে প্রবেশ করতে পারে?”

সিপিএম নেতা শমীক লাহিড়ী বলেন, “পুলিশের আচরণ দেখে মনে হচ্ছে তারা আদালতের ঊর্ধে। আমরা পুলিশের অনুমতিতে জয়নগরের দোলুয়াখাঁকি গ্রামে ঢুকছি না। আদালতের অনুমতি নিয়ে আমরা গ্রামে ঢুকছি। পুলিশ বাধা দেওয়ার কে?”

এদিন সুজন চক্রবর্তী, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, শমীক লাহিড়ী, সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় সহ পাঁচ জন প্রতিনিধি জয়নগরের দোলুয়াখাঁকি গ্রামে ঢুকেছেন বিপন্নদের ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিতে। সিপিএম নেতৃত্ব বেরিয়ে এলে শুভেন্দু অধিকারীকে জয়নগরের দোলুয়াখাঁকি গ্রামে পুলিশ ঢুকতে দেবে। প্রশ্ন উঠছে যেখানে এর আগে সিপিএম, কংগ্রেসকে জয়নগরের দোলুয়াখাঁকি গ্রামে প্রবেশ করতে দেওয়া হল না সেখানে এমন কি হলো যার ফলে সিপিএম-এর ৫ জন প্রতিনিধি আদালতের অনুমতি নিয়ে জয়নগরের দোলুয়াখাঁকি গ্রামে যেদিন প্রবেশ করল ঠিক সেদিনই শুভেন্দু অধিকারীকে জয়নগরের দোলুয়াখাঁকি গ্রামে পুলিশ প্রবেশের অনুমতি দিল? এমন কি আদালতের অনুমতি থাকলেও বৃহস্পতিবার শুভেন্দু অধিকারী জয়নগরের দোলুয়াখাঁকি গ্রামে যাবেন এই কথা জানিয়ে জয়নগর থানা থেকে সিপিএমকে ই-মেল করে জানিয়ে দেওয়া হল বৃহস্পতিবার সিপিএম প্রতিনিধিরা জয়নগরের দোলুয়াখাঁকি গ্রামে প্রবেশ করতে পারবে না। পুলিশের কি জানা ছিল না আদালতের নির্দেশে জয়নগরের দোলুয়াখাঁকি গ্রামে সিপিএম বৃহস্পতিবার প্রবেশ করেছে, পুলিশের দোয়ায় নয়, মন্তব্য সিপিএম নেতাদের।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!