Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • ডিসেম্বর ৫, ২০২৪

কর্মসংস্থানের দিশা দেখাচ্ছে কালনা রাজ স্কুল

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
কর্মসংস্থানের দিশা দেখাচ্ছে কালনা রাজ স্কুল

কর্মসংস্থানের দিশা দেখাচ্ছে কালনা মহারাজা উচ্চ বিদ্যালয়ের বৃত্তিমূলক বিভাগ। বিষয়টি জেনে নিজের তহবিলের টাকা দিয়ে বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ওই বিভাগের ৪ টি নতুন শ্রেণীকক্ষ তৈরি করে দিয়েছেন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য। খরচ হয়েছে ১০ লক্ষ টাকা। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রঘুনাথ মণ্ডল জানালেন, ‘ঘরগুলি তৈরি হওয়ায় পঠনপাঠনের আরও উন্নতি হয়েছে।’ উল্লেখ্য যে, কালনা শহরের মহারাজা উচ্চ বিদ্যালয়ের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। বর্ধমানের রাজা মহতাব চন্দ ১৮৬৮ সালে এই স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন। বিদ্যালয়টি এলাকায় ‘রাজ স্কুল’ নামে পরিচিত।

বেকার যুবক-যুবতীদের উন্নতমানের প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থানমুখী কোর্স করাতেই এই স্কুলে ২০০৭ সালে ৪০ জন পড়ুয়াকে নিয়ে বৃত্তিমূলক বিভাগ শুরু হয়। অষ্টম শ্রেণী উত্তীর্ণ পড়ুয়াদের জন্য ব্লাড কালেকশন অ্যাসিন্ট্যান্ট, আমিন সার্ভে, হেলথ ওয়ার্কারের মত রেগুলার কোর্স রয়েছে। দশম শ্রেণী উত্তীর্ণদের জন্য রয়েছে সিভিল, ইলেকট্রনিক্স, হেলথ কেয়ার কোর্স। হাতেকলমে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের ধারাবাহিকভাবে কর্মসংস্থান হওয়ার পর থেকেই এই দুই ট্রেডে ভর্তি হওয়ার আগ্রহ বেড়েছে। পড়ুয়ার সংখ্যা বাড়তে থাকায় বাড়তি শ্রেণীকক্ষের প্রয়োজন হয়। তখনই স্কুলের তরফে রাজ্যসভার তৎকালীন সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যের কাছে আবেদন জানানো হয়। আবেদনটি যাচাই করে তাঁর সাংসদ উন্নয়ন তহবিল থেকে ১০ লক্ষ টাকা অনুমোদন করেন প্রদীপবাবু। বৃত্তিমূলক বিভাগের শিক্ষক অগ্নীশ্বর সরকার জানান, ‘বৃত্তিমূলক কোর্স করে বহু পড়ুয়ার কর্মসংস্থান হয়েছে। এই কারণে এই কোর্সের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। প্রতি বছরই পড়ুয়ার সংখ্যা বাড়ছে।’ জানা গেল, বর্তমানে পড়ুয়ার সংখ্যা ১৭০ জন। জায়গা সঙ্কুলানের জন্য পর্যাপ্ত শ্রেণীকক্ষের প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। সাংসদ তহবিলের অর্থে পর্যাপ্ত শ্রেণীকক্ষ হওয়ায় সেই প্রয়োজন মিটল বলে দাবি স্কুল কর্তৃপক্ষের।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!