- মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৩
বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ১-০ ব্যবধানে হেরে চ্যাম্পিয়নস লিগে চাপে পিএসজি

ম্যাচের শুরু থেকেই ছিলেন লিওনেল মেসি, নেইমার জুনিয়র। দ্বিতীয়ার্ধে নেমেছিলেন কিলিয়ান এমবাপে। তাতেও শেষ রক্ষা হল না। চ্যাম্পিয়নস লিগে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ১-০ গোলে হারতে হল পিএসজি। ঘরের মাঠে এদিন নিজেদের একেবারেই মেলে ধরতে পারেননি মেসিরা।
প্যারিসে এদিন শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দেয় বায়ার্ন। বায়ার্নের হাই-প্রেসিং ফুটবলের সামনে ধাতস্থ হতে কিছুটা সময় লাগে মেসি-নেইমারদের। তারপর প্রতি-আক্রমণ ভিত্তিক খেলার দিকে মনোযোগ দেয়। মেসি বেশ কয়েকবার বায়ার্ন রক্ষণ সীমানায় হানা দিলেও গোলের মুখ খুলতে পারেননি। একই পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছিল বায়ার্নকেও। চাপ তৈরি করেও গোল তুলতে পারছিল না। এরজন্য কৃতিত্ব পিএসজি-র রক্ষণভাগেরও প্রাপ্য। বার্য়ানের বেশকিছু আক্রমণ দারুণভাবে আটকে দেন সার্জিও রামোসরা। ২৭ মিনিটে রামোস এগিয়ে এসে দারুণভাবে উদ্ধার করেন পিএসজিকে।
মেসি-নেইমাররা অবশ্য চেষ্টা করেছিলেন আধিপত্য প্রতিষ্ঠার। তবে প্রথমার্ধে বায়ার্নের গোল লক্ষ্য করে একটা শটও নিতে পারেনি পিএসজি। বায়ার্ন অবশ্য বেশ কয়েকটা গোল করার মতো সুযোগ পেয়েছিল। সুযোগগুলো ঠিকঠাক কাজে লাগাতে পারলে প্রথমার্ধেই একাধিক গোল হজম করতে পারত পিএসজি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল খেয়ে যায় পিএসজি। আলফোনসো ডেভিসের মাপা ক্রসে দারুণ এক ভলিতে লক্ষ্য ভেদ করেন কিংসলে কোমান। গোল খেয়ে ৫৭ মিনিটে এমবাপেকে নামান পিএসজি কোচ ক্রিস্তফ গালতিয়ের। মেসি-নেইমার-এমবাপে মিলেও ছাপ রাখতে পারছিলেন না। উল্টো চুপো-মোতিংয়ের প্রচেষ্টা নষ্ট না হলে দ্বিতীয় গোলটা প্রায় খেয়েই ফেলছিল পিএসজি। এরপর অবশ্য সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করে পিএসজি। গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন এমবাপে। একই আক্রমণে গোল করতে পারেননি নেইমারও। এরপর এমবাপে গোল করলেও অফসাইডে তা বাতিল হয়। কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে গেলে পরের পর্বে ২-০ ব্যবধানে জিততে হবে পিএসজি-কে।
❤ Support Us