- দে । শ
- সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৩
ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তকমায় শান্তিনিকেতন

আজ ইউনেস্কোর তকমা পেয়ে শান্তিনিকেতন বিশ্বের দরবারে পরিচিত হল, এটা যদি কেউ ভেবে থাকেন তা হলে তাঁর বা তাঁদের ভাবনার দীনতা আছে বলা যায়। তবে এটা ঠিক ইউনেস্কোর ওয়ার্ড হেরিটেজ তালিকায় শান্তিনিকেতন জায়গা পেয়ে বাংলার গৌরব বৃদ্ধি হল। আর শান্তিনিকেতনের ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা পাওয়ার কৃতিত্ব গুরুদের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের, যিনি শান্তিনিকেতনের সৃষ্টিকর্তা। আমরা তাঁর সৃষ্টিকে স্বমহিমায় ধরে রাখতে পেরেছি কী? আজ এই প্রশ্নটাই আমাদের এখন ভাবা উচিত।
🔴¡ÚLTIMA HORA!
Santiniketan, en #India 🇮🇳, inscrito en la Lista del #PatrimonioMundial de la @UNESCO_es.
¡Felicidades! 👏👏
➡️ https://t.co/9zu87mxzrW #45WHC pic.twitter.com/R76LFgAnRC
— UNESCO en español 🏛️#Educación #Ciencia #Cultura (@UNESCO_es) September 17, 2023
তবে শান্তিনিকেতন যে বিশ্ব ঐতিহ্যশালী স্থানের তালিকায় স্থান পেতে চলেছে, সেই ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল। রবিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে ইউনেস্কো এটা ঘোষণা করল। ইউনেস্কোর ঘোষণার পরেই স্পেন থেকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘‘আমি খুব আনন্দিত এবং গর্বিত যে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর শান্তিনিকেতন এখন ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। বিশ্ববাংলার গর্ব, শান্তিনিকেতনকে লালন করেছেন কবি। প্রজন্মের পর প্রজন্ম একে সমর্থন করে গিয়েছেন বাংলার মানুষ।’’ মুখ্যমন্ত্রী এক্স-এ এটাও উল্লেখ করেছেন, পশ্চিমবঙ্গের সরকার গত ১২ বছর ধরে এর পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ করে গিয়েছে। এখন তাকে স্বীকৃতি দিল ইউনেস্কো। এর পরেই তিনি কুর্নিশ জানান সেই সব মানুষকে, যাঁরা বাংলাকে ভালবাসেন, রবীন্দ্রনাথ এবং তাঁর ভ্রাতৃত্বের বার্তাকে ভালবাসেন। তিনি লেখেন, ‘‘জয় বাংলা, গুরুদেবকে প্রণাম।’’
Glad and proud that our Santiniketan, the town of Gurudev Rabindranath Tagore, is now finally included in UNESCO’s World Heritage List. Biswa Bangla’s pride, Santiniketan was nurtured by the poet and has been supported by people of Bengal over the generations. We from the…
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) September 17, 2023
চলতি বছরের রবীন্দ্রজয়ন্তীর পরের দিনই কেন্দ্রের তরফে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল, ইউনেস্কোর হেরিটেজের তালিকায় নাম উঠতে পারে শান্তিনিকেতনের। কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছিলেন, ‘‘গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তীতে সারা দেশের জন্য সুখবর। শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায় রাখার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।’’ এই প্রস্তাব দিয়েছিল ইউনেস্কোর উপদেষ্টা সংগঠন ইকোমস। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি জানিয়েছিলেন, বিশ্বভারতী আনুষ্ঠানিক ভাবে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায় ঠাঁই পেল কি না, তা সেপ্টেম্বর মাসে সৌদি আরবের রিয়াধে একটি সভায় আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করা হবে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেছিলেন রেড্ডি। শেষ পর্যন্ত সেপ্টেম্বরের ১৭ তারিখ, নরেন্দ্র মোদির জন্মদিনে সেই ঘোষণা করল ইউনেস্কো।
ইতিহাস বলছে, ১৯০১ সালে শান্তিনিকেতনে স্কুল এবং ১৯২১ সালে বিশ্বভারতীর পথ চলা শুরু। ১৯৫১ সালে এই প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি পায়। তবে গত কয়েক মাসে এই প্রতিষ্ঠান নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তার মধ্যে শান্তিনিকেতনের এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অবশ্বই বাংলা তথা দেশের জন্য সুখবর।
❤ Support Us