Advertisement
  • দে । শ
  • জুলাই ৮, ২০২৪

রথের মেলায় লক্ষ্মীলাভ

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
রথের মেলায় লক্ষ্মীলাভ

রথের মেলায় লক্ষ্মীলাভ পূর্বস্থলীর নতুনগ্রামের দারুশিল্পীদের। এবারের রথের মেলার জন্য এখানকার শিল্পীরা ১২ হাজারেরও বেশি জগন্নাথ, সুভদ্রা ও বলরামের বিভিন্ন সাইজের দারুমূর্তির বরাত পেয়েছিলেন। সেসবের প্রত্যাশিত দাম পাওয়ায় শিল্পীদের মুখে এখন চওড়া হাসি। শিল্পীরা জানালেন, অন্য বছরের তুলনায় এবারের বরাত বেশ খানিকটা বেশি হয়েছিল। শিল্পীদের তৈরি কাঠের জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা তৈরির বরাত মিলেছিল কলকাতা, হাওড়া, শ্রীরামপুর, চন্দননগর, দমদম-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। আবার এখানকার শিল্পীরা তাঁদের তৈরি কাঠের রথ, জগন্নাথ, সুভদ্রা, বলরাম পূর্বস্থলী, কালনা, শ্রীরামপুর, কাটোয়া, নবদ্বীপ, বর্ধমান-সহ স্থানীয় রথের মেলাগুলিতে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করেছেন।

কাঠপুতুলের গ্রাম হিসেবে পূর্বস্থলী ২নং ব্লকের পিলা পঞ্চায়েতের নতুনগ্রামের খ্যাতি। বিশেষ করে এখানকার দারুশিল্পীদের তৈরি প্যাঁচা, দুর্গা, গণেশ, সরস্বতীর কদর ভিনরাজ্যেও ছড়িয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নেকনজরে পড়ায় বিশ্ববাংলার বিপণন কেন্দ্রগুলিতে এখানকার শিল্পকর্মগুলির ঠাঁই মিলেছে। তার ফলে নিয়মিতভাবে বেঙ্গালরু, দিল্লি, মুম্বই, এমনকী ভিনদেশ থেকেও বরাত মিলছে। গ্রামের মোটামুটি ৫০টি পরিবার বংশপরম্পরায় দারুশিল্পকর্মে যুক্ত। বছরভরই শিল্পীরা নানান মূর্তি ও ঘর সাজানোর জন্য নানা শিল্পকর্ম তৈরি করেন। রথের মেলার মুখে শিল্পীরা জগন্নাথ, সুভদ্রা, বলরাম তৈরি করেন। দারুশিল্পী সুব্রত ভাস্কর, গৌতম ভাস্কররা বলছিলেন, ‘এইসব মূর্তি বিক্রি করেই আমাদের সংসার চলে। রাজ্য সরকার আমাদের শিল্পকে মর্যাদা দিয়েছে। বিপণনের ব্যবস্থা করেছে। সরকারি মেলাগুলিতে আমাদের যোগ দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।’ যোগ করেন, ‘শুধু মূর্তি তৈরি করেতো আর ভালোভাবে চলে না। তাই মূর্তির পাশাপাশি এখন আসবাব তৈরি করছি। নিজেদের অস্তিত্ব ও শিল্পগুণের প্রচারের জন্য আলমারি, খাট, ড্রেসিং টেবিল, সোফা, চেয়ার, টেবিলেও কাঠপুতুল খোদাই করছি। যাতে বোঝা যায়, এইসব শিল্পকর্ম নতুনগ্রামের কাঠ-কারিগরদের মেধা, শ্রম ও শিল্পগুণের ফসল।’ ।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!