- দে । শ
- এপ্রিল ৪, ২০২৪
ফের অজয় নদ থেকে উদ্ধার বহুমূল্য বিষ্ণুমূর্তি

নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে ফের জালে উঠল বিষ্ণুর বহুমূল্য প্রস্তর মূর্তি। মঙ্গলকোটের আতকুল গ্রামের ঘটনা। গ্রাম লাগোয়া অজয় নদে মাছ ধরতে যান মৎস্যজীবী মানব মাঝি, অক্ষয় মাঝি, লক্ষ্মণ মাঝিরা। মানবের জালে ওঠে প্রায় ৪ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট চতুর্ভুজ বিষ্ণুমূর্তিটি। মূর্তির ২টি হাত ও মুখমণ্ডলের একাংশ ভাঙা। কাটোয়া মহকুমার প্রাচীন ইতিহাস গবেষক রণদেব মুখোপাধ্যায় মূর্তিটি বিশ্লেষণ করৈ ‘মূর্তির গঠনকাঠামো দেখে মনে হচ্ছে মূর্তিটি পাল যুগের।
মঙ্গলকোট এলাকায় পাল যুগের বহু নিদর্শন মেলে। আতকুল থেকে উদ্ধার হওয়া মূর্তিটি হল বিষ্ণুর বৈকুন্ঠ মূর্তি।’ বিষ্ণুমূর্তিটিকে অজয়ের পাড় থেকে ট্রাক্টরে চাপিয়ে গ্রামের শিবমন্দিরে প্রতিষ্ঠা করে গ্রামের বাসিন্দারা পুজো শুরু করেছেন। নদী থেকে প্রস্তরমূর্তির উদ্ধারের খবর পেয়ে আতকুল গ্রামে আসে মঙ্গলকোটের পুলিশ। উদ্ধার হওয়া মূর্তি থানায় নিয়ে যেতে চাইলে বেঁকে বসেন গ্রামের বাসিন্দারা। ননীচোরা ঘোষ, মঙ্গলা ঘোষদের দাবি, ‘এই মূর্তি গ্রামে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এখানেই নিয়মিত পুজো করা হবে।’
কয়েকবছর ধরে মঙ্গলকোটের খেঁড়ুয়া, কোঁয়ারপুর, ব্রহ্মপুর, উত্তর ব্রহ্মপুর গ্রাম লাগোয়া অজয় নদ থেকে বার বার প্রাচীন প্রস্তর মূর্তি উদ্ধারের ঘটনা ঘটছে। এপর্যন্ত এই এলাকা থেকে মোট ১২টি মূর্তি উদ্ধার হয়েছে। কখনও মাছ ধরতে গিয়ে, কখনও স্নান করতে গিয়ে, কখনও আবার বালি তোলার সময় মূর্তিগুলি উদ্ধার হয়েছে। মূর্তিগুলির ঐতিহাসিক মূল্যের কথা মনে করিয়ে এলাকার প্রত্নসন্ধানী সম্রাট মুনশি বলছিলেন, ‘এখানে প্রত্নতাত্ত্বিক খননের প্রয়োজন রয়েছে। সেটা হলে ইতিহাসের অনেক অজানা অধ্যায় খুলে যাবে।’
❤ Support Us