- এই মুহূর্তে দে । শ
- মে ১১, ২০২৪
বিজেপির জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে দলেরই মন্ডল সভাপতির পোস্টার সন্দেশখালি জুড়ে। তৃণমূলের চক্রান্ত নাকি বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব? নতুন করে চাপানউতোর

একের পর এক ভিডিও নিয়ে শোরগোলের মধ্যেই সন্দেশখালিতে এবার বিজেপির জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে পোস্টার ঘিরে নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে। বিজেপির মন্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়ালের গোপন ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পরে এবারে বিজেপিরই আর এক মন্ডল সভাপতি শান্তনু পাইকের নাম জড়ালো পোস্টার বিতর্কে। তা নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। এদিন সন্দেশখালিতে গিয়ে দেখা যায়, বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তাপস ঘোষের নামে দলবিরোধী নানা কাজের প্রতিবাদ করে পোস্টারে ছয়লাপ সন্দেশখালি। কোন প্রেস লাইন নেই পোস্টারে। তবে পোস্টারগুলি ছাপা হয়েছে বিজেপির মন্ডল সভাপতি শান্তনু পাইকের নামে। পোস্টারে লেখা হয়েছে, ‘গঙ্গাধর কয়ালকে ফাঁসানো হল কেন তাপস ঘোষ জবাব দাও।’ ‘দায়িত্ব নিয়ে বিজেপির সর্বনাশ করার চক্রান্তকারী তাপস ঘোষকে মানছি না।’ ‘পয়সার লোভে তাপস ঘোষের নেতৃত্বে যে মন্ডল সভাপতি নির্বাচন হয়েছিল, তা দুর্নীতিগ্রস্থ।’ সন্দেশখালির ঘটনায় এখন বিজেপি অন্তর্দ্বন্দ্বে জেরবার। আজ, শনিবার সকালে সন্দেশখালি ১ ব্লকের সরবেড়িয়া, ধামাখালি, রামপুর সহ কয়েকটি গ্রামে রাস্তায়, বাজারে পোস্টার ছেয়ে গেছে। তৃণমূলের দাবি, সন্দেশখালি ঘটনার পেছনে বিজেপির উচ্চ নেতৃত্বের মদত রয়েছে তা মানতে চাইছে না নিচু তলার বিজেপি নেতা কর্মীরা। দলের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সরব নানা ভাবে মুখ খুলছেন তাঁরা। দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারির চক্রান্ত ফাঁস করে গোপন ভিডিওয় প্রথম মুখ খোলেন গঙ্গাধর কয়াল। প্রকাশ্যে আসে সন্দেশখালির মহিলাদের ধর্ষণের ঘটনা সাজানো।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারির নির্দেশে মহিলাদের টাকা দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এরকম ৩ টি ভিডিও সন্দেশখালি কান্ডে বিজেপির চক্রান্তে জল ঢেলে দিয়েছে। এমনকী খোদ বিজেপির প্রার্থী রেখা পাত্র বলে বসেন, রাষ্ট্রপতির কাছে সন্দেশখালির নির্যাতিতা বলে যাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তারা আসলে কারা। ভিডিও নিয়ে অস্বস্তি কাটতে না কাটতেই ‘পোস্টার’ বিজেপির মুখোশ খুলে গেছে। জেলা সভাপতি তাপস ঘোষের বিরুদ্ধে পোস্টারে যাঁর নাম রয়েছে বিজেপির সেই মন্ডল সভাপতি শান্তনু পাইক বলেন, ‘এটা তৃণমূল এবং আই প্যাকের একটা চক্রান্ত, যাতে বিজেপির মধ্যে একটা অবিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরি করা যায়।’ শান্তনু বলেন, ‘আমাদের জেলা সভাপতি অত্যন্ত দক্ষ সংগঠক। জেলার ৩১ জন মন্ডল সভাপতির সঙ্গেই তাঁর সু সম্পর্ক রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এটা ভালো লাগছে এই ভেবে সন্দেশখালিতে বিজেপিকে ভয় পেয়েছে তৃণমূল।’ বিজেপির মন্ডল সভাপতি বলেন, দেশে যেন আর কোথাও ভোট হচ্ছে না , কেবল সন্দেশখালিতে ভোট। বিজেপির জেলা সভাপতি তাপস ঘোষ বলেন, ‘এই ধরনের পোস্টারের বিষয় আমি জানিনা। তবে আপনাদের কাছে শুনছি। সন্দেশখালিরতেই সব ঘটনা ঘটছে কেন এটা ভাবতে হবে। এটা সবটাই তৃণমূলের চক্রান্ত। এটা মানুষকে বিভ্রান্ত করতে তৃণমূল করছে।’ তাপসবাবু বলেন, শান্তনু এরকম করবে আমি বিশ্বাস করি না। তৃণমূল মন্ডল সভাপতিদের পেছনে লেগেছে। এর আগে গঙ্গাধরকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে। এবার শান্তনুর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে বিজেপির ভেতরে অন্তর্দ্বন্দ্ব তৈরি করার চেষ্টাকরছে।’ সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতো বলেন, ‘বিজেপি জেলা নেতার বিরুদ্ধে বিজেপিরই মন্ডল সভাপতি বলছেন এতে আমার কী বলার থাকতে পারে? সন্দেশখালির ঘটনা যে পুরোটাই মিথ্যা, সাজানো এবং বিজেপির তৈরি করা তা মানুষ বুঝে গেছেন। তাই এসব করে নিজেরা পিঠ বাঁচাতে চাইছে।’ তৃণমূল বিধায়ক বলেন, ‘ওদের লজ্জা ঢাকার জন্য ওরা এসব করছে। বিজেপি বুঝে গেছে সন্দেশখালিতে ওদের মাটি সরে গেছে। সব নাটক ধরা পড়ে গেছে।’
❤ Support Us