Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • জুন ২৬, ২০২৪

রাহুলের রাজনৈতিক জীবনে দুর্দান্ত সুদিনের শুরু। ধমনীতে পাঁচ প্রজন্মের রাজনৈতিক ঐতিহ্য।

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
রাহুলের রাজনৈতিক জীবনে দুর্দান্ত সুদিনের শুরু। ধমনীতে পাঁচ প্রজন্মের রাজনৈতিক ঐতিহ্য।

কুড়ি বছরের রাজনৈতিক জীবনে দুর্দান্ত সুদিন এলো রাহুল গান্ধির। সাংসদ তিনি আগেও ছিলেন । সি বি আই ডিরেক্টর, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, চিফ ভিজিলেন্স কমিশনার প্রভৃতি পদের জন্য এখন তাঁর মতামতও সমানভাবে প্রযোজ্য হবে।
গত দশ বছরে বিরোধী দলনেতার আসন শূন্য ছিল। কারণ বিরোধী দলের পদের মর্যাদা অর্জনের জন্য যতটা সংখ্যাগরিষ্ঠতা দরকার কংগ্রেস সহ বাকি রাজনৈতিক দলগুলির তা ছিলনা । অধীর চৌধুরী , মল্লিকাজু্ন খারগের মতো প্রবীণরা লোকসভায় কংগ্রেসের দলের নেতা হয়েছেন। কিন্তু বিরোধী দলনেতা হয়ে শাসক দলের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে সওয়াল করার মতো মর্যাদা তাঁদের কেউই অর্জন করেননি ।
১৯৮৯ সালে , রাহুল তখন উনিশ বছরের তরুণ। তাঁর বাবা রাজীব গান্ধি বিশ্বনাথ প্রতাপ সিং-এর প্রধানমন্ত্রীত্বে লোকসভার বিরোধী দলনেতার আসন অলঙ্কৃত করেছিলেন। ১৯৯৯-২০০০সাল পর্যন্ত এই পদে অভিষিক্ত হন তাঁর মা সোনিয়া গান্ধি। অটল বিহারী বাজপেয়ী তখন দেশের প্রধানমন্ত্রী ।
বিরোধী দলনেতা হিসেবে এখন থেকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য রাহুল ব্যাপক ক্ষমতার অধিকারী হয়ে থাকবেন । সংসদে তাঁর জন্য নির্দিষ্ট অফিস এবং অন্যান্য সুযোগসুবিধা বরাদ্দ থাকবে।
সংসদে আজ তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে স্পিকার ওম বিড়লাকে তাঁর নির্দিষ্ট আসনে পৌঁছে দিলেন। পরনে রোজকার সাদা রঙের স্পোর্টস টি শার্ট ছিলনা। চেনা কুর্তা পাজামায় আবার ইয়ংটার্ক রাহুল গান্ধিকে খুঁজে পাওয়া গেল।
লোকসভা নির্বাচনে রায়বরেলি ও ওয়েনাড় দু জায়গাতেই বিপুল ভোটে জয়ী হন তিনি । বর্তমানে তিনি রায়বরেলিকেই তাঁর লোকসভা কেন্দ্র বেছে নিয়েছেন। একজন সাংসদ কখনো একসঙ্গে দু জায়গার প্রতিনিধিত্ব করতে পারেননা। তাঁর ছেড়ে আসা আসন ওয়েনাড়ে উপ-নির্বাচন হবে। সেখানে কংগ্রেসের প্রার্থী হচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধি , এটাই দলের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত। আশা করা হচ্ছে বিরোধী দলনেতা রাহুল ইন্ডিয়া জোটের সব অংশের মতামত নিয়ে কাজ করবেন। গঠনশীল ভূমিকায় তাঁকে দেখা যাবে । তাঁর পরবর্তী উত্তরণ এর ওপরেই নির্ভর করছে। রাহুল গান্ধির বাবা দাদু ফিরোজ গান্ধি এক সময় কংগ্রেসের বিরোধী ছিলেন। তখন তাঁর শাণিত ভাষণ ও যুক্তি সব দলের দৃষ্টি আকর্ষণ করত । প্রতি পদে বিব্রত বোধ করতেন তাঁর স্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি , তিনি তখন কংগ্রেস নেত্রী । একবার তাঁর বিদেশিনী এক বন্ধুকে বলেছিলেন, ‘লোকসভায় আমাদের ফিরোজের তীব্র বিরোধিতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। ‘ যার ধমনীতে ফিরোজের মতো প্রভাবশালী নেতার রক্ত বইছে , তাঁর পক্ষে বিজেপি শাসনের অপক্ষমতা বরদাস্ত করা কি সম্ভব ? বয়স কম । ঐতিহ্যে পাঁচ প্রজন্মের রাজনীতি । আবেগে অনিঃশেষ তারুণ্য । এরকম বিরোধী নেতা সংসদের ভেতরে ও বাইরে ঝড় তুলবেন , এটাই স্বাভাবিক।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!