- এই মুহূর্তে দে । শ
- জুন ৬, ২০২৪
মোদি-শাহের ইন্ধনেই শেয়ার বাজারের মেগা স্ক্যাম, সংসদীয় তদন্তের দাবি রাহুলের । সেবিকে চিঠি তৃণমূলের

নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহর বিরুদ্ধে যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্ত চাইলেন রাহুল গান্ধি । তাঁর অভিযোগ শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে বলে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন তাঁরা । প্রথমে এক সাক্ষাৎকারে অমিত শাহ এবং পরে প্রকাশ্য জনসভায় নরেন্দ্র মোদি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ আহ্বান করেছিলেন । রাহুল দাবি করেন, ৪ জুনের পর শেয়ার বাজার রেকর্ড উচ্চতায় যাবে, একথা দুজনেই বলেছেন । কেন দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করলেন তাঁরা, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের আহ্বান করা কী তাঁদের কাজ, এপ্রশ্নও আজ তুলেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি ।
বৃহস্পতিবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাহুল গান্ধি । সেখানেই তিনি বলেন, ‘ এই প্রথম দেখা গেল কোনো দেশের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী স্টক মার্কেট নিয়ে মন্তব্য করলেন । প্রধানমন্ত্রী বেশ কয়েকবার দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, তর তর করে চড়বে শেয়ার বাজার । স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ৪ জুন শেয়ার বাজার আকাশ ছোঁবে । কিনে রাখা উচিত আগে থেকে । অর্থমন্ত্রীও সেই কথাই বলেন । ১৯ মে, ২৮ মে শেয়ার বাজার রেকর্ড গড়বে বলে মন্তব্য করেন মোদি । এর পর ১ জুন ভুয়ো বুথফেরত সমীক্ষা সামনে আসে । এরপরই চার তারিখ ফল প্রকাশের পর শেয়ার বাজারে ধ্বস নামে, ৩১ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হয় । এটা শেয়ার বাজারের ইতিহাসে একটা বড়ো দুর্নীতি । কিন্তু কেন পাঁচ কোটি বিনিয়োগকারীকে শেয়ার কেনার পরামর্শ দিলেন তাঁরা ? এমন সংস্থাকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তাঁরা এইসব পরামর্শ দিয়েছেন, সেই সংস্থার মালিকের বিরুদ্ধে সেবির তদন্ত চলছে । ‘ প্রসঙ্গত উল্লখ্য এর আগেই মোদি-অমিত জুটির শেয়ার বিনিয়োগের পরামর্শ এবং ৪ তারিখের পর শেয়ার ধ্বসে বিপুল ক্ষতি নিয়ে শেয়ার মার্কেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবির কাছে চিঠি পাঠিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস । তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলে ওই চিঠিতে জানান, বুথফেরত সমীক্ষার মাধ্যমে কারসাজি করে সূচককে চড়ায় তোলা হয়েছিল কি না, সেই নিয়ে পূর্ণ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন । ভোটের সময়ও প্রকাশ্য সমাবেশে একাধিক বার মানুষকে বিনিয়োগের ভাওতা বাজি থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে রাহুল গান্ধি বলেন, দলীয় অভ্যন্তরীন সমীক্ষায় এবং দেশের গোয়েন্দা রিপোর্ট মারফত বিজেপির কাছে আগেই খবর ছিল যে, তারা লোকসভা নির্বাচনে ২২০টির বেশী আসন পাবে না । শেষ দফার নির্বাচন মিটতেই একাধিক সংস্থার রিপোর্টের ভিত্তিতে করা বুথ ফেরত সমীক্ষা সম্প্রচারিত হয় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে । সেখানে বলা হয় বিপুল জনাদেশ নিয়ে তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপি । ৩০ এবং ৩১ তারিখের শেয়ার বাজারেই বেশ কিছু সংস্থার বিপুল কেনা বেচাও দেখা যায় শেয়ার মার্কেটে । তারপরই তিনি তারিখ বিশাল উচ্চতায় পৌঁছোয় ভারতীয় শেয়ার মার্কেট, এবং একদিনের মধ্যেই বিপুল পতন । শেয়ার বাজার থেকে মুছে যায় প্রায় ৩১ লক্ষ কোটি টাকার সম্পদ । মুনাফা লোটে হাতে গোনা কয়েকটি সংস্থা, সেই সময়েই বেশ কিছু বিদেশি বিনিয়োগও হয় । এরা কারা ? সেটা তদন্ত করে খতিয়ে দেখা দরকার । তাই যৌথ সংসদীয় কমিটি গড়ে এই ঘটনার তদন্ত করা উচিত । রাহুলের মতে, আদানি গোষ্ঠী কেলেঙ্কারির চেয়েও এই শেয়ার দুর্নীতি অনেক বড়মাপের । তাই অবিলম্বে গোটা বিষয়টির তদন্ত হওয়া উচিত ।
❤ Support Us