Advertisement
  • দে । শ
  • অক্টোবর ১৪, ২০২৪

ঘোড়ানাশে পাটের মশাল, ক্ষেপীমা নিরঞ্জনেই পালন তাঁতিদের জন্মদিন

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
ঘোড়ানাশে পাটের মশাল, ক্ষেপীমা নিরঞ্জনেই পালন তাঁতিদের জন্মদিন

কাটোয়ার জগদানন্দপুর গ্রামের ঘোড়ানাশ গ্রামের জমিদার রায় পরিবারের দুর্গাপুজো এলাকায় ‘ক্ষেপীমার’ পুজো হিসেবে খ্যাত। ক্ষেপীমা নামকরণ কী করে হল, তার সঠিক ব্যাখা মেলে না। তবে গ্রামবাসীদের বিশ্বাস, ক্ষেপীমা খুবই জাগ্রত। মনস্কামনা পূরণের আশায় অনেকেই মানত করেন। রায় পরিবারের পুজো হলেও, ক্ষেপীমা এখন গ্রামের সার্বজনীন পুজো। প্রতিমা বিসর্জনের সময় বেহারা বা বাহক ঠিক করতে হয় না। প্রতিমা কাঁধে নেওয়ার জন্য গ্রামবাসীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। বিসর্জনের শোভাযাত্রায় কোনওরকম বিদ্যুতের আলো ব্যবহার করা হয় না। পাটকাঠির মশালের আলোয় প্রতিমা নিয়ে বাহকরা দৌড়তে দৌড়তে পাশের আমডাঙ্গা গ্রামের বুড়োশিবের মন্দিরে নিয়ে যান। সেখানে কিছুক্ষণ রেখে তারপর বিসর্জন দেওয়া হয় লাগোয়া ব্রহ্মাণী নদীতে। এলাকার বাসিন্দা সুশান্ত দে, পরিমল ঘোষরা জানালেন, এই রীতি চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। যাতে কোনওরকম বিশৃঙ্খলা না হয়, সেজন্য কাটোয়া থানা থেকে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

ঘোড়ানাশ গ্রামের এই ক্ষেপীমা দুর্গাকে ঘিরে এ বছর একটি অভিনব ঘটনা ঘটল। গ্রামবাসীদের বিশ্বাস, দুর্গার কৃপাতেই গ্রামের তাঁতশিল্পীদের এতটা রমরমা। এখানকার তাঁতিদের তৈরি শাড়ি দেশের বিভিন্ন প্রান্ততো বটেই, বিদেশে পর্যন্ত বিক্রি হয়। তাঁত শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে দেবী দুর্গার আশীর্বাদ নিয়ে একাদশীর দিন একযোগে গ্ৰামের সমস্ত তাঁতির জন্মদিন অনুষ্ঠানের আয়োজিত হল। কেক কেটে জন্মদিন পালনের আনন্দে মাতল গোটা গ্রাম।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!