- Uncategorized দে । শ
- ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৪
প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় ষড়যন্ত্রের অভিযোগ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সভাপতির
বিগত বছরগুলিতে মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র ফাঁস রীতিমতো রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। প্রশ্নপত্র ফাঁস আটকাতে এবছর অভিনব পদক্ষেপ গ্রহন করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। প্রতিটা প্রশ্নের সঙ্গে ‘কিউআর কোড’ জুড়ে দিয়েছে। তাতেও প্রশ্ন ফাঁস আটকানো যায়নি। প্রথম দিন থেকেই প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় শিরোনামে উঠে এসেছে মালদহ জেলা। সোমবার ইতিহাস পরীক্ষার দিনে গোটা রাজ্যে ৯ জনের কাছ থেকে মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে। এর মধ্যে তিনজনই মালদহ জেলার। প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা নিয়ে দুর্নীতির গন্ধ পাচ্ছেন পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়।
সোমবার ছাত্রদের কাছ থেকে মোবাইল উদ্ধার প্রসঙ্গে রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় সোমবার সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনার পেছনে বড় দুর্নীতি রয়েছে। দুর্নীতি বন্ধ করার জন্য কিউআর কোড দিতেই অনেকের স্বার্থে আঘাত লেগেছে। ১০০ কোটি টাকার দুর্নীতি বন্ধ হয়েছে। তাই পরীক্ষা ব্যবস্থাকে বিঘ্নিত করার ষড়যন্ত্র চলছে। মালদহে বার বার এই ঘটনা ঘটছে। তবে এই দুর্নীতি চক্রের সঙ্গে মালদহ জেলার কোনও যোগ নেই।’
সোমবার পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে ঢোকার অভিযোগে গোটা রাজ্যে ৯টি মোবাইল উদ্ধার হয়েছে। প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। মোবাইল উদ্ধার হলেও সোমবার কোনও প্রশ্ন ফাঁস হয়নি বলে দাবি করেন পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গোপালপুর হাইস্কুলের এক ছাত্রীকে ইতিহাসের পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি। এনায়েতপুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বদিউদজামান বলেন, ‘পর্ষদের নির্দেশে ওই ছাত্রীর সব পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।’ ছাত্রীটি অবশ্য দাবি করেছে, তার কাছে কোনও মোবাইল ছিল না। ছাত্রীর বাবা আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার হুমকি দিয়েছেন। ইংরেজবাজারের রায়গ্রাম হাইস্কুলে তিন পরীক্ষার্থী মোবাইল নিয়ে ঢোকার চেষ্টা করলে ফোনগুলি বাজেয়াপ্ত করে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা নিয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। মালদহে ‘২০২৪ এমপি কোশ্চেন আউট’ নামে একটা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের হদিস পেয়েছে পুলিশ। এক পরীক্ষার্থীর মোবাইল থেকে গ্রুপের সন্ধান পাওয়া যায়। এই গ্রুপে ১৫১ জন সদস্য ছিল। মানিকচক–ইংরেজবাজারের এক কোচিং সেন্টারের মালিকের নাম পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। সেই কোচিং সেন্টারের মালিক গা ঢাকা দিয়েছেন।
❤ Support Us