Advertisement
  • দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
  • অক্টোবর ৯, ২০২৩

পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন ঘোষণার দিনই রাহুলের দাবি, “কংগ্রেস পাঁচে চারটা পাবে, মধ্যপ্রদেশ হাতছাড়া হবে বিজেপির”

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন ঘোষণার দিনই রাহুলের দাবি, “কংগ্রেস পাঁচে চারটা পাবে, মধ্যপ্রদেশ হাতছাড়া হবে বিজেপির”

পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন ঘোষণার দিনই রাহুল গান্ধি দিল্লি থেকে জানিয়ে দিলেন, “কংগ্রেস চার পাঁচ রাজ্যের মধ্যে চার রাজ্যেই জয়ী হবে। এই পাঁচ রাজ্য হল রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, তেলঙ্গানা এবং মিজোরাম। মধ্যপ্রদেশে বিজেপির তাহা থেকে কংগ্রেসের হাতে ক্ষমতা চলে আসবে। মিজোরামে আমি নিজে প্রচারে যাবো।” সোমবার দিল্লিতে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির চার ঘণ্টা বৈঠক হয়। বৈঠকে জাতভিত্তিক জনগণনার পক্ষে কংগ্রেস দল সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বলে বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে রাহুল গান্ধি জানান। এই সান্দাদিক সম্মেলনেই রাহুল গান্ধী বলেন, পাঁচ রাজ্যের মধ্যে চার রাজ্যে কংগ্রেস ক্ষমতায় আসছে।

জাতভিত্তিক জনগণনা নিয়ে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির পর সোমবার দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাহুল গান্ধি বললেন, “চার ঘণ্টা ঘরে আমাদের দলে সর্বসম্মিতিক্রমে জাতিভিত্তিও জনগণনা নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা সম্মত হয়েছি জাতভিত্তিক জনগণনার বিষয়ে। এটা কংগ্রেসের পক্ষে একটা বড় সিদ্ধান্ত ও প্রগতিশীল সিদ্ধান্ত আমাদের দেশের গরিব মানুষদের জন্য।”

এদিন রাহুল গান্ধি বলেন, “কংগ্রেস সভাপতির নেতৃত্বে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, জাতিগত জনগণনার ক্ষেত্রে বিজেপিকে চাপ দেওয়া হবে। ইন্ডিয়া জোটের বেশিরভাগ দল জাতিভিত্তিক জনগণনার পক্ষে। তবে করোও অমত আছে, আমরা ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থার মতো সিদ্ধান্ত তাদের বিরুদ্ধে নেবো না। দেশ জাতিভিত্তিক জনগণনা চায়।”

এদিকে আজই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন ঘোষণা হয়েছে। এই  বিধানসভা নির্বাচনকে কংগ্রেসের লিটমাস টেস্ট বলা হলেও রাহুল গান্ধি সেটা মানতে নারাজ, তিনি বলেন, “লিটমাস টেস্ট কেমিস্ট্রিতে হয়, রাজনীতিতে নয়।আমরা পাঁচ রাজ্যের মধ্যে চার রাজ্যে ক্ষমতায় এসব। মধ্যপ্রদেশে বিজেপির কাছ থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নেবে কংগ্রেস। আমাদের ফল ভালো হবে।” এর পর জাতিভিত্তিক জনগণনা প্রসঙ্গে রাহুল বলেন, “আমরা জাতিভিত্তিক জনগণনা এই কারণে চাইছি যে তার ফলেই প্রমাণ হবে দেশের অর্থ, সম্পত্তি, প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতা সত্যি কাদের হাতে আছে সেটা স্পষ্ট হয়ে যাবে। এটা সমাজের এক্সরের মতো।”

রাহুল গান্ধি বলেন, “সমস্যাটা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জাতিগত জনগণনায় অসমর্থ। আমাদের চার মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে ৩ জন ওবিসি সম্প্রদায়ের, বিজেপি-র ১০ জন মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে ১ জন ওবিসি সম্প্রদায়ের ছিলেন, তাও কিছুদিন পর তিনি আর মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারেননি। ওরা ওবিসি নিয়ে অনেক কিছু বলছে, মোদিকে প্রশ্ন ওবিসিদের জন্য কি করেছেন? আমি সংসদে বলেছি, ৯০ এর মধ্যে ৩ অফিসার ওবিসি। নরেন্দ্র মোদি এই নিয়ে কিছু বলেননি। আমি ঠিক কী ভুল বলছি তা নিয়েও কোনও উত্তর দেননি। প্রধানমন্ত্রী কিছুতেই বলছেন না জাতিভিত্তিক জনগণনা হবে। প্রধানমন্ত্রীর কাজ হচ্ছে ওবিসিদের বিচ্ছিন্ন করা, এটা আরএসএস-এর নীতি, নরেন্দ্র মোদি সংঘের এই নীতির রূপকার, পরিচালক।”

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জাতিভিত্তিক জনগণনার দাবি করে দেশের মধ্যে বিভাজনের রাজনীতি করছে রাহুল গান্ধি, সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “কারও আঘাত লাগলে ডাক্তার প্রথমেই তাকে এক্সরে করতে বলেন। প্রধানমন্ত্রীর এক্সরে করতে এতো ভয় কিসের? একটি ভাষণেও নরেন্দ্র মোদি বললেন না রাহুল গান্ধি ওবিসিদের নিয়ে যা বলছেন সেটা ঠিক। আসলে ওবিসিদের নিয়ে বিভাজনের রাজনীতি করছেন প্রধানমন্ত্রী।”

রাহুল বলেন, “ওবিসিদের নিয়ে কথা বলা কোনও রাজনীতি নয়। এটা হিন্দুস্তানের গরিবদের যে দাবি সেটাকে মান্যতা দেওয়ার জন্যই করা হবে। আমাদের কাছে জাতিভিত্তিক জনগণনার তথ্য নেই, আছে ভারত সরকারের কাছে। সেটা তারা প্রকাশ না করলে আমরা ক্ষমতায় এসে এই তথ্য প্রকাশ্যে আনবো। দেশের যে সম্পদ তা ওবিসিদের হাতে কত, দলিতদের হাতে কত, আদিবাসীদের হাতে কত অংশ আছে সেটাই জানাই আসল কথা। ভারতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আদিবাসী, দলিত, ওবিসির অংশগ্রহণ কত? এটা জানাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।এটা ঐতিহাসিক প্রশ্ন।”


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!