Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • জুন ১২, ২০২৩

মধ্যপ্রদেশে প্রাক নির্বাচন প্রচারে প্রিয়াঙ্কার প্রতিশ্রুতি: দেওয়া হবে মহিলা ভাতা, বিনামূল্যে বিদ্যুৎ। ফিরবে পুরনো পেনশন স্কিম

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
মধ্যপ্রদেশে প্রাক নির্বাচন প্রচারে প্রিয়াঙ্কার প্রতিশ্রুতি: দেওয়া হবে মহিলা ভাতা, বিনামূল্যে বিদ্যুৎ। ফিরবে পুরনো পেনশন স্কিম

পুরোনো পেনশন স্কিম ফিরিয়ে আনা ও ১০০ ইউনিট বিদ্যুৎ বিনামূল্যে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা ভদ্ৰা। প্রবীণ কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্ৰা সোমবার মধ্যপ্রদেশে দলের হয়ে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করলেন। এই বছরের শেষের দিকে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা।

মধ্যপ্রদেশের জবলপুরে একটি সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময়, প্রিয়াঙ্কা ভদ্রা মধ্যপ্রদেশের ভোটারদের জন্য বেশ কয়েকটি প্রতিশ্রুতি দিলেন। এর মধ্যে পুরাতন পেনশন স্কিম চালু করা, ১০০ ইউনিট পর্যন্ত বিনামূল্যে বিদ্যুৎ এবং ২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুতের অর্ধেক দাম, মহিলাদের জন্য প্রতি মাসে ১৫০০ টাকা, এবং ৫০০ টাকায় এলপিজি সিলিন্ডার দেওয়ার মতো বিষয়গুলি রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালে শুরু হওয়া কৃষি ঋণ  মকুব করা হবে।

প্রিয়াঙ্কা ভদ্রার এই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির মধ্যে মহিলাদের ১৫০০ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে।

কংগ্রেস ২০১৮ সালের নির্বাচনে একক বৃহত্তম দলের মর্যাদা পায় এবং রাজ্য সরকার গঠন করতে গিয়েছিল, কিন্তু জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার নেতৃত্বে একটি বিদ্রোহের পরে কংগ্রেস সরকার গঠনের ক্ষমতা হারায়। জাতিরাদিত্য সিন্ধিয়া  20 জনেরও বেশি বিধায়ক সহ বিজেপিতে তখন চলে গিয়েছিলেন। এর পর মধ্যপ্রদেশে বিজেপির সরকার গঠন হয় শিবরাজ সিং চৌহানের নেতৃত্বে।

জনসভায় প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করার সময় প্রিয়াঙ্কা বলেন, কংগ্রেস  “এই গ্যারান্টিগুলি ১০০ শতাংশ বাস্তবায়িত করবে।”

প্রিয়াঙ্কা আরও বলেন,  “আপনারা অন্য রাজ্যে কংগ্রেসের প্রতিসরিত পূরণের রেকর্ড দেখুন। কর্নাটকে, আমরা পাঁচটি গ্যারান্টি দিয়েছিলাম, সবগুলোই মন্ত্রিসভা পাস করেছে। রাজস্থানে ওল্ড পেনশন স্কিম আছে। সব নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ছত্তিশগড়ে কৃষকরা তাদের ফসলের সর্বোচ্চ দাম পাচ্ছেন। হিমাচলেও আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেছি। এটা আপনার কাছে আমার প্রতিশ্রুতি।”

জবলপুরের জনসভার আগে নর্মদা নদীর তীরে গোয়ারিঘাটে পুজো দেন প্রিয়াঙ্কা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ ও দলের আরও কয়েকজন নেতা। প্রিয়াঙ্কার মধ্যপ্রদেশের রাজ্য সফর যে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণই হবে সেটা কংগ্রেসের আগেই অনুমান ছিল। কমল নাথ পরে সভায় জানান, “প্রিয়াঙ্কা জি আমাকে আগেই বলেছিলেন যে তিনি নর্মদা জির পুজোর পরেই প্রচার শুরু করবেন।”
প্রিয়াঙ্কাও “হর হর নর্মদে” স্লোগান দিয়ে তাঁর ভাষণ শুরু করেন, বলেন,  নর্মদা দেবী কি জয়।”

প্রিয়াঙ্কা টানে সভা থেকে শিবরাজ সিং চৌহানের শাসনকালের কড়া সমালোচনা করেন। প্রিয়াঙ্কা  ১৬  বছরেরও বেশি সময় ধরে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করার পরেও রাজ্যে ক্রমবর্ধমান দুর্নীতি, বেকারত্ব এবং মুদ্রাস্ফীতির বিষয়ে শিবরাজ সিং চৌহানকে সমালোচনা করেন।

প্রিয়াঙ্কা বলেন, “এই রাজ্যে ২২০ মাসের শাসনে, ২২৫টি কেলেঙ্কারি” হয়েছে। প্রতি মাসে প্রায় একটি কেলেঙ্কারি আছেই। আপনারা কি ভেবেছেন যে এই কেলেঙ্কারি আপনাদের জীবনকে জীবনকে কীভাবে প্রভাবিত করে? দুর্নীতির সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়ে জনগণের ওপর। কারণ জনসাধারণের জন্য যে কাজ করা জরুরি তা না করে জনসাধারণকে তাদের চাহিদার থেকে কাছ থেকে মনোযোগ সরানোর জন্যই এই সরকার  সচেষ্ট হয়েছে। তাই আপনাদের যা প্রয়োজন, চাহিদা সেটা হয়নি।”

প্রিয়াঙ্কা বলেন, “এরা ১৮ বছর ধরে সরকারে আছে। যখন কেউ এতদিন সরকারে থাকে, তখন জড়ত্ব আসে।চৌহান মনে করেন যে তিনি সরকার ছাড়বেন না। এটা তাঁর আচরণেই  স্পষ্ট।”

প্রিয়াঙ্কা চৌহানকে “ঘোষনাবীর” হিসাবে উল্লেখ করেন, যার অর্থ তিনি খালি ঘোষণাই করেছিলেন, বাস্তবায়ন আর হয়নি। প্রিয়াঙ্কা বলেন, “আপনার মুখ্যমন্ত্রী ‘ঘোষণবীর’। ১৮ বছরে, তারা ২২ হাজারটি ঘোষণা করেছে। এই ঘোষণার মধ্যে সম্ভবত ১ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।”

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ করে, প্রিয়াঙ্কা বলেন,  বিজেপির “কেলেঙ্কারির তালিকা প্রধানমন্ত্রীর অপমানের তালিকার চেয়ে দীর্ঘ”, ২০২৩ সালের কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের সময় তাঁর মন্তব্যের উল্লেখ করে প্রিয়াঙ্কা সভায় উপস্থিত মানুষদের স্মরণ করিয়ে দেন নরেন্দ্র মোদি কর্ণাটকে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে কংগ্রেসকে কি ভাবে অপমান করেছিলেন।
প্রিয়াঙ্কা এদিনের সভা থেকে নাম না করে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকেও সমালোচনা করে বলেন, “এটা আমাকে দুঃখ দেয় যে মধ্যপ্রদেশের আমাদেরই কিছু নেতা ক্ষমতার জন্য কংগ্রেস ছেড়ে গেছেন, আসলে তাঁরা তাঁদের আদর্শ ভুলে গেছেন।”


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!