- এই মুহূর্তে দে । শ
- ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৩
পাঞ্জাব নিয়ে আম আদমির ভগবান—শান্তি অক্ষত, পরিস্থিতি স্বাভাবিক। গোলাগুলির অধ্যায় এখন অতীতের স্মৃতি

অমৃতসরের বিশৃঙ্খলাকে লঘু করে দেখতে চাইছে মান সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, পাঞ্জাবে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক। রাজ্যে খলিস্তানি সংগঠনের তৎপরতা বৃদ্ধিতে প্রশ্নের মুখে শাসক দল আপ।
খলিস্তানপন্থী ধর্মগুরু লভপ্রীত ওরফ তুফান আদালতে নির্দেশে মুক্তি পেয়েছেন। তাঁর মুক্তির দাবিতে তরোয়াল-বন্দুক হাতে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ বাধিয়েছিলেন ‘ওয়ারিস পাঞ্জাব দে’ সংগঠনের সমর্থকরা। নেতা অমৃতপাল সিং এর নেতৃত্ব আজনালা থানায় ঢুকে পড়ে তাঁর সহযোগীরা। হুমকি দেয়, তাঁর ঘনিষ্ঠ সঙ্গীকে ছেড়ে না দিলে পাঞ্জাবে যে পরিস্থিতি তৈরি হবে তাঁর জন্য দায়ী হবেন পুলিশ আধিকারিকরা। পুলিশের দাবি, তাঁরা উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারেননি। কারণ বিক্ষোভকারীদের নেতা গ্রন্থ সাহিব হাতে অভিযানে এসেছিলেন।
শুধুমাত্র এ ঘটনা নয়, দু বছর আগে ২৬ জানুয়ারির দিল্লির লালকেল্লার তাণ্ডবেও প্রত্যক্ষ ভূমিকা নিতে দেখা গিয়েছিল খলিস্তানের সমর্থক দলের কর্মীদের। প্রতিষ্ঠাতা অভিনেতা দীপ সিধু এ ঘটনায় মারা যান। পরে, দলের প্রধান হন অমৃত পাল সিং। তখন থেকে পাঞ্জাবে নব উদ্যমে খলিস্তানি ভাবধারার প্রচার চালাচ্ছে তাঁরা।
গত বছর, নির্বাচনে জয়লাভ করে আপ। মুখ্যমন্ত্রী হন ভগওয়ান্ত মান। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল, রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার, বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ দমন করবার। কিন্তু সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যে খলিস্তানি জঙ্গিদের ক্রমবর্ধমান প্রভাবকে কার্যত অস্বীকার করলেন তিনি। বললেন, ভুল খবর প্রচার করা হচ্ছে, পাঞ্জাব পুলিশ রাজ্যের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে সমর্থ। অপাররেশন ব্লু স্টারের পরবর্তী দশ বছরের রক্তাক্ত স্মৃতি রোমন্থন করে জানিয়েছেন, পাঞ্জাবের সামাজিক বন্ধনের ওপর গুলি বর্ষণ এখন আর হয় না। মানুষের মধ্যে এখন শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বিরাজমান।
শুধু দেশে নয়, বিদেশেও নিজেদের সক্রিয়তা বাড়াচ্ছে খালিস্তানিরা। অষ্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে ভারতীয় কনসুলেটে গত কাল রাতে খলিস্তানি পতাকা লাগিয়ে দিয়ে পালিয়েছে তাঁরা। কয়েকমাস আগে, স্থানীয় হিন্দু দেবতাদের মন্দিরেও তাণ্ডব চালিয়েছিল খলিস্তানের সমর্থকরা। কানাডেও চলছে খলিস্তানি ভাবধারার প্রচার। তার জন্য ভারতে টাকা তোলার কাজে যুক্ত কয়েকজন ব্যক্তিকে সম্প্রতি গ্রেফতার করেছে এনআইএ। এমন অবস্থায় রাজ্য সরকারের উদ্যমহীনতা ভাবিয়ে তুলছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ওয়ারিশ দে পাঞ্জাবের নেতা অমৃতপাল আজকের জার্নেল সিং বিন্দ্রাওয়ালে হয়ে উঠতে চাইছেন। প্রশসন কঠোর পদক্ষেপ না নিলে আর একটা অপারেশন ব্লু স্টার হয়তো সময়ের অপেক্ষা।
❤ Support Us