Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • জুন ২৭, ২০২৩

প্রেসিডেন্সিতে আচরণবিধি এখনই নয়, ছাত্র আন্দোলনের চাপেই কি সিদ্ধান্ত বদল?

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
প্রেসিডেন্সিতে আচরণবিধি এখনই নয়, ছাত্র আন্দোলনের চাপেই কি সিদ্ধান্ত বদল?

পড়ুয়াদের ওপর এখনই কার্যকর হচ্ছে না আচরণবিধি, জানিয়ে দিল প্রেসিডেন্সি। গত কয়েকদিন ধরেই ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগর পরিসরে হস্তক্ষেপের অভিযোগে বিদ্ধ শতাব্দী প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। একাধিক ছাত্র সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষর নতুন নিয়ম-কানুন নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন। গতকাল ইউনিভার্সিটির এসএফআই ইউনিটে র পক্ষ থেকে সমগ্র ক্যাম্পাসে সপ্তাহব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিল। তার জেরেই কর্মকর্তারা পিছু হটলেন কিনা সে প্রশ্ন উঠছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে অবশ্য জানা গিয়েছে প্রস্তাবিত আচরণ বিধি নিয়ে তারা পুনর্বিবেচনা করতে চায়। তারপর, কার্যকর করা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। এখানে উল্লেখ করা দরকার বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের পক্ষ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সমস্ত বর্তমান ও প্রাক্তনীদের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি ডেপুটেশন কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেন। ছাত্র সংগঠনের সূত্রে অবশ্য বলা হয়েছে, তারা কোড অফ কন্ডাক্টের সম্পূর্ণ বিরোধী নয়। তবে, এখানে এমন কিছু বিধির কথা উল্লেখ করা হয়েছে যা অত্যন্ত আপত্তিকর। পড়ুয়ারা তাদের নিজেদের মধ্যে কেমন ভাবে মিশবে, কার সাথে কথাবার্তা বলবে তা নিয়ে কারোর কিছু বলার থাকতে পারে না। এক বাম সমর্থক শিক্ষার্থী বলেছেন, আচরণবিধির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান পড়ুয়ার কোন রাজনৈতিক শ্লোগান দেবে তা কৌশলে স্থির করে দিতে চায়। যা কোনোমতেই মানা যায় না। কাউন্সেলিং এর নামে অভিভাবক ডেকে এনে পড়ুয়াদের মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তোলা হচ্ছে। ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধেই আমরা স্মারকলিপি জমা দিয়েছি।

প্রেসিডেন্সির সঙ্গে যাঁরা পরিচিত তাঁরা প্রায় সকলেই জানেন, বরাবরই শতাব্দী প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মুক্ত চিন্তাকে প্রশ্রয় দিয়ে এসেছে। কয়েক বছর আগে পর্যন্তও এখানে অবাধ ছিল যাতায়াত। বহু প্রাজ্ঞ, পণ্ডিত ব্যক্তিরা এখানে আসতেন, আসত অন্যান্য কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। চিন্তা ও জ্ঞানের আদান-প্রদানে ঋদ্ধ হয়ে উঠত ক্যাম্পাস। শুধু মননের চর্চা নয়, রাজনীতি ও মনের আদান-প্রদানেও বরাবরই স্বতন্ত্র এ প্রতিষ্ঠান। প্রাক্তনী বা বর্তমান ছাত্রদের অনেকেই ঘনিষ্ঠ মহলে বলে থাকেন, প্রেম পড়াশোনা ও পলিটক্স-ছাড়া প্রেসিডেন্সিকে চেনা অসম্ভব । প্রেসিডেন্সির চিরাচরিত ঐতিহ্যের সঙ্গে ব্যক্তিগত মুহুর্তকে পেন ড্রাইভ বন্দি করার মতো ঘটনা অত্যন্ত অসামঞ্জস্যপূর্ণ। অসঙ্গত প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে মেয়েদের অভিভাবককে ডেকে এনে তা দেখানো । অশীন দাশগুপ্ত, অমলেশ ত্রিপাঠী, রণজিৎ গুহর জ্ঞান ও মননে সমৃদ্ধ শিক্ষাঙ্গনের দায়িত্বপ্রাপ্তরা কি তা ভেবে  দেখবেন?


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!