- এই মুহূর্তে দে । শ
- মে ৩১, ২০২৪
মেয়েকে অবমাননা, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর তৃণমূল বিধায়কের

মেয়ের মুখের দিকে আর ‘তাকাতে পারছিলেন না’। তাই শেষমেশ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বেলাগাম মন্তব্য ও কুৎসার বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন তৃণমূল নেতা। নির্বাচনী প্রচারে পূর্বস্থলীতে এসে শুভেন্দু তাঁর ও তাঁর মেয়ের ভাবমূর্তিতে কালি ছিটিয়েছেন বলে দাবি পূর্বস্থলী উত্তর বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়ের। তপনবাবু প্রথমে বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দেননি। কিন্তু মেয়ে ‘এই অপমান মেনে নিতে পারেনি। সবসময় মুখ কালো করে থাকত’ জানিয়ে পূর্বস্থলী থানায় গিয়ে তিনি শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে অভিযোগ (এফআইআর) দায়ের করলেন তপনবাবু।
অভিযোগ জমা দিয়ে থানা থেকে বেরিয়ে তপনবাবু জানান, ‘গত ৭ মে পূর্বস্থলী থানার মাঠে বর্ধমান পূর্ব লোকসভার বিজেপি প্রার্থী অসীম সরকারের সমর্থনে নির্বাচনী সভা করেন শুভেন্দু। সেই সভা থেকে ব্যক্তিগতভাবে আমাকে, আমার পরিবারকে ও দলীয় নেতৃত্বের নামে কুৎসা ও অপপ্রচার করে সামাজিক মর্যাদায় আঘাত করেছেন শুভেন্দুবাবু। তাই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছি।’ বিষয়টি বিধানসভার স্পিকারের নজরেও আনবেন বলে জানালেন তপনবাবু।
অভিযোগ, সেদিনের সভায় অসাধু উপায়ে সাদা খাতা জমা দিয়ে তপনবাবুর মেয়ে চাকরি পেয়েছে ও কলকাতায় তপনবাবুর দুটি ফ্ল্যাট আছে বলে জানান শুভেন্দুবাবু। তপনবাবু জানান, ‘প্রথমে ব্যাপারটাকে আমি গুরুত্ব দিইনি। কিন্তু মেয়ের ব্যাপারে মিথ্যা তথ্য দেওয়ায় মেয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বারবার বলছে সামাজিক সম্মান ধুলোয় চলে গেল। মেয়ের মানসিক অবস্থা দেখে শেষ পর্যন্ত পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার মেয়ে উচ্চশিক্ষিত। কখনও কোনও অন্যায়ের আশ্রয় নেয় নি। রাজনীতির মঞ্চে তাঁকে টানায় মেয়ে খুবই আহত হয়েছে।’ শুভেন্দুবাবুর এই ‘সর্বৈব মিথ্যা, অবমাননাকর ও সামাজিক মর্যাদাহানিকর বক্তব্য’ দলীয় নেতৃত্বেরও নজরে এনেছেন তপনবাবু। তিনি বিধানসভার স্পিকারকে বিষয়টি মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। বিধানসভা খুললে লিখিতভাবে জানাবেন। তৃণমূলের সংশ্লিষ্ট পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চ্যাটার্জির মতে, ‘বেলাগাম মন্তব্য, কুৎসা, অপপ্রচার, বিভ্রান্তি ছড়ানো, নারীদের অসম্মান করাই হল বিজেপির সংস্কৃতি। সেই সংস্কৃতির সফল উত্তরাধিকার বহন করছেন শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষরা।’
❤ Support Us