- প্রচ্ছদ রচনা
- জুন ২৭, ২০২২
আজ মনোনয়ন জমা দেবেন বিরোধীদের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী যশবন্ত সিনহা, সঙ্গী অভিষেক
আগামী ১৮ জুলাই দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। ফলপ্রকাশ ২১ জুলাই।

আজ মনোনয়ন দাখিল করবেন বিজেপি বিরোধী জোটের প্রার্থী যশবন্ত সিনহা। বেলা একটা নাগাদ মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় তাঁর সঙ্গে থাকবেন তৃণমূল সাংসদ ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আর এনসিপি নেতা শরদ পওয়ার। ইতিমধ্যেই দিল্লি এসে পৌঁছেছেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারসঙ্গে রয়েছেন বিধানসভার উপ মুখ্যসচেতক তাপস রায়। থাকার কথা শুখেন্দু শেখর রায়, ডেরেক ও ব্রায়েন সহ তৃণমূলের একাধিক সাংসদ। কংগ্রেস, এনসিপি, সিপিআইএম, সিপিআই, ডিএমকে-সহ বিভিন্ন দলের হেভিওয়েট নেতৃত্ব যশবন্তের সঙ্গে থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।
মনোনয়ন দাখিল হওয়ার পর আজ সংসদে আবার নির্বাচনী কৌশল নিয়ে আলোচনা করতে বৈঠকে বসবে অবিজেপি দলের নেতৃত্ব। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মল্লিকার্জুন খাড়গে ও জয়রাম রমেশও থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। তবে মনোনয়ন বা পরবর্তী বৈঠকে কারা হাজির থাকছেন না, সেদিকে নজর রাখবে অবিজেপি জোটের নেতৃত্ব।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী প্রার্থী দিতে অগ্রণী ভূমিকা নেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তাঁর ডাকেই দিল্লিতে প্রথম বৈঠকে কংগ্রেস-সহ দেশের ১৮টি দল যোগ দেয়। দ্বিতীয় বৈঠক ডাকেন শরদ পওয়ার। সেই বৈঠকেই ঠিক হয়, বিরোধীদের প্রার্থী হবেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহা। এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়ার পর ২৭ জুন মনোনয়ন দাখিল করার দিনক্ষণ স্থির হয়।
আপ, টিডিপির মতো দলগুলি এখনও অবস্থান স্পষ্ট না করায় চিন্তায় দু’পক্ষই। কারণ এই দলগুলি বিজেপি বিরোধী বলে পরিচিত হলেও কোনও শিবিরের বৈঠকেই হাজির থাকেননি। শরদ পাওয়ার এই দুই দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছিলেন। সোমবার সকালে অবশ্য টিআরএস নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, তারা যশবন্তকেই সমর্থন করবে। আজকের বিরোধী বৈঠকে হাজির থাকার সম্ভাবনা।রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু না বিরোধী প্রার্থী যশবন্ত সিনহা, কাকে সমর্থন জানাবে, সেই বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি জেএমএম। জেএমএমকে নিজেদের দিকে টানতে আজ ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী । তারপরই চূড়ান্তে সিদ্ধান্তে আসার কথা তাদের।
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে ঘিরে ‘লুটিয়ান্স দিল্লি’তে তৎপরতা তুঙ্গে। শাসক-বিরোধী দুই শিবিরই নিজের মতো করে ঘুঁটি সাজাচ্ছে। বিরোধী প্রার্থী মনোনীত হওয়ার পর সমর্থন চেয়ে শুক্রবার সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করেন যশবন্ত সিনহা । যদিও তাঁর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কথা হয়নি। এরপর বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং প্রবীণ বিজেপি নেতা এল কে আডবাণীকেও ফোন করেন তিনি।
পাশাপাশি, মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক সংকট প্রসঙ্গে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে একহাত নিয়ে তিনি তোপ দাগেন, ‘বিজেপির স্টাইল বিরোধী সরকার ভেঙে দেওয়া। সিবিআই, ইডি, আয়করের মতো সরকারি এজেন্সিকে ব্যবহার করা। এখন লড়াই এদের সবার বিরুদ্ধে। এই ভোটের পর আমাকেও ডাকতে পারে। যদিও আমি ভয় পাই না। আমার স্বচ্ছ জীবন। কাউকে এরা ছাড়ে না। বিজেপির সবাই স্বচ্ছ। কেউ দুর্নীতিগ্রস্থ নয়। এ জন্য ইডি কেবল বিপক্ষদের পিছনে লেগে থাকে।’
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বিরোধী জোটের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী যশবন্ত সিনহাকে ‘জেড ক্যাটাগরি’ নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। যদিও এনডিএ জোটের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর জন্য উচ্চতর ‘জেড প্লাস ক্যাটাগরি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামী ১৮ জুলাই দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। ফলপ্রকাশ ২১ জুলাই। ২৪ জুলাই রাষ্ট্রপতি পদে মেয়াদ শেষ হতে চলেছে রামনাথ কোবিন্দের।
❤ Support Us