Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • জানুয়ারি ১, ২০২৪

পুলওয়ামা হামলার চক্রী মাসুদ আজহার নিহত! গাড়িতে বিস্ফোরণের ভিডিও ভাইরাল

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
পুলওয়ামা হামলার চক্রী মাসুদ আজহার নিহত! গাড়িতে বিস্ফোরণের ভিডিও ভাইরাল

নিহত পুলওয়ামা হামলার অন্যতম চক্রী মাসুদ আজহার! জইশ-ই-মহম্মদ প্রধানের গাড়িতে বিস্ফোরণের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। তার পরই জানা যাচ্ছে মাসুদ আজাহার নিহত হয়েছেন।

 

পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহার ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকার শীর্ষে। আইএসআইয়ের অঙ্গুলিহেলনে বারবার ভারতকে রক্তাক্ত করেছে জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি সংগঠন। ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার অন্যতম চক্রী হলেন এই মাসুদ আজহার। শুধু তাই নয়, ২০০১ সালের সংসদ ভবনে হামলা তথা ২০০৫ সালে অযোধ্যায় বিস্ফোরণ-সহ একাধিক নাশকতায় হাত রয়েছে এই মাসুদ আজহারের।

 

সোমবার মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ওই বিস্ফোরণে একটি গাড়ি বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন হতে দেখা গিয়েছে। দাবি করা হচ্ছে, ওই গাড়িতে ছিল মাসুদ আজহার। ভাওয়ালপুরের একটি মসজিদ থেকে আজ ভোর ৫টা নাগাদ ফিরছিল জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজাহার। বিস্ফোরণটি সেই সময় হয় বলে জানা যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরে পাকিস্তানে জেলের মধ্যে ২৬/১১ হামলার অন্যতম চক্রী সাজিদ মীর বিষক্রিয়ায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। এর আগে গত অক্টোবরে মুম্বই হামলার মূল চক্রী হাফিজ সইদের সহযোগী মুফতি কায়সের ফারুককে করাচির রাস্তায় গুলিতে ঝাঁজরা করে দিয়েছিল একদল দুষ্কৃতী। পরের মাসে প্রায় একই কায়দায় করাচিতেই গুপ্তঘাতকদের হাতে নিহত হয় জইশ-প্রধান মাসুদ আজহারের ঘনিষ্ঠ মৌলানা রহিমউল্লা তারিক। এবার কি তবে মাসুদ আজহার শেষ হল, প্রশ্ন সেটাই।

 

তবে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে একটা বিষয় লক্ষ করা যাচ্ছে যে পাকিস্তানের মাটিতেই খুন হচ্ছে একের পর এক কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের নেতা, চক্রী। পাকিস্তানে গত দুবছরে অজ্ঞাত পরিচয় আততায়ীর হাতে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ১২ জন জেহাদি। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, এরা প্রত্যেকেই ছিল ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকাভূক্ত জঙ্গি।

পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের চারণভূমি বলে বিশ্বখ্যাত। ইসলামাবাদ ভারতে সন্ত্রাস ছড়াতে কোমর বেঁধে নেমেছে বহু আগে থেকেই। জম্মু ও কাশ্মীরের আবহাওয়া বিষিয়ে দিতে সদা সচেষ্ট আইএসআই। এই প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানে মঞ্চস্থ হচ্ছে এক নতুন নাটক। এক রিপোর্ট বলা হয়েছে, গত দুবছরে পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত হেনেছে গুপ্তঘাতকরা। এই আক্রমণের শিকার হয়েছে অজ্ঞাত পরিচয় অন্তত ১২ জন জেহাদি। নিহতদের মধ্যে রয়েছে লস্কর-ই-তইবা, হিজবুল মুজাহিদিন, জইশ-ই-মহম্মদ ও খলিস্তানি জঙ্গি সংগঠনের নেতারা। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, এরা প্রত্যেকেই ছিল ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গির তালিকাভূক্ত। তাই স্বাভাবিকভাবেই জল্পনা, এই হত্যার পিছনে কাদের হাত আছে!


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!