Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • অক্টোবর ২৫, ২০২৩

রাহুলের সঙ্গে কথপোকথনে বিস্ফোরক সত্য, মোদি সরকারের আয়ু মাত্র ছয় মাস

মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ সরকার, মন্তব্য কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপালের

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
রাহুলের সঙ্গে কথপোকথনে বিস্ফোরক সত্য, মোদি সরকারের আয়ু মাত্র ছয় মাস

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি বুধবার জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্য পাল মালিকের সাথে তার সাম্প্রতিক কথোপকথনের একটি ঝলক তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন। এক্স-এ পোস্ট করা ওই ভিডিওটিতে দুই নেতাকে পুলওয়ামা হামলা এবং জম্মু ও কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি, আদানি, মণিপুরের মতো বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে শোনা যাচ্ছে। এই ভিডিওটি কেন্দ্রের শাসক দলকে বেশ কিছু প্রশ্নের মুখে ফেলবে তাতে সন্দেহ নেই।

ওই ভিডিওটির ক্যাপশনে রাহুল গান্ধি প্রশ্ন করেছেন, তাঁদের মধ্যেকার এই কথোপকথন কী এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এবং সিবিআই-এর সম্পৃক্ততা বাড়াবে?

রাহুল গান্ধি বলেন, “আকর্ষণীয় বিষয় হল, পুলওয়ামা, কৃষক বিক্ষোভ এবং অগ্নিবীরের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে রাজ্যপাল, প্রাক্তন সাংসদ এবং কৃষক নেতা সত্যপাল মালিকের সাথে আমার আলোচনা!”

সত্যপাল মালিকের সাথে কথোপকথন শুরু করে, রাহুল গান্ধি প্রথমেই তাঁকে তাঁর রাজনৈতিক জীবন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন, জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল উত্তরে বলেন যে তিনি ১৯৭৩ সাল থেকে যখন তিনি ছাত্র , সেই সময় থেকে তিনি রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন,  তিনি প্রথম কৃষকদের সংগঠন পরিচালনা করতেন।

কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল সম্পর্কে রাহুল গান্ধি সত্যপাল মালিকের কাছে জানতে চাওয়ায় তিনি বলেন, “জম্মু ও কাশ্মীর একটি বাহিনী বা সেনাবাহিনী দ্বারা পরিচালিত হতে পারে না।”  সত্যপাল মালিক জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ অবলুপ্তি প্রসঙ্গে বলেন, “জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণের রাজ্যত্ব অবিলম্বে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া উচিত। ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করা তাদের কাছে যত না বেদনাদায়ক তার চাইতে তাদের রাজ্যত্ব কেড়ে নেওয়া এবং রাজ্যকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করাটা বেশি ক্ষতিকারক।”

জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে সত্যপাল মালিক বলেন, “সন্ত্রাসীরা উপত্যকায় সক্রিয় এবং সর্বত্র সন্ত্রাস-সম্পর্কিত অনেক ঘটনা ঘটছে।”  সরকার পুলওয়ামার হামলাকে তাদের রাজনৈতিক সুবিধার জন্য ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ করে সত্যপাল মালিক রাহুল গান্ধিকে বলেন যে সরকার পুলওয়ামায় সতর্কতাকে উপেক্ষা করেছিল। তাঁর বক্রব্য, আমি বলছি না যে সরকার এই ঘটনা ঘটিয়েছে কিন্তু কেন্দ্রের শাসক দল তাদের রাজনৈতিক লাভের জন্য পুলওয়ামার ঘটনাকে ব্যবহার করেছে। এমনভাবে রাজনৈতিক বক্তৃতা করেছে যেখানে নেতাদের ভোটারদের প্রতি বলতে শোনা গেছে, আপনি যখন ভোট দিতে যাবেন তখন আপনার পুলওয়ামায় সেনাদের  আত্মবলিদানের কথা মনে রাখা উচিত।

সত্যপাল মালিকের অভিযোগ, “বিস্ফোরক বোঝাই যে গাড়িটির সঙ্গে সিআরপিএফের গাড়ির ধাক্কা লেগেছিল, সেই গাড়িটি প্রায় ১০ দিন ধরে এই এলাকায় ঘোরাফেরা করেছে ওই গাড়িটিকে খতিয়ে দেখার মতো অর্থাৎ চেক করার মতো কেউ ছিল না। গাড়ির চালক এবং মালিকের সন্ত্রাসী রেকর্ড ছিল। আগেও তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং তারপর বেশ কয়েকবার ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তারা গোয়েন্দাদের রাডারে ছিল না। বিস্ফোরকগুলি পাকিস্তান থেকে আনা হয়েছিল।”

পুলওয়ামা হামলার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে, রাহুল গান্ধি বলেছিলেন যে তিনি ঘটনাটি সম্পর্কে জানতে পেরে, নিহত বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন। তার পর রাহুল গান্ধি বলেন, “আমাকে একটি কক্ষের মধ্যে আটকে রাখা হয়েছিল। আমার মনে হয়েছিল এটি একটি অনুষ্ঠান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেখানে ছিলেন। বন্ধ ঘর থেকে বের হওয়ার জন্য আমাকে লড়াই করতে হয়েছিল। বিষয়টি অত্যন্ত বিরক্তিকর ছিল।”

আদানি প্রসঙ্গেও এই দুই নেতার মধ্যে আলোচনা হয়েছে, রাহুলের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করা ভিডিওতে তা শোনা গেছে। সত্যপাল মালিক রাহুল গান্ধিকে বলেন, সরকার ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হয়েছে কারণ আদানি কম দামে ফসল কিনে বিশাল পরিমান ফসল গুদামজাত করেছে, সেই জন্য বড় গুদাম তৈরি করেছে।”
জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন গভর্নর বলেন, “আদানি নামটি এখন সরকারের মনে মন্ত্রের মতো আটকে আছে এবং প্রতিটি গ্রামে আদানিকে নিয়ে কথা হচ্ছে। মানুষ বলছে, সরকারের সমস্ত অর্থ আদানির কাছে রয়েছে।” “পরের বছর, তাদের দাম বাড়বে এবং তিনি সেগুলি বিক্রি করবেন। যদি MSP কার্যকর করা হয়, একজন কৃষক তাদের কাছে তার পণ্যগুলি সস্তা দরে বিক্রি করবেন না,” তিনি যোগ করেন।

মণিপুরের সহিংসতা সম্পর্কে রাহুল গান্ধির সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল অভিযোগ করে বলেন,  সংঘর্ষ-বিধ্বস্ত রাজ্যে সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। মনিপুরের পরিস্থিতি সরকারের সম্পূর্ণ ব্যর্থতা প্রমাণ করছে। মুখ্যমন্ত্রী এখনও কিছু করছেন না ওদিকে তারা তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়েও দিচ্ছেন না। উত্তর-পূর্ব মীমাংসা হয়েছে, তারা সেখানে বিরক্তির সৃষ্টি করছে।

তিনি বলেন, “তবে এটা মাত্র ছয় মাসের জন্য। আমি লিখিতভাবে দিতে পারি। তারা আর ক্ষমতায় আসবে না।”

 


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!